যমুনার চরজুড়ে বাদাম চাষ বাম্পার ফলনের আশা

ফুয়াদ হাসান রঞ্জু, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) 
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮: ২৯

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় যমুনার পানি শুকিয়ে জেগে উঠেছে অসংখ্য বালুচর। আর এসব বালুচরে বাদামের চাষ করেছেন কৃষকেরা। ইতিমধ্যে বাদামগাছের সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে পুরো বালুচর। গত বছর বাদামের বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর আরও অধিক জমিতে বাদামের চাষ করেছেন চাষিরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসী, অর্জুনা ও গাবসারা ইউনিয়নের চরতারাই, চরভরুয়া, বলরামপুর, কুঠিবয়ড়া, রায়ের বাসালিয়া, রামাই, বাসিদকল, রুলিপাড়া, গোবিন্দপুর, রামপুর, ডিগ্রিরচর ও কোনাবাড়ী চরাঞ্চলে বাদামের ব্যাপক আবাদ হয়েছে।

বাদামচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অল্প দিনে বাদাম চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায় বলে প্রতিবছর বন্যা-পরবর্তী সময়ে জেগে ওঠা চরে তাঁরা বাদাম চাষ করেন। খরচ বাদ দিয়ে বিঘাপ্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ হয়। বাদাম খেত থেকে কচি পাতা কেটে তাঁদের গবাদিপশুকে খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া অন্য ফসলের মতো বাদামের জমিতে তেমন একটা সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। বীজ রোপণের দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই বাদাম তুলে সংগ্রহ ও হাট-বাজারে বিক্রি করা যায়।

গাবসারা চরাঞ্চলের বাদামচাষি গফুর মিয়া বলেন, ‘গত বছর আমি ৮ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছিলাম। দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর প্রায় ১২ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরেও বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছর যমুনার চরাঞ্চলে ১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চরাঞ্চলের চাষিদের মধ্যে বিনা মূল্যে সার ও বাদামের বীজ বিতরণ করেছি। বাদামের ফলন ভালো করার জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত