আজিজুর রহমান, চৌগাছা
প্রায় শতবর্ষী বৃদ্ধা মায়ের নামে রয়েছে দুই কোটি টাকা মূল্যের আট বিঘা জমি। সেই জমি সহোদর সেজো ভাই ও হারিয়ে যাওয়া ছোট ভাই এবং দুই বোনকে ফাঁকি দিয়ে বড় দুই ভাই ফজলুর রহমান ও বজলুর রহমান লিখে নিতে চান। সে মোতাবেক বড় ভাইয়ের ছেলে জাকির হোসেন তাঁর ছোট চাচা (বৃদ্ধার ছোট ছেলে) জামির হোসেনের বাড়ি থেকে দাদিকে নিয়ে আসেন নিজেদের বাড়িতে। তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষর করে মেজো ছেলে বজলুর রহমানের নামে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করে নেন মায়ের নামে থাকা আট বিঘা জমি।
যে জমির প্রতি শতকের মূল্য স্থানীয়দের মতে ৭০ হাজার টাকা করে; যাতে ৮ বিঘা অর্থাৎ ২৬৪ শতাংশ জমির বাজারমূল্য এক কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাঁড়ায়। জমির পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করেই ছাড়েনি বজলু ও ফজলু। জমির লিখে নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করে মাকে তাঁরা ফেলে রাখেন একটি জরাজীর্ণ ঘরের বারান্দায়। মাটির ঘরটিতে জং ধরা টিনের ছাউনি, যেখানে বৃষ্টি এলেই পানি পড়ে। নেই আলো। এমন পরিবেশেই বৃদ্ধা মা আছিরন বেগম একটি ছেঁড়া কম্বলের মধ্যেই পড়ে থাকেন খেয়ে না খেয়ে। গোসল করানো বা পরিষ্কারও কেউ করায় না। বাড়ির পাশের কেউ যদি কখনো পরিষ্কার করিয়ে দেন তো সেটাই সই।
খবর পেয়ে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরুফা সুলতানা গতকাল বুধবার দুপুরে ছুটে যান হাকিমপুর ইউনিয়নের তজবীজপুর গ্রামে। সেখানে গেলে দেখা যায়, বৃদ্ধা আছিরন বেগম একটি মলমূত্রে পরিপূর্ণ একটি ছেঁড়া কম্বলে জড়িয়ে বসে আছেন। অথচ তিন ছেলেরই রয়েছে ফ্ল্যাট বাড়ি। মেজ ছেলে বজলুর ফ্ল্যাট বাড়ির চার কক্ষের দুটিই থাকে ফাঁকা। একটিতে তিনি এবং একটিতে তাঁর ছেলের স্ত্রী থাকেন। ছেলে চাকরির সুবাদে খুলনায় থাকেন। বৃদ্ধার বড় ছেলের তিন ছেলের মধ্যে দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন। অন্য ছেলে জাকির হোসেন বাড়িতে থাকেন। তাঁদেরও ফ্ল্যাট বাড়ি। অন্য একটি ফ্ল্যাট বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। সেজো ছেলে জামিরেরও ফ্ল্যাট বাড়ি।
ইউএনও ইরুফা সুলতানা ওই মায়ের জন্য কয়েক রকমের ফল কিনে নিয়ে যান। সেখানে ওই মায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন তিনি। বৃদ্ধার শরীর এবং কম্বল থেকে গন্ধ বের হওয়ায় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেন সেগুলো পরিবর্তন করে দিতে। তবে ইউএনওর সামনেও মিথ্যা বলতে থাকেন বৃদ্ধার ছেলে বজলুর রহমান। তিনি বলতে থাকেন, ‘আমরা দুই ভাই (ফজলু ও বজলু) মাকে সব সময় দেখে রাখি।’
তাহলে মায়ের এই অবস্থা কেন? কম্বলে মলমূত্র কেন? ইউএনও এ প্রশ্ন করলে আর কোনো জবাব দিতে পারেননি বজলুর রহমান। এ সময় বৃদ্ধার সেজো ছেলে জামির হোসেনের দুই মেয়ে ও স্ত্রী এসে বলেন, বজলু ও ফজলু ওই মায়ের জমি থেকে তাঁদের বঞ্চিত করতে তাঁদের বাড়ি থেকে বৃদ্ধা আছিরনকে নিয়ে এসেছেন। তাঁরা বাঁধা দেওয়ায় মারধরও করেছেন চাচা বজলু ও চাচাতো ভাই জাকির। তবে তাঁদের আরেক চাচা রয়েছেন, এ বিষয়টি তাঁরাও এড়িয়ে যান। তাঁরা দাবি করেন, তাঁদের মারধর করায় তাঁরা এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছেন বজলু। বজলুরা চার ভাই, দুই বোন। তাঁদের সব থেকে ছোট ভাই রমজান হোসেন প্রায় ৩০ বছর আগে হারিয়ে যায়। তাঁরও দুটি মেয়ে রয়েছে। তাঁদের বাবা মারা যাওয়ার পর মায়ের সঙ্গে তাঁরা কোটচাঁদপুরে মামা বাড়িতে থাকতেন। তাঁদের দুই বোনেরও বিয়ে হয়ে গেছে। ওই ছোট ভাই রমজানের জমিও বড় ভাই ফজলুর রহমান নিজের নামে করে নিয়েছেন।
ইউএনও ইরুফা সুলতানা আইনের ব্যাখ্যা করে বৃদ্ধার মেজ ছেলে বজলু এবং বড় ছেলে ফজলুর ছেলে জাকিরকে নির্দেশ দেন বৃদ্ধার জমি বৃদ্ধার নামে ফেরত দিয়ে কাগজপত্র তাঁকে দেখাতে হবে। আর তিন ছেলে প্রয়োজনে পর্যায়ক্রমে এক মাস করে মায়ের দেখভাল করবেন। এর অন্যথা হলে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তখন মেজ ছেলে বজলু কথা দেন, অন্য কোনো ভাই না দেখলেও তিনি বাকি জীবন মায়ের দেখভাল করবেন এবং বৃহস্পতিবারই মায়ের নামের জমি মায়ের নামে ফেরত দিয়ে কাগজপত্র ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে দেখিয়ে আসবেন। সর্বশেষ ছেলে বজলু ও নাতি জাকির কোলে করে বৃদ্ধাকে ছেলে বজলুর ঘরে নিয়ে একটি পরিষ্কার বিছানায় শুইয়ে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘একটি মাধ্যমে শুনে ওই বাড়িতে গিয়ে বৃদ্ধা মাকে তাঁর ছেলের ঘরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের ঠিকমতো তাঁর দেখভাল করা এবং জমি নিজের নামে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রায় শতবর্ষী বৃদ্ধা মায়ের নামে রয়েছে দুই কোটি টাকা মূল্যের আট বিঘা জমি। সেই জমি সহোদর সেজো ভাই ও হারিয়ে যাওয়া ছোট ভাই এবং দুই বোনকে ফাঁকি দিয়ে বড় দুই ভাই ফজলুর রহমান ও বজলুর রহমান লিখে নিতে চান। সে মোতাবেক বড় ভাইয়ের ছেলে জাকির হোসেন তাঁর ছোট চাচা (বৃদ্ধার ছোট ছেলে) জামির হোসেনের বাড়ি থেকে দাদিকে নিয়ে আসেন নিজেদের বাড়িতে। তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষর করে মেজো ছেলে বজলুর রহমানের নামে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করে নেন মায়ের নামে থাকা আট বিঘা জমি।
যে জমির প্রতি শতকের মূল্য স্থানীয়দের মতে ৭০ হাজার টাকা করে; যাতে ৮ বিঘা অর্থাৎ ২৬৪ শতাংশ জমির বাজারমূল্য এক কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাঁড়ায়। জমির পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করেই ছাড়েনি বজলু ও ফজলু। জমির লিখে নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করে মাকে তাঁরা ফেলে রাখেন একটি জরাজীর্ণ ঘরের বারান্দায়। মাটির ঘরটিতে জং ধরা টিনের ছাউনি, যেখানে বৃষ্টি এলেই পানি পড়ে। নেই আলো। এমন পরিবেশেই বৃদ্ধা মা আছিরন বেগম একটি ছেঁড়া কম্বলের মধ্যেই পড়ে থাকেন খেয়ে না খেয়ে। গোসল করানো বা পরিষ্কারও কেউ করায় না। বাড়ির পাশের কেউ যদি কখনো পরিষ্কার করিয়ে দেন তো সেটাই সই।
খবর পেয়ে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরুফা সুলতানা গতকাল বুধবার দুপুরে ছুটে যান হাকিমপুর ইউনিয়নের তজবীজপুর গ্রামে। সেখানে গেলে দেখা যায়, বৃদ্ধা আছিরন বেগম একটি মলমূত্রে পরিপূর্ণ একটি ছেঁড়া কম্বলে জড়িয়ে বসে আছেন। অথচ তিন ছেলেরই রয়েছে ফ্ল্যাট বাড়ি। মেজ ছেলে বজলুর ফ্ল্যাট বাড়ির চার কক্ষের দুটিই থাকে ফাঁকা। একটিতে তিনি এবং একটিতে তাঁর ছেলের স্ত্রী থাকেন। ছেলে চাকরির সুবাদে খুলনায় থাকেন। বৃদ্ধার বড় ছেলের তিন ছেলের মধ্যে দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন। অন্য ছেলে জাকির হোসেন বাড়িতে থাকেন। তাঁদেরও ফ্ল্যাট বাড়ি। অন্য একটি ফ্ল্যাট বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। সেজো ছেলে জামিরেরও ফ্ল্যাট বাড়ি।
ইউএনও ইরুফা সুলতানা ওই মায়ের জন্য কয়েক রকমের ফল কিনে নিয়ে যান। সেখানে ওই মায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন তিনি। বৃদ্ধার শরীর এবং কম্বল থেকে গন্ধ বের হওয়ায় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেন সেগুলো পরিবর্তন করে দিতে। তবে ইউএনওর সামনেও মিথ্যা বলতে থাকেন বৃদ্ধার ছেলে বজলুর রহমান। তিনি বলতে থাকেন, ‘আমরা দুই ভাই (ফজলু ও বজলু) মাকে সব সময় দেখে রাখি।’
তাহলে মায়ের এই অবস্থা কেন? কম্বলে মলমূত্র কেন? ইউএনও এ প্রশ্ন করলে আর কোনো জবাব দিতে পারেননি বজলুর রহমান। এ সময় বৃদ্ধার সেজো ছেলে জামির হোসেনের দুই মেয়ে ও স্ত্রী এসে বলেন, বজলু ও ফজলু ওই মায়ের জমি থেকে তাঁদের বঞ্চিত করতে তাঁদের বাড়ি থেকে বৃদ্ধা আছিরনকে নিয়ে এসেছেন। তাঁরা বাঁধা দেওয়ায় মারধরও করেছেন চাচা বজলু ও চাচাতো ভাই জাকির। তবে তাঁদের আরেক চাচা রয়েছেন, এ বিষয়টি তাঁরাও এড়িয়ে যান। তাঁরা দাবি করেন, তাঁদের মারধর করায় তাঁরা এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছেন বজলু। বজলুরা চার ভাই, দুই বোন। তাঁদের সব থেকে ছোট ভাই রমজান হোসেন প্রায় ৩০ বছর আগে হারিয়ে যায়। তাঁরও দুটি মেয়ে রয়েছে। তাঁদের বাবা মারা যাওয়ার পর মায়ের সঙ্গে তাঁরা কোটচাঁদপুরে মামা বাড়িতে থাকতেন। তাঁদের দুই বোনেরও বিয়ে হয়ে গেছে। ওই ছোট ভাই রমজানের জমিও বড় ভাই ফজলুর রহমান নিজের নামে করে নিয়েছেন।
ইউএনও ইরুফা সুলতানা আইনের ব্যাখ্যা করে বৃদ্ধার মেজ ছেলে বজলু এবং বড় ছেলে ফজলুর ছেলে জাকিরকে নির্দেশ দেন বৃদ্ধার জমি বৃদ্ধার নামে ফেরত দিয়ে কাগজপত্র তাঁকে দেখাতে হবে। আর তিন ছেলে প্রয়োজনে পর্যায়ক্রমে এক মাস করে মায়ের দেখভাল করবেন। এর অন্যথা হলে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তখন মেজ ছেলে বজলু কথা দেন, অন্য কোনো ভাই না দেখলেও তিনি বাকি জীবন মায়ের দেখভাল করবেন এবং বৃহস্পতিবারই মায়ের নামের জমি মায়ের নামে ফেরত দিয়ে কাগজপত্র ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে দেখিয়ে আসবেন। সর্বশেষ ছেলে বজলু ও নাতি জাকির কোলে করে বৃদ্ধাকে ছেলে বজলুর ঘরে নিয়ে একটি পরিষ্কার বিছানায় শুইয়ে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘একটি মাধ্যমে শুনে ওই বাড়িতে গিয়ে বৃদ্ধা মাকে তাঁর ছেলের ঘরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের ঠিকমতো তাঁর দেখভাল করা এবং জমি নিজের নামে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪