নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের এ দেশে আয় করে তা নিজ দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর বসিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আর এ কর আদায়ে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে কোনো বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ আয় করবে, তা নিজের দেশে পাঠাতে হলে সেই আয় থেকে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর কেটে রাখতে হবে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বিদেশিদের নিজ দেশে অর্থ পাঠাতে এ দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি অবলম্বন করে করের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, কোনো বিদেশি নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে আইনি সেবার বিপরীতে ১০০ টাকা আয় করে তা নিজ দেশে পাঠাতে চাইলে, তার কাছ থেকে ২০ টাকা কর বাবদ কেটে রেখে বাকি ৮০ টাকা নিজ দেশে পাঠাতে পারবে। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের কাজে জড়িত অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকসমূহ বিদেশিদের অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে এনবিআরের কর পরিশোধিত প্রত্যায়নপত্র যাচাই করে তা পাঠাতে দেবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, এখন থেকে কোনো বিদেশি ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান এনবিআরের কর পরিশোধের প্রত্যায়নপত্র ছাড়া কোনো অর্থ নিজ দেশে পাঠাতে পারবে না। আর নিয়ম মেনে না চললে এবং অনিয়ম প্রমাণিত হলে তার উৎসে কর কর্তন বা এনবিআরের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দিলে সেই খেলাপি অর্থের বিপরীতে জরিমানা হিসেবে মাসে ২ শতাংশ জরিমানা দিতে হবে। এনবিআরের আয়কর নীতি বিভাগের সম্প্রতি জারি করা একটি পত্রের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ গতকাল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ প্রাপ্ত আয়ের ওপর সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ কর কর্তন করা হবে। কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির আইনি সহায়তা বা আইনগত সেবা প্রদানের মাধ্যমে যে আয় করবেন, সেখান থেকে ২০ শতাংশ অর্থ কর বাবদ কেটে নেওয়া হবে। একইভাবে কোনো বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল বিজ্ঞাপন প্রচার করে বাংলাদেশ থেকে যে আয় করবে, সেখান থেকে ২০ শতাংশ কর কর্তন করা যাবে। অনলাইন বা ইন্টারনেটভিত্তিক ডিজিটাল বিপণন যা টেলিভিশন ব্যতীত মোবাইল ডিভাইস বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়, সেখান থেকে প্রাপ্ত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর কর্তন করা হবে। কোনো বিদেশি ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞাপন নির্মাণ বা একই ধরনের সেবা প্রদান করে যে আয় করেন, সেখান থেকে ১৫ শতাংশ কর কর্তন করা হবে। পাশাপাশি কানাডাভিত্তিক কলিশন গ্রুপ ‘প্রায়োরিটি পাস’-এর মাধ্যমে বিমানবন্দরে অবস্থিত লাউঞ্জে যাত্রীদের বিশেষ সেবা দিয়ে যে আয় করেন, সেখান থেকে ২০ শতাংশ কর কর্তন করা হবে। কর প্রদানের পরে এনবিআরের প্রত্যায়নপত্র ব্যাংকে দেখিয়ে অবশিষ্ট অর্থ নিতে পারবে গ্রুপটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এখন বাংলাদেশ থেকে যে আয় করবেন, তা থেকে বিভিন্ন আয়ের খাতভেদে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কর প্রদান করবে। আর কর দেওয়ার পরে এনবিআরের প্রত্যায়নপত্র সংগ্রহ করে তা ব্যাংকে দেখিয়ে অবশিষ্ট অর্থ সংশ্লিষ্ট দেশে পাঠাতে পারবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলতি বছরের জুন পর্যন্ত করহার অপরিবর্তিত থাকবে। নতুন এ আদেশের বিষয়ে এনবিআরের করনীতি শাখার দ্বিতীয় সচিব বাপন চন্দ্র দাস বলেন, বিদেশিরা আয়কর আইন অনুযায়ী নির্ধারিত কর প্রদান করবে। এ নিয়ম ভঙ্গ করলে তাদের জরিমানা করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন এ কড়াকড়ির ফলে ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপন থেকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের আয়, বিদেশি টিভির বিজ্ঞাপন থেকে আয়সহ বিভিন্ন খাত থেকে সরকারের আয়কর পাওয়ার সুযোগ বাড়ল। তবে তার জন্য নজরদারির প্রয়োজন হবে বলেও তাঁরা জানান।
বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের এ দেশে আয় করে তা নিজ দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর বসিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আর এ কর আদায়ে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে কোনো বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ আয় করবে, তা নিজের দেশে পাঠাতে হলে সেই আয় থেকে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর কেটে রাখতে হবে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বিদেশিদের নিজ দেশে অর্থ পাঠাতে এ দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি অবলম্বন করে করের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, কোনো বিদেশি নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে আইনি সেবার বিপরীতে ১০০ টাকা আয় করে তা নিজ দেশে পাঠাতে চাইলে, তার কাছ থেকে ২০ টাকা কর বাবদ কেটে রেখে বাকি ৮০ টাকা নিজ দেশে পাঠাতে পারবে। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের কাজে জড়িত অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকসমূহ বিদেশিদের অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে এনবিআরের কর পরিশোধিত প্রত্যায়নপত্র যাচাই করে তা পাঠাতে দেবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, এখন থেকে কোনো বিদেশি ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান এনবিআরের কর পরিশোধের প্রত্যায়নপত্র ছাড়া কোনো অর্থ নিজ দেশে পাঠাতে পারবে না। আর নিয়ম মেনে না চললে এবং অনিয়ম প্রমাণিত হলে তার উৎসে কর কর্তন বা এনবিআরের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দিলে সেই খেলাপি অর্থের বিপরীতে জরিমানা হিসেবে মাসে ২ শতাংশ জরিমানা দিতে হবে। এনবিআরের আয়কর নীতি বিভাগের সম্প্রতি জারি করা একটি পত্রের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ গতকাল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ প্রাপ্ত আয়ের ওপর সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ কর কর্তন করা হবে। কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির আইনি সহায়তা বা আইনগত সেবা প্রদানের মাধ্যমে যে আয় করবেন, সেখান থেকে ২০ শতাংশ অর্থ কর বাবদ কেটে নেওয়া হবে। একইভাবে কোনো বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল বিজ্ঞাপন প্রচার করে বাংলাদেশ থেকে যে আয় করবে, সেখান থেকে ২০ শতাংশ কর কর্তন করা যাবে। অনলাইন বা ইন্টারনেটভিত্তিক ডিজিটাল বিপণন যা টেলিভিশন ব্যতীত মোবাইল ডিভাইস বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়, সেখান থেকে প্রাপ্ত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর কর্তন করা হবে। কোনো বিদেশি ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞাপন নির্মাণ বা একই ধরনের সেবা প্রদান করে যে আয় করেন, সেখান থেকে ১৫ শতাংশ কর কর্তন করা হবে। পাশাপাশি কানাডাভিত্তিক কলিশন গ্রুপ ‘প্রায়োরিটি পাস’-এর মাধ্যমে বিমানবন্দরে অবস্থিত লাউঞ্জে যাত্রীদের বিশেষ সেবা দিয়ে যে আয় করেন, সেখান থেকে ২০ শতাংশ কর কর্তন করা হবে। কর প্রদানের পরে এনবিআরের প্রত্যায়নপত্র ব্যাংকে দেখিয়ে অবশিষ্ট অর্থ নিতে পারবে গ্রুপটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এখন বাংলাদেশ থেকে যে আয় করবেন, তা থেকে বিভিন্ন আয়ের খাতভেদে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কর প্রদান করবে। আর কর দেওয়ার পরে এনবিআরের প্রত্যায়নপত্র সংগ্রহ করে তা ব্যাংকে দেখিয়ে অবশিষ্ট অর্থ সংশ্লিষ্ট দেশে পাঠাতে পারবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলতি বছরের জুন পর্যন্ত করহার অপরিবর্তিত থাকবে। নতুন এ আদেশের বিষয়ে এনবিআরের করনীতি শাখার দ্বিতীয় সচিব বাপন চন্দ্র দাস বলেন, বিদেশিরা আয়কর আইন অনুযায়ী নির্ধারিত কর প্রদান করবে। এ নিয়ম ভঙ্গ করলে তাদের জরিমানা করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন এ কড়াকড়ির ফলে ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপন থেকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের আয়, বিদেশি টিভির বিজ্ঞাপন থেকে আয়সহ বিভিন্ন খাত থেকে সরকারের আয়কর পাওয়ার সুযোগ বাড়ল। তবে তার জন্য নজরদারির প্রয়োজন হবে বলেও তাঁরা জানান।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে