Ajker Patrika

রেলপথের ৭৬% কাজ শেষ

নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ২৩
রেলপথের ৭৬% কাজ শেষ

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ সহজ করতে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগ নেয় সরকার। দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে কমলাপুর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮১ দশমিক ৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের কাজ। এর মধ্যে পদ্মা সেতুসহ মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের ৪২ দশমিক ৩ কিলোমিটার নির্মাণকাজের ৭৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।

শেষ হয়েছে মূল সেতুর জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তের ৬ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্টের নির্মাণকাজ। এর মধ্যে ৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটারে বসেছে ব্যালাস্টলেস ট্র্যাক। রেলপথের ভায়াডাক্টের পিএস ২৫ নম্বর পিয়ারের জটিলতা কাটিয়ে এখন চলছে সেতু পর্যন্ত রেল স্লিপার বসানোর কাজ। চলতি মাসে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে শিবচর স্টেশন ও ভাঙ্গা জংশনের নির্মাণকাজ।

রেল সংযোগ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু আগামী জুনে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে। আর রেল সেতু চালু হতে পারে আগামী ডিসেম্বরে। সর্বশেষ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পুরো রেলপথের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫২ শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকা-মাওয়া অংশের অগ্রগতি ৪৯ শতাংশ, ভাঙ্গা-যশোর অংশের অগ্রগতি ৪৪ শতাংশ এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলমান মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের কাজের অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ। ঢাকা থেকে কেরানীগঞ্জ ও পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা ছিল ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের আওতায় ৪৩ দশমিক ২২ কিলোমিটার লুপ ও সাইডিং লাইন, ৫৮টি মেজর সেতু, ২৭৩টি মাইনর সেতু, কালভার্ট ও আন্ডারপাস, ২০টি স্টেশন, ১০০টি ব্রডগেজ কোচ কেনাসহ ২ হাজার ৪২৬ একর ভূমি অধিগ্রহণের সংস্থান রয়েছে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত সেকশনের কাজ তিনটি সেকশনে ভাগ করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে।

গতকাল শনিবার পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের রেল প্রকল্পের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পদ্মা সেতু থেকে নামার পর নাওডোবা এলাকার নির্মিত ভায়াডাক্টের শেষ প্রান্তে শ্রমিকেরা রেললাইন স্থাপনের জন্য মাটি ভরাট করা উঁচু অংশে ওঠানামার জন্য সিঁড়ি নির্মাণ করছেন। ভায়াডাক্টের ওপর নির্মিত রেললাইনে বসানো হয়েছে রেল ইঞ্জিন। এই রেল ইঞ্জিন ব্যবহার করে জরুরি নির্মাণসামগ্রী নেওয়া হচ্ছে গন্তব্যে। কিছুদূর আগালেই চোখে পড়ে শরীয়তপুরের যাত্রীদের জন্য নির্মাণাধীন পদ্মা স্টেশনের বিশাল কর্মযজ্ঞ। মূল টার্মিনাল ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের পথে। এ ছাড়া বিশাল আকৃতির আরও দুটি ভবনের নির্মাণকাজও এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে।

রেললাইনের সিঁড়ি তৈরির কাজে কর্মরত একজন শ্রমিক রেজাউল বলেন, ভায়াডাক্টের অংশে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। ভায়াডাক্টের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উঁচু রেললাইন। দ্রুতই শুরু হবে এই অংশের রেললাইন ও স্লিপার বসানোর কাজ। কাজের সুবিধার্থে উঁচু ওই রেলপথে ওঠানামা ও নির্মাণসামগ্রী তুলতে সিঁড়ি নির্মাণ করছি। সিঁড়ির কাজ শেষে শুরু হবে মূল রেললাইন স্থাপনের কাজ।’

পদ্মা স্টেশনে কর্মরত শেখ ফরিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্টেশনের মূল ভবনের অবকাঠামোর নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। অপর ভবনের ছাদ ঢালাই শেষ হয়েছে। এ ছাড়া অন্য একটি বহুতল ভবনের বেসমেন্টের ঢালাই শেষ হয়েছে।’

শরীয়তপুরের নাওডোবা এলাকার বাসিন্দা বাদল জমাদ্দার বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষ রেল সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন। পদ্মা সেতুর সঙ্গে রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকায় দেশের যেকোনো প্রান্তে যাতায়াত করতে পারব।’

পদ্মা সেতু রেল সংযোগের ব্রিজ ও ভায়াডাক্ট প্রকল্পের সহকারী পরিচালক শামীমা নাসরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনা মহামারিতে অনেক সময় অপচয় হয়েছে। এখন পুরোদমে নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মাওয়া ভাঙ্গা অংশের নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্যেই কাজ এগিয়ে চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত