কে এম মিঠু, গোপালপুর
গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের কয়ারখাল। একটা সময় এ খাল ছিল আশীর্বাদ। আর এখন এটি অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংস্কার না করায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে জলাবদ্ধতায় সহস্রাধিক একর জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, গুর্জশাখাই বিল থেকে কয়ারখালের উৎপত্তি। এটি গাংগাপাড়াদহ, গোয়ালপাড়া ও আইনপুর হয়ে ঘাটাইল উপজেলার শালিয়াজানীর মৃতপ্রায় ইনাই নদীতে মিশেছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় খালটি এখন ভরাট হয়ে গেছে। ফলে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
ধোপাকান্দি ইউনিয়নের গুর্জশাখাই বিলের চারদিকে কামদেববাড়ী, ভুটিয়া, রামজীবনপুর, বাগুয়া, সুজনবাড়ি, মাঝিবাড়ি, লক্ষ্মীপুর, চক সোনামোদী ও পঞ্চাশ গ্রাম অবস্থিত। উত্তর পাশের আড়ালিয়া বিলের পানি ছাড়া ভুটিয়া খাল, কামদেববাড়ী খাল, রামজীবনপুর খাল, বাখুরিয়াবাড়ি খাল এবং গুয়াবাড়ি খাল হয়ে আশপাশের বহু গ্রামের নিম্নাঞ্চলের পানি গুর্জশাখাই বিলে পড়ে।
সুজনবাড়ি গ্রামের কৃষক আবু হানিফ বলেন, এক দশক আগেও বিলের উর্বর জমিতে ফলত বোরো ও আমন ধান। বছরে দুটি ফসল উৎপন্ন হওয়ায় কৃষকদের ভাত নিয়ে ভাবতে হতো না। কিন্তু কালক্রমে খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিলের পানি নিষ্কাশন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিলের দুই ফসলি জমি এক ফসলিতে পরিণত হয়। কোনো কোনো মৌসুমে ফসলও সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না।
বাগুয়া গ্রামের কৃষক হাফিজ মিয়া বলেন, চার কিলোমিটার দীর্ঘ কয়ারখাল সংস্কার না করায় গুর্জশাখাই বিলে বুকসমান পানি জমে থাকে। ফলে বিলের জমিতে আগাম রোপা আমন লাগানো যায় না। বোরো চারা রোপণেও বিলম্ব ঘটে। আর বিলম্বে চারা রোপণের দরুন বোরো ধান পাকতে দেরি হয়। তখন বোরো ফসল পানিতে ডুবে যায়।
বাগুয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক জানান, তিন-চার বছর ধরেই বোরো ফসল পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। গত বোরো মৌসুমে সুজনবাড়ি গ্রামের কৃষক উসমান গনির ৫ বিঘা, আব্দুল খালেকের ৪ বিঘা, আব্দুল বারীর ৩ বিঘা, আবু হানিফের ১১ বিঘা, ইয়াকুব আলীর ৩ বিঘা ও বাগুয়া গ্রামের হাফিজ মিয়ার ৩ বিঘা বোরো ফসল বিনষ্ট হয়। প্রতিবছর আশপাশের ৯ গ্রামের তিন শতাধিক কৃষকের সহস্রাধিক একর বোরো ফসল বিনষ্ট হয়। খাল সংস্কারের দাবিতে কৃষি অফিস, এলজিইডি অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে ধরনা দিয়েও লাভ হয়নি।
ধোপাকাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, খালটি সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি দল সরেজমিন তদন্ত করে গেছেন।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরেজমিন তদন্তের পর খাল খননের জন্য একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই খালটি সংস্কারের কাজ শুরু করা যাবে।
গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের কয়ারখাল। একটা সময় এ খাল ছিল আশীর্বাদ। আর এখন এটি অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংস্কার না করায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে জলাবদ্ধতায় সহস্রাধিক একর জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, গুর্জশাখাই বিল থেকে কয়ারখালের উৎপত্তি। এটি গাংগাপাড়াদহ, গোয়ালপাড়া ও আইনপুর হয়ে ঘাটাইল উপজেলার শালিয়াজানীর মৃতপ্রায় ইনাই নদীতে মিশেছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় খালটি এখন ভরাট হয়ে গেছে। ফলে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
ধোপাকান্দি ইউনিয়নের গুর্জশাখাই বিলের চারদিকে কামদেববাড়ী, ভুটিয়া, রামজীবনপুর, বাগুয়া, সুজনবাড়ি, মাঝিবাড়ি, লক্ষ্মীপুর, চক সোনামোদী ও পঞ্চাশ গ্রাম অবস্থিত। উত্তর পাশের আড়ালিয়া বিলের পানি ছাড়া ভুটিয়া খাল, কামদেববাড়ী খাল, রামজীবনপুর খাল, বাখুরিয়াবাড়ি খাল এবং গুয়াবাড়ি খাল হয়ে আশপাশের বহু গ্রামের নিম্নাঞ্চলের পানি গুর্জশাখাই বিলে পড়ে।
সুজনবাড়ি গ্রামের কৃষক আবু হানিফ বলেন, এক দশক আগেও বিলের উর্বর জমিতে ফলত বোরো ও আমন ধান। বছরে দুটি ফসল উৎপন্ন হওয়ায় কৃষকদের ভাত নিয়ে ভাবতে হতো না। কিন্তু কালক্রমে খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিলের পানি নিষ্কাশন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিলের দুই ফসলি জমি এক ফসলিতে পরিণত হয়। কোনো কোনো মৌসুমে ফসলও সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না।
বাগুয়া গ্রামের কৃষক হাফিজ মিয়া বলেন, চার কিলোমিটার দীর্ঘ কয়ারখাল সংস্কার না করায় গুর্জশাখাই বিলে বুকসমান পানি জমে থাকে। ফলে বিলের জমিতে আগাম রোপা আমন লাগানো যায় না। বোরো চারা রোপণেও বিলম্ব ঘটে। আর বিলম্বে চারা রোপণের দরুন বোরো ধান পাকতে দেরি হয়। তখন বোরো ফসল পানিতে ডুবে যায়।
বাগুয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক জানান, তিন-চার বছর ধরেই বোরো ফসল পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। গত বোরো মৌসুমে সুজনবাড়ি গ্রামের কৃষক উসমান গনির ৫ বিঘা, আব্দুল খালেকের ৪ বিঘা, আব্দুল বারীর ৩ বিঘা, আবু হানিফের ১১ বিঘা, ইয়াকুব আলীর ৩ বিঘা ও বাগুয়া গ্রামের হাফিজ মিয়ার ৩ বিঘা বোরো ফসল বিনষ্ট হয়। প্রতিবছর আশপাশের ৯ গ্রামের তিন শতাধিক কৃষকের সহস্রাধিক একর বোরো ফসল বিনষ্ট হয়। খাল সংস্কারের দাবিতে কৃষি অফিস, এলজিইডি অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে ধরনা দিয়েও লাভ হয়নি।
ধোপাকাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, খালটি সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি দল সরেজমিন তদন্ত করে গেছেন।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরেজমিন তদন্তের পর খাল খননের জন্য একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই খালটি সংস্কারের কাজ শুরু করা যাবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে