কুবি প্রতিনিধি
বিভিন্ন সময় উপাচার্যের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের পর এবার কোষাধ্যক্ষকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের বিরুদ্ধে। নিজের পছন্দের লোককে টেন্ডার পাইয়ে দিতে গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামানের কার্যালয়ে অনুমতি ছাড়া ঢুকে চাপ প্রয়োগ করেন তিনি।
কোষাধ্যক্ষের দপ্তর ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির মিটিং শেষে দুপুর সোয়া ২টার দিকে কোষাধ্যক্ষ নিজ কক্ষে খাবার খেতে বসেন। এ সময় কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস অনুমতি ছাড়াই কোষাধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে তাঁকে বিভিন্ন কাজের জবাবদিহি করতে বলেন। সঙ্গে ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কিংয়ের (ওয়াইফাই) প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ টাকার প্রকল্পের টেন্ডার নিজের পছন্দের লোককে দিতে বলেন। এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত উত্তর না পেয়ে ইলিয়াস উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
এদিকে বাগ্বিতণ্ডা শুরুর প্রায় ২০ মিনিট পর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে পূর্বনির্ধারিত মিটিংয়ের জন্য কোষাধ্যক্ষের কক্ষে উপস্থিত হন অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, একই দপ্তরের উপপরিচালক মো. নাছির উদ্দিন, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন। তাঁরা এসেও কোষাধ্যক্ষ ও ইলিয়াসের মধ্যে কথাকাটাকাটি দেখতে পান। তাঁরা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা ইলিয়াসকে শান্ত হতে বলি বারবার; কিন্তু ইলিয়াস বেশ উত্তেজিত অবস্থায় ছিল।’
সেখানে উপস্থিত অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন টেন্ডার, আসবাবপত্র নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হচ্ছিল। ইলিয়াস বলছিল শেখ হাসিনা হলের আসবাবপত্র নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন সরকারি প্রতিষ্ঠান; কোনো ব্যক্তিমালিকানার নয়। এখানে টাকা এদিক-সেদিক করার সুযোগ নেই।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একটু দেরিতে গিয়েছিলাম। তখন দেখলাম কথাকাটাকাটি চলছে। সম্ভবত কোনো টেন্ডার নিয়ে কথাকাটাকাটি হচ্ছিল।’
অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপপরিচালক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘স্যারের সঙ্গে আমাদের মিটিং ছিল। আমরা গিয়ে দেখলাম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে ইলিয়াসের কথাকাটাকাটি হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় আমাদের মিটিং আর হয়নি।’
এসব ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ইলিয়াস আমার রুমে খুবই আক্রমণাত্মকভাবে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ওয়াইফাইয়ের জন্য নেটওয়ার্কিংয়ের টেন্ডার তার সুপারিশকৃত কোম্পানিকে দিতে বলে। কিন্তু তার কথামতো তো আর সব হবে না। সে আমার সঙ্গে এমনভাবে কথা বলেছে, যা একজন শিক্ষার্থী হিসেবে কাম্য নয়।’
তবে কোষাধ্যক্ষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘আমি ট্রেজারারের রুমে অনুমতি নিয়ে গেছি। আমি বলেছি, শেখ হাসিনা হল এবং বঙ্গবন্ধু হলের নতুন ভবনের আসবাব ও ওয়াই-ফাই সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য যাকে কাজ দিক, দ্রুত দিক। আমি ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্রছাত্রীর সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘ওরা চেষ্টা করছে যেন ওদের পছন্দের লোককে কাজ দিই। কিন্তু আমরা তো কারও পছন্দের লোককে কাজ দেব না। যথাযথ প্রক্রিয়ায় টেন্ডার দেওয়া হবে। এসব ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলবে না।’
এর আগে গত ৩১ মার্চ বিভিন্ন ‘অনৈতিক দাবিদাওয়া’ না মানায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের গাড়ি আটকে রেখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস। পরবর্তী সময়ে উপাচার্যের সঙ্গে টেন্ডার ও নিয়োগ নিয়ে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়।
বিভিন্ন সময় উপাচার্যের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের পর এবার কোষাধ্যক্ষকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের বিরুদ্ধে। নিজের পছন্দের লোককে টেন্ডার পাইয়ে দিতে গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামানের কার্যালয়ে অনুমতি ছাড়া ঢুকে চাপ প্রয়োগ করেন তিনি।
কোষাধ্যক্ষের দপ্তর ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির মিটিং শেষে দুপুর সোয়া ২টার দিকে কোষাধ্যক্ষ নিজ কক্ষে খাবার খেতে বসেন। এ সময় কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস অনুমতি ছাড়াই কোষাধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে তাঁকে বিভিন্ন কাজের জবাবদিহি করতে বলেন। সঙ্গে ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কিংয়ের (ওয়াইফাই) প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ টাকার প্রকল্পের টেন্ডার নিজের পছন্দের লোককে দিতে বলেন। এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত উত্তর না পেয়ে ইলিয়াস উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
এদিকে বাগ্বিতণ্ডা শুরুর প্রায় ২০ মিনিট পর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে পূর্বনির্ধারিত মিটিংয়ের জন্য কোষাধ্যক্ষের কক্ষে উপস্থিত হন অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, একই দপ্তরের উপপরিচালক মো. নাছির উদ্দিন, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন। তাঁরা এসেও কোষাধ্যক্ষ ও ইলিয়াসের মধ্যে কথাকাটাকাটি দেখতে পান। তাঁরা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা ইলিয়াসকে শান্ত হতে বলি বারবার; কিন্তু ইলিয়াস বেশ উত্তেজিত অবস্থায় ছিল।’
সেখানে উপস্থিত অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন টেন্ডার, আসবাবপত্র নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হচ্ছিল। ইলিয়াস বলছিল শেখ হাসিনা হলের আসবাবপত্র নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন সরকারি প্রতিষ্ঠান; কোনো ব্যক্তিমালিকানার নয়। এখানে টাকা এদিক-সেদিক করার সুযোগ নেই।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একটু দেরিতে গিয়েছিলাম। তখন দেখলাম কথাকাটাকাটি চলছে। সম্ভবত কোনো টেন্ডার নিয়ে কথাকাটাকাটি হচ্ছিল।’
অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপপরিচালক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘স্যারের সঙ্গে আমাদের মিটিং ছিল। আমরা গিয়ে দেখলাম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে ইলিয়াসের কথাকাটাকাটি হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় আমাদের মিটিং আর হয়নি।’
এসব ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ইলিয়াস আমার রুমে খুবই আক্রমণাত্মকভাবে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ওয়াইফাইয়ের জন্য নেটওয়ার্কিংয়ের টেন্ডার তার সুপারিশকৃত কোম্পানিকে দিতে বলে। কিন্তু তার কথামতো তো আর সব হবে না। সে আমার সঙ্গে এমনভাবে কথা বলেছে, যা একজন শিক্ষার্থী হিসেবে কাম্য নয়।’
তবে কোষাধ্যক্ষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘আমি ট্রেজারারের রুমে অনুমতি নিয়ে গেছি। আমি বলেছি, শেখ হাসিনা হল এবং বঙ্গবন্ধু হলের নতুন ভবনের আসবাব ও ওয়াই-ফাই সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য যাকে কাজ দিক, দ্রুত দিক। আমি ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্রছাত্রীর সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘ওরা চেষ্টা করছে যেন ওদের পছন্দের লোককে কাজ দিই। কিন্তু আমরা তো কারও পছন্দের লোককে কাজ দেব না। যথাযথ প্রক্রিয়ায় টেন্ডার দেওয়া হবে। এসব ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলবে না।’
এর আগে গত ৩১ মার্চ বিভিন্ন ‘অনৈতিক দাবিদাওয়া’ না মানায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের গাড়ি আটকে রেখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস। পরবর্তী সময়ে উপাচার্যের সঙ্গে টেন্ডার ও নিয়োগ নিয়ে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে