নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাস ও ট্রেনে যাত্রীসংকট দেখা দিয়েছে।
এ কারণে অনেক বাসের যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে পরিবহন সংস্থাগুলোকে। অর্ধেকেরও কম যাত্রী নিয়ে চলছে ট্রেন। গত চার দিন এমন অবস্থা বিরাজ করছে। ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে যাত্রীরা যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
গতকাল শনিবার রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এবং নগরীর শিরোইল ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, কোথাও যাত্রীর কোনো চাপ নেই। বাসের কাউন্টারগুলো ফাঁকা।
কাউন্টারের সামনে নেই যাত্রীর কোলাহল। যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করা বাসের সংখ্যাও কমেছে। আজ রোববার অথবা আগামীকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে যাত্রী আসতে পারেন বলে ধারণা করছেন কাউন্টার মাস্টাররা।
পরিবহন সংস্থা ন্যাশনাল ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার মাসুদ রানা বলেন, ‘৭ ডিসেম্বর থেকে যাত্রী কমে গেছে। আমরা প্রতি এক ঘণ্টা পরপর স্বাভাবিক সময়ে গাড়ি ছাড়ি।
এখন তিন ঘণ্টা পরপর গাড়ি দিয়েও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। গত শনিবার বেলা ২টার গাড়িতে যাত্রী হয়েছিল মাত্র দুজন। বাধ্য হয়ে এই গাড়িটিরও যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে।’
মাসুদ রানা আরও বলেন, বিএনপির সমাবেশ নিয়ে ভয়ে যাত্রীরা ঢাকা যাচ্ছেন না। তাঁরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তা ছাড়া রাস্তায় ব্যাপক তল্লাশি চলছে। হয়রানি এড়াতে অনেকে যাচ্ছেন না। একবার ঢাকা যাওয়া-আসা করতে কোম্পানির প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। এই টাকাই এখন উঠছে না। সে কারণে গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজশাহীর গ্রামীণ ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার আশিকুল আলম দীপ্ত জানান, রোজ তাঁদের ৩০টি গাড়ি রাজশাহী থেকে ঢাকা যায়। শনিবার বেলা দু্ইটা পর্যন্ত একটা গাড়িও ছাড়তে পারেননি যাত্রী না থাকার কারণে।
দেশ ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা জানান, তাঁদেরও প্রতিদিন ২৫টি গাড়ি ঢাকা যায়। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র একটি গাড়ি গেছে। সকাল নয়টার গাড়ি ১১টায় ছেড়েও গাড়িতে যাত্রী হয়েছে মাত্র ১৮ জন। যাত্রীর অভাবে তাঁরা কোনো এসি গাড়ি চালাতে পারছেন না। মাঝে মাঝে একটা করে নন-এসি গাড়ি দিচ্ছেন।
একতা ট্রান্সপোর্টের টিকিট মাস্টার গোলাম মোর্ত্তজা সজিবও জানালেন যাত্রীসংকটের কথা। তিনি বলেন, প্রতিদিন তাঁদের ২৫টি গাড়ি ঢাকা গেলেও শনিবার দুপুর পর্যন্ত মাত্র একটি গাড়ি গেছে। এই গাড়িতে যাত্রী ছিল মাত্র ১৩ জন।
আবু হাসান নামের এক ব্যক্তি ন্যাশনাল ট্রাভেলসের রাজশাহী কাউন্টারে আসেন যাত্রার তারিখ পরিবর্তন করতে। তিনি বলেন, গতকাল বেলা ২টা ৪৫ মিনিটের গাড়ির জন্য তাঁর টিকিট কাটা ছিল। ঢাকার পরিস্থিতি ভালো মনে হচ্ছে না বলে তিনি যাত্রার সময় পরিবর্তন করতে এসেছেন। আগামী সোমবার তিনি একই সময়ের গাড়িতে ঢাকা যেতে চান।
বাসের পাশাপাশি ট্রেনেও দেখা দিয়েছে যাত্রীসংকট। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম জানান, যথাসময়ে সব ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে যাত্রীর সংখ্যা কম। শনিবার বনলতা এক্সপ্রেস ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে অর্ধেকেরও কম যাত্রী নিয়ে। বিকেলের পদ্মা এক্সপ্রেসেও যাত্রীর চাপ ছিল না।
রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাস ও ট্রেনে যাত্রীসংকট দেখা দিয়েছে।
এ কারণে অনেক বাসের যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে পরিবহন সংস্থাগুলোকে। অর্ধেকেরও কম যাত্রী নিয়ে চলছে ট্রেন। গত চার দিন এমন অবস্থা বিরাজ করছে। ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে যাত্রীরা যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
গতকাল শনিবার রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এবং নগরীর শিরোইল ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, কোথাও যাত্রীর কোনো চাপ নেই। বাসের কাউন্টারগুলো ফাঁকা।
কাউন্টারের সামনে নেই যাত্রীর কোলাহল। যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করা বাসের সংখ্যাও কমেছে। আজ রোববার অথবা আগামীকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে যাত্রী আসতে পারেন বলে ধারণা করছেন কাউন্টার মাস্টাররা।
পরিবহন সংস্থা ন্যাশনাল ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার মাসুদ রানা বলেন, ‘৭ ডিসেম্বর থেকে যাত্রী কমে গেছে। আমরা প্রতি এক ঘণ্টা পরপর স্বাভাবিক সময়ে গাড়ি ছাড়ি।
এখন তিন ঘণ্টা পরপর গাড়ি দিয়েও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। গত শনিবার বেলা ২টার গাড়িতে যাত্রী হয়েছিল মাত্র দুজন। বাধ্য হয়ে এই গাড়িটিরও যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে।’
মাসুদ রানা আরও বলেন, বিএনপির সমাবেশ নিয়ে ভয়ে যাত্রীরা ঢাকা যাচ্ছেন না। তাঁরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তা ছাড়া রাস্তায় ব্যাপক তল্লাশি চলছে। হয়রানি এড়াতে অনেকে যাচ্ছেন না। একবার ঢাকা যাওয়া-আসা করতে কোম্পানির প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। এই টাকাই এখন উঠছে না। সে কারণে গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজশাহীর গ্রামীণ ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার আশিকুল আলম দীপ্ত জানান, রোজ তাঁদের ৩০টি গাড়ি রাজশাহী থেকে ঢাকা যায়। শনিবার বেলা দু্ইটা পর্যন্ত একটা গাড়িও ছাড়তে পারেননি যাত্রী না থাকার কারণে।
দেশ ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা জানান, তাঁদেরও প্রতিদিন ২৫টি গাড়ি ঢাকা যায়। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র একটি গাড়ি গেছে। সকাল নয়টার গাড়ি ১১টায় ছেড়েও গাড়িতে যাত্রী হয়েছে মাত্র ১৮ জন। যাত্রীর অভাবে তাঁরা কোনো এসি গাড়ি চালাতে পারছেন না। মাঝে মাঝে একটা করে নন-এসি গাড়ি দিচ্ছেন।
একতা ট্রান্সপোর্টের টিকিট মাস্টার গোলাম মোর্ত্তজা সজিবও জানালেন যাত্রীসংকটের কথা। তিনি বলেন, প্রতিদিন তাঁদের ২৫টি গাড়ি ঢাকা গেলেও শনিবার দুপুর পর্যন্ত মাত্র একটি গাড়ি গেছে। এই গাড়িতে যাত্রী ছিল মাত্র ১৩ জন।
আবু হাসান নামের এক ব্যক্তি ন্যাশনাল ট্রাভেলসের রাজশাহী কাউন্টারে আসেন যাত্রার তারিখ পরিবর্তন করতে। তিনি বলেন, গতকাল বেলা ২টা ৪৫ মিনিটের গাড়ির জন্য তাঁর টিকিট কাটা ছিল। ঢাকার পরিস্থিতি ভালো মনে হচ্ছে না বলে তিনি যাত্রার সময় পরিবর্তন করতে এসেছেন। আগামী সোমবার তিনি একই সময়ের গাড়িতে ঢাকা যেতে চান।
বাসের পাশাপাশি ট্রেনেও দেখা দিয়েছে যাত্রীসংকট। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম জানান, যথাসময়ে সব ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে যাত্রীর সংখ্যা কম। শনিবার বনলতা এক্সপ্রেস ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে অর্ধেকেরও কম যাত্রী নিয়ে। বিকেলের পদ্মা এক্সপ্রেসেও যাত্রীর চাপ ছিল না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে