তানিম আহমেদ, ঢাকা
বেশির ভাগ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত থাকায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তাঁরা সংসদে কী ভূমিকা রাখবেন, তা নির্ধারিত হতে পারে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ইচ্ছায়। তাঁর নির্দেশনার দিকেই তাকিয়ে আছেন নবনির্বাচিত ওই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে তাঁদের যে ভূমিকায় দেখলে খুশি হবেন, তাঁরা সেই অনুযায়ী চলবেন। দলকে অখুশি করে নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে ফেলতে তাঁরা নারাজ। আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের এমন মনোভাব জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের ওই স্বতন্ত্র এমপিরা জানান, আগামী পাঁচ বছর জাতীয় সংসদে তাঁরা কী ভূমিকা রাখবেন, তা নিয়ে সরকারপ্রধান দিকনির্দেশনা দেবেন। দলীয় সভাপতির নির্দেশনা অনুযায়ী সংসদকে প্রাণবন্ত করতে চেষ্টা করবেন তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বতন্ত্র এমপি জানান, দলীয় কৌশলের কারণে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হওয়ায় আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এখন সংসদে বিরোধী অবস্থানে গেলে সেই সম্ভাবনা নষ্ট হবে। পাশাপাশি দলের নেতা-কর্মীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে তিনি দলীয় সভাপতির নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে চান।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা কী ভূমিকা নেবেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিতে প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁদের গণভবনে ডেকেছেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। তিনি গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরশুদিন (রোববার) স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাঁদের ভূমিকার বিষয়ে দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।’
জানা গেছে, মাঠপর্যায়ে আওয়ামী লীগের পদধারী এই স্বতন্ত্র এমপিরা দলের সঙ্গেই থাকতে চান। এ কারণে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই তাঁরা সংসদে সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যদের নির্বাচিত করতে চান।
অবশ্য দলের কোনো কোনো নেতা মনে করেন, এবার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্বতন্ত্র এমপি থাকায় তাঁরা স্বাধীন ভূমিকা রাখলে সংসদ উপকৃত হবে।
জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার যেহেতু সংখ্যায় বেশি, ওনারা ইচ্ছে করলেই সংসদকে প্রাণবন্ত করতে করতে পারেন। কোনো অনিয়ম-অন্যায় হলে আলোচনার মাধ্যমে সরকারকে চাপে রাখতে পারবেন। আমি মনে করি, স্বতন্ত্র এমপিরা নিজ নিজ ভূমিকা রাখলে সংসদ উপকৃত হবে।’
আওয়ামী লীগের যাঁরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের ভূমিকা দলের মনোনয়নে নির্বাচিত এমপিদের মতোই হবে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নিজাম আহমেদ। তিনি বলেন, স্বতন্ত্র এমপিদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের পদধারী হওয়ায় তাঁদের ভবিষ্যৎ রাস্তা খোলা। কারণ, ভোটের দিনও দলীয় এমপি ছিলেন—এমন ব্যক্তিকে হারিয়ে অনেকেই সংসদে এসেছেন। তাই ভবিষ্যৎ কোনোভাবে হুমকির মুখে ফেলতে চাইবেন না তাঁরা।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩, জাতীয় পার্টি ১১, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি ১টি করে আসনে বিজয়ী হয়। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন ৬২ জন।
সংসদে স্বতন্ত্র এমপিদের ভূমিকা নিয়ে গতকাল ২০ জনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের দুজন বাদে সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে পাঁচজন আগেও এমপি ছিলেন। ওই ১৮ জন জানান, দলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় সংসদে কী ভূমিকা হবে, সে বিষয়ে তাঁরা দলীয় প্রধানের দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন।
দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হয়েছিলেন ছানোয়ার হোসেন। এবার স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে সংসদে যোগ দিতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আগে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হওয়ায় আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে হ্যাঁ-তে হ্যাঁ মিলিয়েছি, না-তে না মিলিয়েছি। এখন স্বতন্ত্র হিসেবে থাকলেও কী করতে হবে, তা প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করে দেবেন। তবে আমরা চাইছি দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য। এতে সবকিছু মিলিয়ে আমাদের জন্য সুবিধা হয়।’
নাটোর-১ আসনের এমপি আবুল কালাম বলেন, ‘আমার দলের নেতা শেখ হাসিনা। দলীয় মনোনয়ন পাইনি। কিন্তু নেত্রীর নির্দেশে অংশগ্রহণমূলক, জমজমাট ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য ভোট করেছি। যেহেতু আমাদের এখনো দলীয় পদ আছে, তাই নেত্রী যেভাবে গাইডলাইন দেবেন, সেইভাবে সংসদে ভূমিকা রাখব।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশিসংখ্যক আসনে বিজয়ী হওয়ায় সংসদে বিরোধী দলের আসনে কারা বসবেন এবং বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন, তা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল। কয়েকজন স্বতন্ত্র এমপি নিজেদের মধ্যে আলাদা জোট গঠন করার কথাও জানিয়েছিলেন। তবে গত সপ্তাহে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সংসদের বিরোধী দলের আসনে জাতীয় পার্টিই বসবে।
একাধিক এমপি স্বতন্ত্র এমপিদের একটি মোর্চা গড়ার কথা বললেও বিষয়টি এগোয়নি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত নন—এমন দুজন স্বতন্ত্র এমপি জানান, সংসদে তাঁদের ভূমিকা কী হবে কিংবা সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়নের বিষয়ে কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে সংসদে নিজের ভূমিকা রাখতে চান সিলেট-৫ আসনের এমপি মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের পক্ষে যে আইন আসবে, তাতে অংশগ্রহণ ও সম্মতি থাকা উচিত। আর যদি দেখা যায় সেখানে দলীয় সিদ্ধান্ত প্রাধান্য পাচ্ছে, যা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়, কার্যকর না, তার বিপক্ষে একা হলেও কথা বলব।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের স্বতন্ত্র এমপি সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান অবশ্য জানান, সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পর অবস্থা বুঝে কথা বলবেন।
এ দুই সংসদ সদস্য জানান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি মনোনয়ন নিয়ে তাঁদের কোনো ভাবনা নেই।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ স্বতন্ত্র এমপিদের জন্য প্রযোজ্য না হওয়ায় তাঁদের স্বাধীন ভূমিকা পালনের সুযোগ আছে বলে মনে করেন অধ্যাপক নিজাম আহমেদ। তিনি বলেন, স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে তাঁদের আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে যেকোনো অবস্থান নেওয়ার সুযোগ আছে।
সংবিধানের ৭০ (খ) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হয়ে কোন ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে, তিনি যদি সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেন, তাহলে সংসদে তাঁর আসন শূন্য হবে।
বেশির ভাগ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত থাকায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তাঁরা সংসদে কী ভূমিকা রাখবেন, তা নির্ধারিত হতে পারে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ইচ্ছায়। তাঁর নির্দেশনার দিকেই তাকিয়ে আছেন নবনির্বাচিত ওই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে তাঁদের যে ভূমিকায় দেখলে খুশি হবেন, তাঁরা সেই অনুযায়ী চলবেন। দলকে অখুশি করে নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে ফেলতে তাঁরা নারাজ। আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের এমন মনোভাব জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের ওই স্বতন্ত্র এমপিরা জানান, আগামী পাঁচ বছর জাতীয় সংসদে তাঁরা কী ভূমিকা রাখবেন, তা নিয়ে সরকারপ্রধান দিকনির্দেশনা দেবেন। দলীয় সভাপতির নির্দেশনা অনুযায়ী সংসদকে প্রাণবন্ত করতে চেষ্টা করবেন তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বতন্ত্র এমপি জানান, দলীয় কৌশলের কারণে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হওয়ায় আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এখন সংসদে বিরোধী অবস্থানে গেলে সেই সম্ভাবনা নষ্ট হবে। পাশাপাশি দলের নেতা-কর্মীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে তিনি দলীয় সভাপতির নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে চান।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা কী ভূমিকা নেবেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিতে প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁদের গণভবনে ডেকেছেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। তিনি গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরশুদিন (রোববার) স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাঁদের ভূমিকার বিষয়ে দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।’
জানা গেছে, মাঠপর্যায়ে আওয়ামী লীগের পদধারী এই স্বতন্ত্র এমপিরা দলের সঙ্গেই থাকতে চান। এ কারণে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই তাঁরা সংসদে সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যদের নির্বাচিত করতে চান।
অবশ্য দলের কোনো কোনো নেতা মনে করেন, এবার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্বতন্ত্র এমপি থাকায় তাঁরা স্বাধীন ভূমিকা রাখলে সংসদ উপকৃত হবে।
জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার যেহেতু সংখ্যায় বেশি, ওনারা ইচ্ছে করলেই সংসদকে প্রাণবন্ত করতে করতে পারেন। কোনো অনিয়ম-অন্যায় হলে আলোচনার মাধ্যমে সরকারকে চাপে রাখতে পারবেন। আমি মনে করি, স্বতন্ত্র এমপিরা নিজ নিজ ভূমিকা রাখলে সংসদ উপকৃত হবে।’
আওয়ামী লীগের যাঁরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের ভূমিকা দলের মনোনয়নে নির্বাচিত এমপিদের মতোই হবে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নিজাম আহমেদ। তিনি বলেন, স্বতন্ত্র এমপিদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের পদধারী হওয়ায় তাঁদের ভবিষ্যৎ রাস্তা খোলা। কারণ, ভোটের দিনও দলীয় এমপি ছিলেন—এমন ব্যক্তিকে হারিয়ে অনেকেই সংসদে এসেছেন। তাই ভবিষ্যৎ কোনোভাবে হুমকির মুখে ফেলতে চাইবেন না তাঁরা।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩, জাতীয় পার্টি ১১, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি ১টি করে আসনে বিজয়ী হয়। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন ৬২ জন।
সংসদে স্বতন্ত্র এমপিদের ভূমিকা নিয়ে গতকাল ২০ জনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের দুজন বাদে সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে পাঁচজন আগেও এমপি ছিলেন। ওই ১৮ জন জানান, দলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় সংসদে কী ভূমিকা হবে, সে বিষয়ে তাঁরা দলীয় প্রধানের দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন।
দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হয়েছিলেন ছানোয়ার হোসেন। এবার স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে সংসদে যোগ দিতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আগে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হওয়ায় আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে হ্যাঁ-তে হ্যাঁ মিলিয়েছি, না-তে না মিলিয়েছি। এখন স্বতন্ত্র হিসেবে থাকলেও কী করতে হবে, তা প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করে দেবেন। তবে আমরা চাইছি দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য। এতে সবকিছু মিলিয়ে আমাদের জন্য সুবিধা হয়।’
নাটোর-১ আসনের এমপি আবুল কালাম বলেন, ‘আমার দলের নেতা শেখ হাসিনা। দলীয় মনোনয়ন পাইনি। কিন্তু নেত্রীর নির্দেশে অংশগ্রহণমূলক, জমজমাট ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য ভোট করেছি। যেহেতু আমাদের এখনো দলীয় পদ আছে, তাই নেত্রী যেভাবে গাইডলাইন দেবেন, সেইভাবে সংসদে ভূমিকা রাখব।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশিসংখ্যক আসনে বিজয়ী হওয়ায় সংসদে বিরোধী দলের আসনে কারা বসবেন এবং বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন, তা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল। কয়েকজন স্বতন্ত্র এমপি নিজেদের মধ্যে আলাদা জোট গঠন করার কথাও জানিয়েছিলেন। তবে গত সপ্তাহে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সংসদের বিরোধী দলের আসনে জাতীয় পার্টিই বসবে।
একাধিক এমপি স্বতন্ত্র এমপিদের একটি মোর্চা গড়ার কথা বললেও বিষয়টি এগোয়নি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত নন—এমন দুজন স্বতন্ত্র এমপি জানান, সংসদে তাঁদের ভূমিকা কী হবে কিংবা সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়নের বিষয়ে কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে সংসদে নিজের ভূমিকা রাখতে চান সিলেট-৫ আসনের এমপি মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের পক্ষে যে আইন আসবে, তাতে অংশগ্রহণ ও সম্মতি থাকা উচিত। আর যদি দেখা যায় সেখানে দলীয় সিদ্ধান্ত প্রাধান্য পাচ্ছে, যা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়, কার্যকর না, তার বিপক্ষে একা হলেও কথা বলব।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের স্বতন্ত্র এমপি সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান অবশ্য জানান, সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পর অবস্থা বুঝে কথা বলবেন।
এ দুই সংসদ সদস্য জানান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি মনোনয়ন নিয়ে তাঁদের কোনো ভাবনা নেই।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ স্বতন্ত্র এমপিদের জন্য প্রযোজ্য না হওয়ায় তাঁদের স্বাধীন ভূমিকা পালনের সুযোগ আছে বলে মনে করেন অধ্যাপক নিজাম আহমেদ। তিনি বলেন, স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে তাঁদের আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে যেকোনো অবস্থান নেওয়ার সুযোগ আছে।
সংবিধানের ৭০ (খ) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হয়ে কোন ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে, তিনি যদি সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেন, তাহলে সংসদে তাঁর আসন শূন্য হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে