তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
‘মধু হই হই আঁরে বিষ হাওয়াইলা, হন হারনে ভালোবাসার দাম ন দিলা’—গানটি একবার হলেও মনের অজান্তে গেয়ে ওঠেননি দেশে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার সেই বিখ্যাত গানটি এবার ‘দেশ, কাল ও সীমানার গণ্ডি’ পেরিয়ে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলীয়ের মুখেও। তিনি শন টেইট। সাবেক এই অজি পেসারও মজে গেছেন মানুষের মুখে মুখে ফেরা এই গানে।
ভিন্ন অ্যাকশনে বোলিংয়ের জন্য ক্যারিয়ারজুড়ে ‘দ্য ওয়াইল্ড থিং’ নামে পরিচিতি পাওয়া টেইট এখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলের বোলিং কোচের দায়িত্বে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কোচিং করতে এসেই টেইট শিখছেন ‘চাটগাঁ’র আঞ্চলিক ভাষা। অবশ্য শুধু টেইট নন, এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে মাঠ মাতানো বেনি হাউয়েল, চ্যাডউইক ওয়ালটনরাও মজেছেন স্থানীয় ভাষায়। দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও যুব বিশ্বকাপজয়ী আকবর আলীরাও চেষ্টার কমতি রাখছেন না। এই যেমন গত পরশু অনুশীলনের ছবি দিয়ে ফেসবুক পেজে মিরাজ লিখেছেন, ‘পরর ম্যাচর লাই প্রস্তুতি লইদ্দি। আঁরারে বেশি গরি সাপোর্ট গরিবেন।’
দুদিন আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ফেসবুক পেজে চট্টগ্রামের ভাষায় কথা বলা দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের ভিডিও আপলোড করা হয়। এর পর বেশ শোরগোল পড়ে যায় অনলাইনে। গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত অন্তত ২৩ লাখ মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিও।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার ‘কাঠিন্য’ নিয়ে কম কথা চালু নেই। প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী তো বলেই দিয়েছেন, ‘বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে।’ কিন্তু এরপরও ভিন্ন অঞ্চলের মানুষ যখন চট্টগ্রামে আসেন, ‘সেই কঠিনেরে’ ভালোবাসার চেষ্টার কমতি রাখেন না। নিজেদের মুখের প্রিয় ভাষা যখন ভিনদেশি কারও মুখে শুনতে পান, স্বাভাবিকভাবেই চট্টগ্রামের মানুষ উদ্বেলিত হয়ে যান। সে জন্যই তো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সেই ভিডিওর নিচে মন্তব্যের ঘরে শুধুই পড়েছে ভালোবাসার কথা।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলটির নামে চট্টগ্রাম থাকলেও সেই দলে অবশ্য বন্দরনগরীর কোনো সন্তানই নেই। এ কারণেই যেন দেশের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বিদেশি ক্রিকেটারদের মুখ দিয়েও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা বের করে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
তবে চট্টগ্রামকে প্রতিনিধিত্ব করতে সব চেষ্টাই করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক প্রতিষ্ঠান আখতার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম রিফাতুজ্জামান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম দলটার যখন আমরা দায়িত্ব পেলাম, তখন দলে চট্টগ্রামের খেলোয়াড় হতে হবে সেই চিন্তা করিনি। বেশি ফোকাস করেছি চট্টগ্রামের জন্য একটা ভালো দল দাঁড় করানোর। এটা যেহেতু একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাই একটি ভারসাম্যপূর্ণ দলই গড়তে চেয়েছি। কেননা শেষ পর্যন্ত যদি আমরা জিতি, তাহলে সবাই বলবে চট্টগ্রামই জিতেছে।’
বিদেশি ক্রিকেটারদের মুখে মুখে চট্টগ্রামের ভাষা ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে যে কজনের মস্তিষ্ক কাজ করেছে তাঁদের একজন ইয়াকুব রাসেল। কলকাতার জনপ্রিয় কৌতুকানুষ্ঠান মীরাক্কেলের এই তারকা এখন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে। আজকের পত্রিকাকে ইয়াকুব রাসেল বলেন, ‘আমরা চাই চট্টগ্রামের ভাষা-সংস্কৃতিকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে। তারই অংশ হিসেবে টেইটদের এই ভাষা শেখানোর একটু চেষ্টা।’
‘মধু হই হই আঁরে বিষ হাওয়াইলা, হন হারনে ভালোবাসার দাম ন দিলা’—গানটি একবার হলেও মনের অজান্তে গেয়ে ওঠেননি দেশে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার সেই বিখ্যাত গানটি এবার ‘দেশ, কাল ও সীমানার গণ্ডি’ পেরিয়ে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলীয়ের মুখেও। তিনি শন টেইট। সাবেক এই অজি পেসারও মজে গেছেন মানুষের মুখে মুখে ফেরা এই গানে।
ভিন্ন অ্যাকশনে বোলিংয়ের জন্য ক্যারিয়ারজুড়ে ‘দ্য ওয়াইল্ড থিং’ নামে পরিচিতি পাওয়া টেইট এখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলের বোলিং কোচের দায়িত্বে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কোচিং করতে এসেই টেইট শিখছেন ‘চাটগাঁ’র আঞ্চলিক ভাষা। অবশ্য শুধু টেইট নন, এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে মাঠ মাতানো বেনি হাউয়েল, চ্যাডউইক ওয়ালটনরাও মজেছেন স্থানীয় ভাষায়। দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও যুব বিশ্বকাপজয়ী আকবর আলীরাও চেষ্টার কমতি রাখছেন না। এই যেমন গত পরশু অনুশীলনের ছবি দিয়ে ফেসবুক পেজে মিরাজ লিখেছেন, ‘পরর ম্যাচর লাই প্রস্তুতি লইদ্দি। আঁরারে বেশি গরি সাপোর্ট গরিবেন।’
দুদিন আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ফেসবুক পেজে চট্টগ্রামের ভাষায় কথা বলা দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের ভিডিও আপলোড করা হয়। এর পর বেশ শোরগোল পড়ে যায় অনলাইনে। গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত অন্তত ২৩ লাখ মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিও।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার ‘কাঠিন্য’ নিয়ে কম কথা চালু নেই। প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী তো বলেই দিয়েছেন, ‘বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে।’ কিন্তু এরপরও ভিন্ন অঞ্চলের মানুষ যখন চট্টগ্রামে আসেন, ‘সেই কঠিনেরে’ ভালোবাসার চেষ্টার কমতি রাখেন না। নিজেদের মুখের প্রিয় ভাষা যখন ভিনদেশি কারও মুখে শুনতে পান, স্বাভাবিকভাবেই চট্টগ্রামের মানুষ উদ্বেলিত হয়ে যান। সে জন্যই তো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সেই ভিডিওর নিচে মন্তব্যের ঘরে শুধুই পড়েছে ভালোবাসার কথা।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলটির নামে চট্টগ্রাম থাকলেও সেই দলে অবশ্য বন্দরনগরীর কোনো সন্তানই নেই। এ কারণেই যেন দেশের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বিদেশি ক্রিকেটারদের মুখ দিয়েও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা বের করে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
তবে চট্টগ্রামকে প্রতিনিধিত্ব করতে সব চেষ্টাই করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক প্রতিষ্ঠান আখতার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম রিফাতুজ্জামান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম দলটার যখন আমরা দায়িত্ব পেলাম, তখন দলে চট্টগ্রামের খেলোয়াড় হতে হবে সেই চিন্তা করিনি। বেশি ফোকাস করেছি চট্টগ্রামের জন্য একটা ভালো দল দাঁড় করানোর। এটা যেহেতু একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাই একটি ভারসাম্যপূর্ণ দলই গড়তে চেয়েছি। কেননা শেষ পর্যন্ত যদি আমরা জিতি, তাহলে সবাই বলবে চট্টগ্রামই জিতেছে।’
বিদেশি ক্রিকেটারদের মুখে মুখে চট্টগ্রামের ভাষা ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে যে কজনের মস্তিষ্ক কাজ করেছে তাঁদের একজন ইয়াকুব রাসেল। কলকাতার জনপ্রিয় কৌতুকানুষ্ঠান মীরাক্কেলের এই তারকা এখন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে। আজকের পত্রিকাকে ইয়াকুব রাসেল বলেন, ‘আমরা চাই চট্টগ্রামের ভাষা-সংস্কৃতিকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে। তারই অংশ হিসেবে টেইটদের এই ভাষা শেখানোর একটু চেষ্টা।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে