লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি
বার্ধক্যের ভারে নুয়ে পড়েছেন অশীতিপর মোমেনা বেগম। লাঠিতে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে চলেন। প্রয়াত স্বামী আব্দুল বারী গাজীর রেখে যাওয়া একখণ্ড জমিতে পাঁচ ছেলেমেয়ে, আত্মীয় মিলিয়ে ত্রিশের বেশি মানুষের বসবাস। কৃষিকাজ ও দিনমজুরি করে চলে তাঁদের সংসার। ভূমি জালিয়াতি চক্রের কারণে তাঁদের সেই জায়গাটুকু বেহাত হওয়ার অবস্থা।
ভুক্তভোগী মোমেনা বেগম বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ড পুলাংপাড়ার বাসিন্দা। ওই ওয়ার্ডের ৩০১ নম্বর সরই মৌজার ৪ একর ৩০ শতাংশ জমি জাল বায়নানামা ও ভুয়া রেজিস্ট্রি করে নেয় জালিয়াতি চক্র। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় মৃত আব্দুল বারেক গাজী ওয়ারিশদারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধনে মোমেনা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘আমার স্বামী ১৯৮২-৮৩ সালে ৪ একর ৫০ শতক জায়গা সরকার থেকে বন্দোবস্ত পান। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আমরা এই জায়গায় সাতটি বসতবাড়ি, জমিতে চাষাবাদ ও পাহাড়ে গাছ লাগিয়ে ভোগদখল করে আসছি। মাস দু-এক আগে বড় ছেলে আব্দুল হান্নান জায়গার জবানবন্দি তুললে দেখতে পায়, রেকর্ডপত্রে তার বাবার নামে শুধু ২০ শতক জায়গা আছে।’
ভুক্তভোগী মোমেনা বেগম প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমাদের দখলি জায়গা কীভাবে অন্যের নামে হয়ে গেছে আমরা তা জানি না? আমি ও আমার সন্তানেরা কাউকে জায়গা বিক্রি করিনি। আমার স্বামী ২০০৪ সালে মারা যান, তাহলে ২০১৮ সালে কীভাবে আমার মৃত স্বামী জায়গা বিক্রি করলেন?’
জানা গেছে, মোমেনা বেগমদের বাকি ৪ একর ৩০ শতাংশ জায়গা ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবুল বশরের ছেলে শাহ আলমের নামে রেকর্ডপত্র হয়ে গেছে।
মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন মৃত আব্দুল বারির বড় ছেলে আব্দুল হান্নান (৫৫)। এ বিষয়ে আব্দুল হান্নান বলেন, ‘আমাদের মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয়টুকু শাহ আলমসহ জালিয়াতি চক্র কেড়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। আমরা বিচার চাই।’
পুলাংপাড়ার সর্দার মো. আবু দাউদ ও সেক্রেটারি আব্দুল বারেক বলেন, ‘এমন ঘটনায় আমরা হতভম্ব। ভূমি অফিস, রেজিস্ট্রেশন অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারী ও দলিল লেখকসহ বড় একটি চক্র এই জালিয়াতিতে জড়িত। তাদের কাছে আমরা কেউ নিরাপদ নই।’
অভিযুক্ত শাহ আলম বলেন, ‘আমি একটি মাধ্যমে আব্দুল বারী নামের ৫ একর জায়গা থেকে ৪ একর ৩০ শতক জায়গা কাগজমূলে ক্রয় করেছি। উক্ত জায়গা এখনো দখলে যেতে পারিনি। যাদের মাধ্যমে ক্রয় করেছি, তারা ওই জায়গার দখল বুঝিয়ে দেওয়ার শর্ত রয়েছে।’
সরই ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস কোম্পানী বলেন, ‘শাহ আলমসহ জালিয়াতি চক্রের সবাইকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।’
লামা থানার ওসি শহীদুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে মোমেনা বেগমের পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।
বার্ধক্যের ভারে নুয়ে পড়েছেন অশীতিপর মোমেনা বেগম। লাঠিতে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে চলেন। প্রয়াত স্বামী আব্দুল বারী গাজীর রেখে যাওয়া একখণ্ড জমিতে পাঁচ ছেলেমেয়ে, আত্মীয় মিলিয়ে ত্রিশের বেশি মানুষের বসবাস। কৃষিকাজ ও দিনমজুরি করে চলে তাঁদের সংসার। ভূমি জালিয়াতি চক্রের কারণে তাঁদের সেই জায়গাটুকু বেহাত হওয়ার অবস্থা।
ভুক্তভোগী মোমেনা বেগম বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ড পুলাংপাড়ার বাসিন্দা। ওই ওয়ার্ডের ৩০১ নম্বর সরই মৌজার ৪ একর ৩০ শতাংশ জমি জাল বায়নানামা ও ভুয়া রেজিস্ট্রি করে নেয় জালিয়াতি চক্র। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় মৃত আব্দুল বারেক গাজী ওয়ারিশদারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধনে মোমেনা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘আমার স্বামী ১৯৮২-৮৩ সালে ৪ একর ৫০ শতক জায়গা সরকার থেকে বন্দোবস্ত পান। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আমরা এই জায়গায় সাতটি বসতবাড়ি, জমিতে চাষাবাদ ও পাহাড়ে গাছ লাগিয়ে ভোগদখল করে আসছি। মাস দু-এক আগে বড় ছেলে আব্দুল হান্নান জায়গার জবানবন্দি তুললে দেখতে পায়, রেকর্ডপত্রে তার বাবার নামে শুধু ২০ শতক জায়গা আছে।’
ভুক্তভোগী মোমেনা বেগম প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমাদের দখলি জায়গা কীভাবে অন্যের নামে হয়ে গেছে আমরা তা জানি না? আমি ও আমার সন্তানেরা কাউকে জায়গা বিক্রি করিনি। আমার স্বামী ২০০৪ সালে মারা যান, তাহলে ২০১৮ সালে কীভাবে আমার মৃত স্বামী জায়গা বিক্রি করলেন?’
জানা গেছে, মোমেনা বেগমদের বাকি ৪ একর ৩০ শতাংশ জায়গা ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবুল বশরের ছেলে শাহ আলমের নামে রেকর্ডপত্র হয়ে গেছে।
মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন মৃত আব্দুল বারির বড় ছেলে আব্দুল হান্নান (৫৫)। এ বিষয়ে আব্দুল হান্নান বলেন, ‘আমাদের মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয়টুকু শাহ আলমসহ জালিয়াতি চক্র কেড়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। আমরা বিচার চাই।’
পুলাংপাড়ার সর্দার মো. আবু দাউদ ও সেক্রেটারি আব্দুল বারেক বলেন, ‘এমন ঘটনায় আমরা হতভম্ব। ভূমি অফিস, রেজিস্ট্রেশন অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারী ও দলিল লেখকসহ বড় একটি চক্র এই জালিয়াতিতে জড়িত। তাদের কাছে আমরা কেউ নিরাপদ নই।’
অভিযুক্ত শাহ আলম বলেন, ‘আমি একটি মাধ্যমে আব্দুল বারী নামের ৫ একর জায়গা থেকে ৪ একর ৩০ শতক জায়গা কাগজমূলে ক্রয় করেছি। উক্ত জায়গা এখনো দখলে যেতে পারিনি। যাদের মাধ্যমে ক্রয় করেছি, তারা ওই জায়গার দখল বুঝিয়ে দেওয়ার শর্ত রয়েছে।’
সরই ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস কোম্পানী বলেন, ‘শাহ আলমসহ জালিয়াতি চক্রের সবাইকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।’
লামা থানার ওসি শহীদুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে মোমেনা বেগমের পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে