লড়তে হবে পেয়ারুলকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২: ৩৯

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী থাকলেও গুঞ্জন ছিল, শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম একাই মাঠে থাকবেন। বাকি দুজন সরে দাঁড়াবেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে। সে ইঙ্গিত পেয়ে দলের নেতা-কর্মীরা পেয়ারুল ইসলামকে আগেভাগে ফেসবুকে অভিনন্দনও জানান।

তবে কৃষক লীগনেতা মো. ফয়েজুর রহমান সরে দাঁড়ালেও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় থাকা জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির মহাসচিব নারায়ণ রক্ষিত। ফলে নারায়ণের বিপক্ষে লড়তে হবে পেয়ারুলকে। তবে নারায়ণ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না হওয়ায় সহজ জয়ের আশা আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও ভোটারদের।

এদিকে নির্বাচনে দাঁড়ালেও নারায়ণ রক্ষিতকে খুব একটা মাঠে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি প্রতিবেদনের জন্য বক্তব্য নিতে তাঁকে মোবাইল ফোনে কিংবা সরাসরিও পাচ্ছেন না সাংবাদিকেরা। অবশ্য অনেকেই বলছেন, নির্বাচন এলে নারায়ণের প্রার্থিতা করার অভ্যাস পুরোনো। এর আগে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, এমনকি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন। এবারও তিনি সেই অভ্যাস ধরে রেখে নির্বাচনে করছেন বলে মনে করছেন অনেকে।

গত রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পার হওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়ে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী, তিনজন সংরক্ষিত এবং আটজন সাধারণ সদস্য প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। একমাত্র প্রার্থী অবশিষ্ট থাকায় পাঁচটি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

ফলে চেয়ারম্যান পদে দুই, সংরক্ষিত পদে ২১ এবং ১০টি ওয়ার্ডের ৩৯ জন সাধারণ সদস্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। চট্টগ্রাম জেলার আওতাধীন ১৫টি ওয়ার্ডে স্থানীয় সরকারের মোট ২ হাজার ৭৩০ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হলেও এটিকে স্বাভাবিকভাব দেখছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সব প্রার্থীই সমান। গণতান্ত্রিক উপায়েই নির্বাচন হবে। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনই হবে। আশা করছি ইভিএমে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।’

গতকাল সোমবার প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। প্রতীক পেয়েই তাঁরা প্রচারে নামেন। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের আগে ২১ দিন আচরণবিধি মেনে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল আলম। কামরুল আলম বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা নিয়ম মেনে প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত