ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি
আজ ১ জুলাই । ১৯২১ সালের এই যাত্রা শুরু করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১০৪ বছরে পা দিয়েছে আজ। ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’ প্রতিপাদ্য সামনে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও প্রতিষ্ঠার পর শতবর্ষের বেশি পেরিয়ে গেলেও এখনো মানহীন খাবার, নিরাপত্তাহীনতা, আবাসনসংকট, মানহীন পড়ার পরিবেশ, সেকেলে প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস এলাকায় ৩০টির বেশি ক্যানটিন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যানটিনগুলোর কোনো খাবারই মানসম্পন্ন নয়। খাবারে অতিরিক্ত টেস্টিং সল্ট, নিম্নমানের তেল ও মসলার ব্যবহার করা হয়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় খাবার।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য ১৩টি ও ছাত্রীদের জন্য ৫টি হল রয়েছে। হল অফিসগুলোর তথ্যমতে, হলগুলোর শিক্ষার্থী ধারণক্ষমতা প্রায় ১৬ হাজার ৭০০ জন। সে জায়গায় আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় ১৭ হাজার ১৬২ জন। দ্বৈতাবাসিক হিসেবে রয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ৪৬৪ জন। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১৮টি হলের ১২৩টি কক্ষ গণরুম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এসব কক্ষে ঠাসাঠাসি করে থাকেন প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী।
শিক্ষা ও গবেষণার স্বার্থে নিরিবিলি পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি থাকলেও অপরাধী, ভবঘুরে ও ভাসমান লোকজনের অবাধ বিচরণে দিন দিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। রেজিস্ট্রার ভবনের তথ্যমতে, হল, আবাসিক এলাকাসহ পুরো ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য প্রায় ৭০০ প্রহরী নিয়োজিত আছেন।
অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন ও বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ ঠেকাতে শাহবাগ, নীলক্ষেত (গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণ গেট), শেখ রাসেল টাওয়ারের সামনে ও দোয়েল চত্বর থেকে ক্যাম্পাস অভিমুখে পাঁচটি সিকিউরিটি সার্ভেইল্যান্স (নিরাপত্তাচৌকি) বসিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছরের ১৬ জুন নিরাপত্তাচৌকিগুলোর উদ্বোধন করা হলেও রাসেল টাওয়ারের সামনে ও দোয়েল চত্বর এলাকায় নিরাপত্তাপ্রহরী বসাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইংরেজি বিভাগের রায়হান উদ্দিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শতবর্ষ পেরিয়ে গেলেও আমাদের প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শিক্ষার্থী হিসেবে প্রাপ্তির চেয়ে হতাশার মাত্রাই বেশি। পৃথিবীর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশন হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এখনো দৌড়াতে হয় ডিপার্টমেন্ট-হল-রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে। সেখানেও কতশত হয়রানি। যে রুমে ৪ জন থাকা যায়, সেখানে থাকেন ৩০-৪০ জন। বহিরাগতদের অবাধ আনাগোনা, যানবাহনের অবাধ চলাচলে ক্যাম্পাস অনিরাপদ। খাবারে তেলাপোকাসহ বিভিন্ন কিছু পাওয়া যায়।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রয়েছে। সেখানে নিয়মিত চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাও অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি দেখবেন। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে পুরোপুরি সিসিটিভির আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে, কাজ চলছে। যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে আস্তে আস্তে নিরাপদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে বলে মনে করি।’
শত বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম সেকেলেই রয়ে গেছে। এখনো রেজিস্ট্রার ভবনের কাজ পূর্ণাঙ্গভাবে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা যায়নি। একজন শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে একটি সিটের জন্য সকাল ৬টা থেকে লাইনে দাঁড়াতে হয়। প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সময় অনলাইনে ভর্তির প্রাথমিক কাজ শেষ করে বিভাগ থেকে ব্যাংক, ব্যাংক থেকে হল, হল থেকে আবার ব্যাংক, ব্যাংক থেকে বিভাগ ও হলে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। রেজিস্ট্রার ভবনের ভোগান্তি নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেও কোনো সুরাহা করতে পারেননি।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক শিক্ষাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিক্ষার মান ধরে রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন সময় তার স্বীকৃতিও পেয়েছে। এখন কিছু পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে শিক্ষার মান ধরে রাখা সম্ভব। তবে এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠেনি। আবাসন ও খাবারের সমস্যা রয়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটালাইজেশন হয়নি। এগুলো করার জন্য ব্যবস্থাপনারও দরকার আছে, পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দও প্রয়োজন রয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, আগামী বছর থেকে শিক্ষার্থীদের এ রকম ভোগান্তি থাকবে না। সম্পূর্ণভাবে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য হল করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ নিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। একনেক থেকে পাস হলে আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে আবাসনসংকট কাটিয়ে তোলা সম্ভব হবে। হলে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। কিছু কিছু হলের সংস্কারকাজ ও বর্ধিতকরণের কাজও চলছে।
উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা যে পরিমাণ খাবার পেলে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ হয়, ততটুকু খাবার হলের ক্যানটিন দিতে পারছে না। মূল্যস্ফীতির কারণও রয়েছে। ভর্তুকির জন্য সরকারেরও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’ পাঠকক্ষ-সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়েন্স লাইব্রেরি, হল লাইব্রেরি ও পাঠকক্ষ এবং বিভাগে সেমিনার কক্ষ রয়েছে। বিভাগের সেমিনার কক্ষে যেন শিক্ষার্থীরা রাতে পড়াশোনার সুযোগ পায়, সে ব্যবস্থা করারও পরিকল্পনা রয়েছে।’
আজ ১ জুলাই । ১৯২১ সালের এই যাত্রা শুরু করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১০৪ বছরে পা দিয়েছে আজ। ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’ প্রতিপাদ্য সামনে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও প্রতিষ্ঠার পর শতবর্ষের বেশি পেরিয়ে গেলেও এখনো মানহীন খাবার, নিরাপত্তাহীনতা, আবাসনসংকট, মানহীন পড়ার পরিবেশ, সেকেলে প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস এলাকায় ৩০টির বেশি ক্যানটিন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যানটিনগুলোর কোনো খাবারই মানসম্পন্ন নয়। খাবারে অতিরিক্ত টেস্টিং সল্ট, নিম্নমানের তেল ও মসলার ব্যবহার করা হয়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় খাবার।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য ১৩টি ও ছাত্রীদের জন্য ৫টি হল রয়েছে। হল অফিসগুলোর তথ্যমতে, হলগুলোর শিক্ষার্থী ধারণক্ষমতা প্রায় ১৬ হাজার ৭০০ জন। সে জায়গায় আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় ১৭ হাজার ১৬২ জন। দ্বৈতাবাসিক হিসেবে রয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ৪৬৪ জন। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১৮টি হলের ১২৩টি কক্ষ গণরুম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এসব কক্ষে ঠাসাঠাসি করে থাকেন প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী।
শিক্ষা ও গবেষণার স্বার্থে নিরিবিলি পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি থাকলেও অপরাধী, ভবঘুরে ও ভাসমান লোকজনের অবাধ বিচরণে দিন দিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। রেজিস্ট্রার ভবনের তথ্যমতে, হল, আবাসিক এলাকাসহ পুরো ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য প্রায় ৭০০ প্রহরী নিয়োজিত আছেন।
অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন ও বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ ঠেকাতে শাহবাগ, নীলক্ষেত (গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণ গেট), শেখ রাসেল টাওয়ারের সামনে ও দোয়েল চত্বর থেকে ক্যাম্পাস অভিমুখে পাঁচটি সিকিউরিটি সার্ভেইল্যান্স (নিরাপত্তাচৌকি) বসিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছরের ১৬ জুন নিরাপত্তাচৌকিগুলোর উদ্বোধন করা হলেও রাসেল টাওয়ারের সামনে ও দোয়েল চত্বর এলাকায় নিরাপত্তাপ্রহরী বসাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইংরেজি বিভাগের রায়হান উদ্দিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শতবর্ষ পেরিয়ে গেলেও আমাদের প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শিক্ষার্থী হিসেবে প্রাপ্তির চেয়ে হতাশার মাত্রাই বেশি। পৃথিবীর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশন হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এখনো দৌড়াতে হয় ডিপার্টমেন্ট-হল-রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে। সেখানেও কতশত হয়রানি। যে রুমে ৪ জন থাকা যায়, সেখানে থাকেন ৩০-৪০ জন। বহিরাগতদের অবাধ আনাগোনা, যানবাহনের অবাধ চলাচলে ক্যাম্পাস অনিরাপদ। খাবারে তেলাপোকাসহ বিভিন্ন কিছু পাওয়া যায়।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রয়েছে। সেখানে নিয়মিত চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাও অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি দেখবেন। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে পুরোপুরি সিসিটিভির আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে, কাজ চলছে। যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে আস্তে আস্তে নিরাপদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে বলে মনে করি।’
শত বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম সেকেলেই রয়ে গেছে। এখনো রেজিস্ট্রার ভবনের কাজ পূর্ণাঙ্গভাবে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা যায়নি। একজন শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে একটি সিটের জন্য সকাল ৬টা থেকে লাইনে দাঁড়াতে হয়। প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সময় অনলাইনে ভর্তির প্রাথমিক কাজ শেষ করে বিভাগ থেকে ব্যাংক, ব্যাংক থেকে হল, হল থেকে আবার ব্যাংক, ব্যাংক থেকে বিভাগ ও হলে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। রেজিস্ট্রার ভবনের ভোগান্তি নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেও কোনো সুরাহা করতে পারেননি।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক শিক্ষাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিক্ষার মান ধরে রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন সময় তার স্বীকৃতিও পেয়েছে। এখন কিছু পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে শিক্ষার মান ধরে রাখা সম্ভব। তবে এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠেনি। আবাসন ও খাবারের সমস্যা রয়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটালাইজেশন হয়নি। এগুলো করার জন্য ব্যবস্থাপনারও দরকার আছে, পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দও প্রয়োজন রয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, আগামী বছর থেকে শিক্ষার্থীদের এ রকম ভোগান্তি থাকবে না। সম্পূর্ণভাবে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য হল করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ নিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। একনেক থেকে পাস হলে আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে আবাসনসংকট কাটিয়ে তোলা সম্ভব হবে। হলে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। কিছু কিছু হলের সংস্কারকাজ ও বর্ধিতকরণের কাজও চলছে।
উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা যে পরিমাণ খাবার পেলে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ হয়, ততটুকু খাবার হলের ক্যানটিন দিতে পারছে না। মূল্যস্ফীতির কারণও রয়েছে। ভর্তুকির জন্য সরকারেরও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’ পাঠকক্ষ-সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়েন্স লাইব্রেরি, হল লাইব্রেরি ও পাঠকক্ষ এবং বিভাগে সেমিনার কক্ষ রয়েছে। বিভাগের সেমিনার কক্ষে যেন শিক্ষার্থীরা রাতে পড়াশোনার সুযোগ পায়, সে ব্যবস্থা করারও পরিকল্পনা রয়েছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে