দুই-তৃতীয়াংশ নতুন মুখ চেয়ারম্যান পদে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪: ২৫
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ১২

রাজশাহীর তিন উপজেলায় ১৫ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ানরম্যানদের মধ্যে নতুন মুখ এসেছে ৯টি। অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশই এসেছে নতুন মুখ।

২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন হয়। এতে চারঘাটের ছয়টি, বাঘার তিনটি ও দুর্গাপুরের ছয় ইউপিতে ভোট হয়। ভোটের ফলাফল বলছে, তুলনামূলক নতুনদের প্রতি আস্থা রেখেছেন ভোটাররা।

এদিকে তিন উপজেলায় মোট ১৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এর মধ্যে চারঘাট উপজেলাতেই জামানত হারিয়েছেন ৯ জন।

নির্বাচনে চারঘাটের চার ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও একটিতে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন।

ছয় ইউপির পাঁচটিতেই বর্তমান চেয়ারম্যানরা ভোটে অংশ নেন। কিন্তু সরদহ ইউনিয়ন ছাড়া বাকি চারটিতে বর্তমান চেয়ারম্যানরা পরাজিত হন। এতে ছয় ইউপির পাঁচটিতেই চেয়ারম্যান হিসেবে নতুন মুখ পেয়েছে ইউনিয়নবাসী।

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের চারঘাট উপজেলা সভাপতি মো. কামরুজ্জামান বলেন, চার চেয়ারম্যান পরাজিত হয়েছেন। একজন নির্বাচনে অংশ নেননি। এতে পাঁচ ইউপিতে নতুন মুখ এসেছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, উপজেলার ছয়টি ইউপির চেয়ারম্যান পদে প্রাপ্ত বৈধ ভোট বিশ্লেষণে জাতীয় পার্টির একজনসহ ৯ স্বতন্ত্র প্রার্থী জামানত হারিয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যানদের মধ্যে একমাত্র সরদহ ইউপির চেয়ারম্যান জয়লাভ করেছেন।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, একটি ইউনিয়নে প্রাপ্ত মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোটের কম পেলে, সেই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের মনোনয়ন ফরমের সঙ্গে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা জামানত সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে নিমপাড়া ইউপিতে ৩ জন, শলুয়ায় ৩, ইউসুফপুরে ২ ও সরদহে ১ জনসহ মোট ৯ জন জামানত হারিয়েছেন।

নির্বাচনে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন নিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস পলাশ, মহিদুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান; শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইমরান আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হানুল হক দারা ও আব্দুর গাফফার সরকার; ইউসুফপুর ইউনিয়ন পরিষদে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম, রমজান আলী ও সরদহ ইউনিয়ন পরিষদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মতলেবুর রহমান।

এদিকে, বাঘা উপজেলায় তিনটি ইউপিতে অনুষ্ঠিত ভোটে নতুন মুখ এসেছে দুটি। তাঁরা হলেন বাউসা ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নূর মোহাম্মদ তুফান ও চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডি এম মনোয়ার হোসেন বাবুল দেওয়ান।

এ উপজেলায় জামানত হারিয়েছেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী।

বাঘা উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুল আলম বলেন, গত রোববার তিন ইউপি নির্বাচনে আটজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে সবাই জামানত ফিরে পেলেও আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা এনামুল হক ও বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহাতাব আলী জামানত হারিয়েছেন।

দুর্গাপুরের ছয় ইউপির চারটিতেই এবার নতুন মুখ এসেছে। কিন্তু শুধু নওপাড়া ও পানানগর ইউনিয়ন পরিষদে বর্তমান চেয়ারম্যানরা রয়ে গেছেন।

দুর্গাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আওয়ামী লীগ ও বিএনপির স্বতন্ত্রসহ মোট চারজন চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, উপজেলার ছয়টি ইউপির চেয়ারম্যান পদে প্রাপ্ত বৈধ ভোট বিশ্লেষণে ১৭ জনের মধ্যে ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত