শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
বিভিন্ন কলকারখানার পলিথিন, প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুরে লবলং খালসহ বিভিন্ন খালে। এসব বর্জ্যে খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় তা সরাসরি চলে যাচ্ছে ফসলি জমিতে। এতে শ্রীপুর পৌরসভা ও উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের শত শত একর জমি পতিত হয়ে পড়ে আছে।
পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে ফসল উৎপাদন বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। অপর দিকে দেশের মোট কৃষিজ উৎপাদনেও পড়ছে এর প্রভাব।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, কয়েক বছর এভাবে চলতে থাকলে এই অঞ্চলে পুরোপুরি বন্ধ হবে কৃষি উৎপাদন। ফসলি জমিতে পলিথিনের এতটাই পুরু স্তর পড়েছে যে চাষাবাদ বন্ধ করেছেন তাঁরা। পলিথিন ফেলা বন্ধ ও খাল-নদীগুলোকে খননের দাবি তাঁদের।
সরেজমিন দেখা যায়, শ্রীপুর উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে কলকারখানা থাকায় প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এসব বর্জ্য লবলং খাল হয়ে নদীগুলোয় প্রবেশ করে। শুধু কলকারখানা নয়, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, খাবার হোটেল, বাসাবাড়ির পরিত্যক্ত পলিথিন, প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্য লবলং খালে ফেলা হচ্ছে। আর এসব বর্জ্য খাল হয়ে খালের পাশের জমিতে স্থান করে নেয়।
লবলং খালের পাড়ে দেখা যায়, বিপুল পরিমাণে পলিথিন, প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্যের স্তূপ। বর্ষাকালে সহজেই এসব বর্জ্য আশপাশের কৃষি জমিতে ছড়িয়ে পড়ে।
মাওনা ইউনিয়নের ইন্দ্রবপুর গ্রামের কৃষক ওহেদ আলী বলেন, এসব জমিতে আগে অনেক ধান হতো। বর্তমানে বিভিন্ন কলকারখানা থেকে পলিথিন ও অপচনশীল বর্জ্য জমিতে আসার কারণে জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে গেছে। পৌরসভার বর্জ্য, ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের সব বর্জ্য ফেলা হয় লবলং খালেই। পলিথিনে সয়লাব হয়ে গেছে ফসলের খেত। পলিথিন এভাবে জমিতে থাকলে এখানে ফসল ফলানো সম্ভব নয়।
একই গ্রামের কৃষক মো. শহিদ মিয়া বলেন, ‘জমিতে ধান রোপণ করার পর অল্প সময়ের মধ্যে খুবই সতেজ হয়ে বেড়ে ওঠে। কিন্তু কিছুদিন পর ধান খেতে পচন শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত কোনো খেতে ধানের শিষ আসে না। এতে করে কয়েক বছর ধরে আর ধান রোপণ করছি না।’
এমনভাবেই মাওনা ইউনিয়নের বেলতলী, পাথারপাড়া, চকপাড়া, পৌরসভার বেরাইদেরচালা গ্রামের শত শত একর জমি আজ অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে।
নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সভাপতি সাঈদ চৌধুরী বলেন, পলিথিনজাতীয় ময়লাকে আলাদা করে তা আগেই সরিয়ে ফেলতে হবে। পৌরসভাকে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মূয়ীদুল ইসলাম বলেন, পলিথিন বর্জ্যের কারণে উপজেলার বেশ কিছু জমি কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে। এই সমস্যা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের দাবি জানান তিনি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক নয়ন মিয়া বলেন, ‘পলিথিনসহ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সবকিছুর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
বিভিন্ন কলকারখানার পলিথিন, প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুরে লবলং খালসহ বিভিন্ন খালে। এসব বর্জ্যে খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় তা সরাসরি চলে যাচ্ছে ফসলি জমিতে। এতে শ্রীপুর পৌরসভা ও উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের শত শত একর জমি পতিত হয়ে পড়ে আছে।
পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে ফসল উৎপাদন বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। অপর দিকে দেশের মোট কৃষিজ উৎপাদনেও পড়ছে এর প্রভাব।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, কয়েক বছর এভাবে চলতে থাকলে এই অঞ্চলে পুরোপুরি বন্ধ হবে কৃষি উৎপাদন। ফসলি জমিতে পলিথিনের এতটাই পুরু স্তর পড়েছে যে চাষাবাদ বন্ধ করেছেন তাঁরা। পলিথিন ফেলা বন্ধ ও খাল-নদীগুলোকে খননের দাবি তাঁদের।
সরেজমিন দেখা যায়, শ্রীপুর উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে কলকারখানা থাকায় প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এসব বর্জ্য লবলং খাল হয়ে নদীগুলোয় প্রবেশ করে। শুধু কলকারখানা নয়, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, খাবার হোটেল, বাসাবাড়ির পরিত্যক্ত পলিথিন, প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্য লবলং খালে ফেলা হচ্ছে। আর এসব বর্জ্য খাল হয়ে খালের পাশের জমিতে স্থান করে নেয়।
লবলং খালের পাড়ে দেখা যায়, বিপুল পরিমাণে পলিথিন, প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্যের স্তূপ। বর্ষাকালে সহজেই এসব বর্জ্য আশপাশের কৃষি জমিতে ছড়িয়ে পড়ে।
মাওনা ইউনিয়নের ইন্দ্রবপুর গ্রামের কৃষক ওহেদ আলী বলেন, এসব জমিতে আগে অনেক ধান হতো। বর্তমানে বিভিন্ন কলকারখানা থেকে পলিথিন ও অপচনশীল বর্জ্য জমিতে আসার কারণে জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে গেছে। পৌরসভার বর্জ্য, ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের সব বর্জ্য ফেলা হয় লবলং খালেই। পলিথিনে সয়লাব হয়ে গেছে ফসলের খেত। পলিথিন এভাবে জমিতে থাকলে এখানে ফসল ফলানো সম্ভব নয়।
একই গ্রামের কৃষক মো. শহিদ মিয়া বলেন, ‘জমিতে ধান রোপণ করার পর অল্প সময়ের মধ্যে খুবই সতেজ হয়ে বেড়ে ওঠে। কিন্তু কিছুদিন পর ধান খেতে পচন শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত কোনো খেতে ধানের শিষ আসে না। এতে করে কয়েক বছর ধরে আর ধান রোপণ করছি না।’
এমনভাবেই মাওনা ইউনিয়নের বেলতলী, পাথারপাড়া, চকপাড়া, পৌরসভার বেরাইদেরচালা গ্রামের শত শত একর জমি আজ অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে।
নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সভাপতি সাঈদ চৌধুরী বলেন, পলিথিনজাতীয় ময়লাকে আলাদা করে তা আগেই সরিয়ে ফেলতে হবে। পৌরসভাকে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মূয়ীদুল ইসলাম বলেন, পলিথিন বর্জ্যের কারণে উপজেলার বেশ কিছু জমি কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে। এই সমস্যা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের দাবি জানান তিনি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক নয়ন মিয়া বলেন, ‘পলিথিনসহ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সবকিছুর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে