তিনজনের আমৃত্যু, ৮ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ মে ২০২২, ০৭: ০৮
আপডেট : ১১ মে ২০২২, ১৬: ২১

কুষ্টিয়ায় তিন খুনের মামলায় তিনজনকে আমৃত্যু ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উপস্থিত ছিলেন না।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী। জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন চরমপন্থী বাহিনীর সদস্য।

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পুতলাডাঙ্গা গ্রামের আসকর আলীর ছেলে ফারুক সর্দার, পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের ইছাহাক আলী মাস্টারের ছেলে কালু ওরফে কফিল উদ্দিন, কুষ্টিয়া পৌরসভার আড়ুয়াপাড়া এলাকার কালো মজনুর ছেলে রোহান।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ মণ্ডলের ছেলে ফারুক মণ্ডল, ভায়না গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে লিয়াকত আলী, কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামের জলিল শেখের ছেলে লিয়াকত শেখ, এছেম শেখের ছেলে মনোয়ার শেখ, আনছার শেখের ছেলে আকামউদ্দিন, ওয়াহেদ আলী জোয়াদ্দারের ছেলে জমিরউদ্দিন, খোর্দ্দবাখইল গ্রামের আবু বক্করের ছেলে নুরুল ও মাঝপাড়া গ্রামের ওম্মাদ মণ্ডলের ছেলে খাকচার মণ্ডল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৯ আগস্ট দিবাগত রাতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভবানীপুরের আকবর আলীর ছেলে কাউয়ুমসহ আরও দুজনের মাথা কেটে শহরের সাদ্দাম বাজার মোড়ের গণপূর্ত অফিসের সামনের গেটে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পুলিশ এসে ওই তিনজনের কাটা মাথা উদ্ধার করে। পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার সোনাইডাঙ্গা গ্রাম থেকে মস্তকবিহীন ওই তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত অন্যরা হলেন আইউব আলী এবং সামসুজ্জামান। এ ঘটনায় কাইয়ুমের ভাই আব্দুল হাই বাদী হয়ে পর দিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল রায় ঘোষণা করা হয়।

পিপি অনুপ কুমার বলেন, ‘এটি শুধু কুষ্টিয়া জেলা নয়, দেশব্যাপী একটি আলোচিত হত্যাকাণ্ড ছিল। টেন্ডারবাজি এবং টেন্ডারের দখল নেওয়ার জন্যই মূলত চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক রয়েছেন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত