মংবোওয়াংচিং মারমা, থানচি (বান্দরবান)
ঢাকা থেকে বান্দরবানের থানচির পর্যটন কেন্দ্রে যেতে ৭ জায়গায় তল্লাশি ও নিবন্ধনের মুখ পড়তে হয় পর্যটকদের। এই বিড়ম্বনা এড়াতে ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস পয়েন্ট’ চালুর পরামর্শ দিচ্ছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। থানচিতে পর্যটন শিল্পের বিকাশ করে মনে করেন পর্যটক, স্থানীয় প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, পথ প্রদর্শকেরা।
সম্প্রতি থানচিতে ভ্রমণে আসা ঢাকার বাসিন্দা মো. আজিজুল হক (৩৫) বলেন, ‘পাহাড়ে ভ্রমণে আসতে হলে এত প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে আগে জানলে অন্য সিদ্ধান্ত নিতাম। সমতল আর পাহাড়ের নিয়মাবলি এক নয়। বারবার চেকপোস্টের বিড়ম্বনার কথা জানা থাকলে কখনোই থানচি আসতাম না।’
নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আজিজুল হকসহ একাধিক পর্যটক জানান, বান্দরবানে প্রবেশের সময় যৌথ বাহিনী, থানচি যাওয়ার পথে মিলনছড়িতে পুলিশ, ১২ কিলোমিটারে সেনাবাহিনী ও বলিপাড়া চেকপোস্টে বিজিবি তল্লাশির মুখোমুখি হতে হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকতা পালনে প্রায় ৩০ মিনিট লেগে যায়। এ সব তল্লাশি চৌকিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি জমা দেওয়ার পরও থানচি পৌঁছে পর্যটন তথ্যসেবা কেন্দ্রের রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
এ ছাড়া থানচি থানায় জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি জমা দিয়ে ছবি তুলতে হয়। ফের নদীর ঘাটে না পৌঁছার আগে বিজিবি ঘাটে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। শেষে নৌকার জন্য অন্তত ৩০ মিনিট অপেক্ষার বিড়ম্বনাও আছে। সব মিলে প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় অতিক্রম করতে হয় তল্লাশি ও নিবন্ধন কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে। সমতলের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মতো পাহাড়ে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করলে এই বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলে মনে করেন আজিজুল হকসহ ও তাঁর সফর সঙ্গীরা।
পথ প্রদর্শক পরিচালনা কমিটি সভাপতি ম্যানুওয়েল ত্রিপুরা ইমন মতে, থানচিতে ওয়ানস্টপ পয়েন্ট হিসেবে উপজেলা তথ্যসেবা কেন্দ্রের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী পর্যটকদের রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। পরে বিজিবি চেক পোস্ট, স্থানীয় থানা, প্রশাসনকে ছবিসহ জমা দিলে ভ্রমণকারীসহ পথপ্রদর্শকেরা বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পাবেন।
থানচি জোনে ট্যুরিস্ট পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল জলিল বলেন, ভ্রমণকারীদের তথ্য-কাগজপত্র সরকারিভাবে কোনো একটি সংস্থা সংগ্রহ করতে পারে। পরে তথ্যসেবা কেন্দ্রে প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে সব সংস্থার সমন্বিতভাবে কাজ করলে ওয়ানস্টপ সার্ভিস পয়েন্ট পরিচালনা করা সহজ। ঢাকা থেকে থানচি পর্যন্ত বাস, চান্দের গাড়ি; সেখান থেকে রেমাক্রী বাজার পর্যন্ত নৌকায় যেতে এক রাত এক দিন লাগে হয়। রাত জাগা পর্যটকদের জন্য ওই বিড়ম্বনা খুবই কষ্টকর।
থানচি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুরদ্দিন মো. শাওন জানান, বিপদে পড়া পর্যটকদের পরিচয় শনাক্তের জন্য থানচি থানায় প্রয়োজনীয় তথ্য ও ছবি তোলা হয়। একটি নির্ধারিত স্থানে পুলিশ, আর্মি, বিজিবি ও উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে সব তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তুললে পর্যটকদের ভালো সেবা দেওয়া সম্ভব।
থানচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সূদ্বীপ রায় বলেন, ভ্রমণকারীদের বিড়ম্বনাতে এড়াতে বিশেষ বিবেচনায় অঞ্চল ভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। এটি থানচিতে পর্যটন শিল্প বিকাশে সহায়ক হবে।
ওয়ানস্টপ সার্ভিস পয়েন্ট চালু পক্ষে মত দেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মারমা। তিনি বলেন, তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে থানচি উপজেলা পর্যটন কেন্দ্র সবচেয়ে সমৃদ্ধ। ঢাকা থেকে থানচি পর্যন্ত ৭টি পয়েন্টে রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশিসহ নানা বিড়ম্বনার কারণে লোকজন কম আসে। থানচির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে শত শত পাহাড়িদের আয়ের উৎসব। এ আয় দিয়ে তাঁদের ছেলেমেয়েরা দেশে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। এখানে লোক কম এলে পাহাড়ে আয়ের উৎসব বন্ধ হয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানি জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক সঙ্গে কয়েকবার আলাপ হয়েছে। তিনি ইতিবাচক সারা দিয়েছেন। প্রশাসনের নিজস্ব সার্ভারের মাধ্যমে অনলাইনে এ সেবা চালু করার সম্ভব। পর্যটনের বিকাশে ও ভ্রমণকারীদের বিড়ম্বনা এড়াতে এই ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা আছে।
ঢাকা থেকে বান্দরবানের থানচির পর্যটন কেন্দ্রে যেতে ৭ জায়গায় তল্লাশি ও নিবন্ধনের মুখ পড়তে হয় পর্যটকদের। এই বিড়ম্বনা এড়াতে ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস পয়েন্ট’ চালুর পরামর্শ দিচ্ছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। থানচিতে পর্যটন শিল্পের বিকাশ করে মনে করেন পর্যটক, স্থানীয় প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, পথ প্রদর্শকেরা।
সম্প্রতি থানচিতে ভ্রমণে আসা ঢাকার বাসিন্দা মো. আজিজুল হক (৩৫) বলেন, ‘পাহাড়ে ভ্রমণে আসতে হলে এত প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে আগে জানলে অন্য সিদ্ধান্ত নিতাম। সমতল আর পাহাড়ের নিয়মাবলি এক নয়। বারবার চেকপোস্টের বিড়ম্বনার কথা জানা থাকলে কখনোই থানচি আসতাম না।’
নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আজিজুল হকসহ একাধিক পর্যটক জানান, বান্দরবানে প্রবেশের সময় যৌথ বাহিনী, থানচি যাওয়ার পথে মিলনছড়িতে পুলিশ, ১২ কিলোমিটারে সেনাবাহিনী ও বলিপাড়া চেকপোস্টে বিজিবি তল্লাশির মুখোমুখি হতে হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকতা পালনে প্রায় ৩০ মিনিট লেগে যায়। এ সব তল্লাশি চৌকিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি জমা দেওয়ার পরও থানচি পৌঁছে পর্যটন তথ্যসেবা কেন্দ্রের রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
এ ছাড়া থানচি থানায় জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি জমা দিয়ে ছবি তুলতে হয়। ফের নদীর ঘাটে না পৌঁছার আগে বিজিবি ঘাটে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। শেষে নৌকার জন্য অন্তত ৩০ মিনিট অপেক্ষার বিড়ম্বনাও আছে। সব মিলে প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় অতিক্রম করতে হয় তল্লাশি ও নিবন্ধন কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে। সমতলের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মতো পাহাড়ে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করলে এই বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলে মনে করেন আজিজুল হকসহ ও তাঁর সফর সঙ্গীরা।
পথ প্রদর্শক পরিচালনা কমিটি সভাপতি ম্যানুওয়েল ত্রিপুরা ইমন মতে, থানচিতে ওয়ানস্টপ পয়েন্ট হিসেবে উপজেলা তথ্যসেবা কেন্দ্রের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী পর্যটকদের রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। পরে বিজিবি চেক পোস্ট, স্থানীয় থানা, প্রশাসনকে ছবিসহ জমা দিলে ভ্রমণকারীসহ পথপ্রদর্শকেরা বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পাবেন।
থানচি জোনে ট্যুরিস্ট পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল জলিল বলেন, ভ্রমণকারীদের তথ্য-কাগজপত্র সরকারিভাবে কোনো একটি সংস্থা সংগ্রহ করতে পারে। পরে তথ্যসেবা কেন্দ্রে প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে সব সংস্থার সমন্বিতভাবে কাজ করলে ওয়ানস্টপ সার্ভিস পয়েন্ট পরিচালনা করা সহজ। ঢাকা থেকে থানচি পর্যন্ত বাস, চান্দের গাড়ি; সেখান থেকে রেমাক্রী বাজার পর্যন্ত নৌকায় যেতে এক রাত এক দিন লাগে হয়। রাত জাগা পর্যটকদের জন্য ওই বিড়ম্বনা খুবই কষ্টকর।
থানচি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুরদ্দিন মো. শাওন জানান, বিপদে পড়া পর্যটকদের পরিচয় শনাক্তের জন্য থানচি থানায় প্রয়োজনীয় তথ্য ও ছবি তোলা হয়। একটি নির্ধারিত স্থানে পুলিশ, আর্মি, বিজিবি ও উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে সব তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তুললে পর্যটকদের ভালো সেবা দেওয়া সম্ভব।
থানচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সূদ্বীপ রায় বলেন, ভ্রমণকারীদের বিড়ম্বনাতে এড়াতে বিশেষ বিবেচনায় অঞ্চল ভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। এটি থানচিতে পর্যটন শিল্প বিকাশে সহায়ক হবে।
ওয়ানস্টপ সার্ভিস পয়েন্ট চালু পক্ষে মত দেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মারমা। তিনি বলেন, তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে থানচি উপজেলা পর্যটন কেন্দ্র সবচেয়ে সমৃদ্ধ। ঢাকা থেকে থানচি পর্যন্ত ৭টি পয়েন্টে রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশিসহ নানা বিড়ম্বনার কারণে লোকজন কম আসে। থানচির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে শত শত পাহাড়িদের আয়ের উৎসব। এ আয় দিয়ে তাঁদের ছেলেমেয়েরা দেশে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। এখানে লোক কম এলে পাহাড়ে আয়ের উৎসব বন্ধ হয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানি জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক সঙ্গে কয়েকবার আলাপ হয়েছে। তিনি ইতিবাচক সারা দিয়েছেন। প্রশাসনের নিজস্ব সার্ভারের মাধ্যমে অনলাইনে এ সেবা চালু করার সম্ভব। পর্যটনের বিকাশে ও ভ্রমণকারীদের বিড়ম্বনা এড়াতে এই ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা আছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে