গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৩ ইউপি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

প্রার্থীরা শত শত নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে শক্তির মহড়া প্রদর্শন ও শোডাউন করে শহরের নির্বাচন কার্যালয়ে ভিড় করেন। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মারুফ জানান, নির্বাচনে যেন আচরণবিধি লঙ্ঘন না হয়, সে বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে বলে জানান তিনি।

জানা যায়, তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২ নভেম্বর। তাই প্রার্থীরা ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীরা মোটরসাইকেল শোডাউন ও মিছিল নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন।

স্বতন্ত্র ও সদস্য পদের প্রার্থীরাও লোক সমাগমে পিছিয়ে নেই। জনগণের ভিড় সামলাতে পৌর শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল রোববার দুপুরে প্রায় দুই হাজার লোকের মিছিল সহকারে আ. লীগ মনোনীত বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী শমেস উদ্দিন সরকার বাবু মনোনয়নপত্র জমা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে।

এ ছাড়া মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বেলকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবর রহমান মজি, রামজীবন ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী এটিএম এনামুল হক মন্টু, সোনারায় ইউনিয়ন জাপার প্রার্থী আনছার আলী সরদার, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মতিন, জাতীয় পার্টির হাজী জহুরুল ইসলাম বাদশাসহ চেয়ারম্যান ও সদস্য মিলে শতাধিক প্রার্থী।

স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মতিন সরকার বলেন, আচরণবিধি যাতে ভঙ্গ না হয়, সে কারণে লোকজন নিয়ে আসিনি; কিন্তু এসে দেখলাম, আচরণবিধি ভঙ্গের মহাউৎসব চলছে।