Ajker Patrika

পৌরসভা নির্বাচন: পটুয়াখালীতে সাবেক ও বর্তমান মেয়রের লড়াই

মীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২: ০৬
পৌরসভা নির্বাচন: পটুয়াখালীতে সাবেক ও বর্তমান মেয়রের লড়াই

এখনো রেশ রয়ে গেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের। তার মধ্যে ২৪ জানুয়ারি বিভিন্ন পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই ঘোষণার পরপরই পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র পদপ্রত্যাশীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের ভাষ্য, সদ্য অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন এই এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হলেও পৌরসভায় তা হবে। বর্তমান ও সাবেক দুই মেয়রের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এদিকে আন্দোলনে থাকা বিএনপি কোনো পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে এখনো অনড়।

পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বর্তমান ও সাবেক মেয়র ছাড়া আরও দুজন মেয়র প্রার্থী ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যানার-পোস্টার সাঁটিয়েছেন। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের জানান দেওয়ার পাশাপাশি গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করছেন।

পটুয়াখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। ২০১৯ সালে পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। সেই সময় দল থেকে বহিষ্কার করলেও নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীরকে বিপুল ভোটে হারিয়ে তিনি মেয়র হন। তফসিল ঘোষণার পরপরই দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হওয়ার লক্ষ্যে মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন তিনি।

এ বিষয়ে মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত ৫ বছরে আমি নিরলসভাবে কাজ করেছি। বাংলাদেশের কোনো পৌরসভায় এত কাজ হয়নি; মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ছোঁয়া মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছি। আশা করি, আগামী ৯ মার্চ আমাকে সাধারণ মানুষ ভোট দেবেন।’

মহিউদ্দিনকে ঠেকাতে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র ডা. মো. শফিকুল ইসলাম। ২০১১ সালে বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে মেয়র নির্বাচিত হলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেননি। ২০১৯ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে নামলেও শেষ পর্যায়ে কাজী আলমগীরকে সমর্থন দিয়ে তিনি সরে দাঁড়ান।

শফিকুল বলেন, ‘বর্তমান পৌরসভার উন্নয়নের অধিকাংশই আমার সময়ে রেখে যাওয়া কাজ। বর্তমান মেয়র আসার পরে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ নানা জায়গায় অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু কোনো সত্যতা পায়নি। আগের ভুল শুধরে কাজ করতে চাই। এবং মানুষ আমাকে চাইছে।’

ভোটের মাঠে থাকার কথা জানিয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ব্যবসায়ী মো. এনায়েত হোসেন। 

স্থানীয়রা জানান, এবার নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ হলে এবং ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে মহিউদ্দিন আবারও মেয়র হবেন। তবে ক্ষমতাসীন দল যদি কাউকে সমর্থন করে, সে ক্ষেত্রে তাঁকে ঠেকাতে জেলা আওয়ামী লীগের এক পক্ষ ঐক্যবদ্ধভাবে নামতে পারে। তখন শফিকুল বাড়তি সুবিধা পাবেন। তবে দলীয়ভাবে কাউকে সমর্থন না দিলে অধিকাংশ নেতা-কর্মী মহিউদ্দিনের সঙ্গে থাকবেন। 
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা দলীয়ভাবে এখন পর্যন্ত কাউকে সমর্থন জানানোর নির্দেশনা পাইনি। যদি কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেয় তাহলে জানাব।’ 

ভোটের বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব স্নেহাংশ সরকার কুট্টি বলেন, ‘আমরা এখনো এক দফা আন্দোলনে আছি। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত