৪ মাসে ২২ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বন্ধ, নিবন্ধন নবায়নে গতি

দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫: ৪১

দিনাজপুরে গত মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ২২টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই অভিযান শুরুর পর থেকে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধন নবায়নে গতি বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে নিবন্ধন ফি বাবদ জেলায় মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৫ লাখ টাকার বেশি।

সরকার গত মে মাসে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর থেকে জেলায় এই অভিযান শুরু হয়।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরে নিবন্ধন রয়েছে এমন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা ১৬৫। মে মাসে অভিযান শুরুর পর থেকে নিবন্ধন নবায়নে গতি বেড়েছে। তবে অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন গ্রহণে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। মে থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩টি ক্লিনিক ও ৬০টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিবন্ধন নবায়নের জন্য আবেদন করেছে। এ ছাড়া অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থেকে দুটি ক্লিনিক ও তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। এতে নিবন্ধন নবায়ন ও নতুন নিবন্ধন বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা।

এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নিবন্ধন ছাড়া নীতিমালা ভেঙে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়ে ২২টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। নিবন্ধনসহ মানোন্নয়নের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে আরও ২২টি প্রতিষ্ঠানকে। পরিচালিত অভিযানে মোট জরিমানা আদায় হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা সদরে স্থাপিত প্রতিটি ক্লিনিকের নিবন্ধন ফি ৪০ হাজার এবং উপজেলায় স্থাপিত ক্লিনিকের নিবন্ধন ফি ২৫ হাজার। অন্যদিকে জেলা সদরে স্থাপিত প্রতিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধন ফি ২০ হাজার এবং উপজেলায় স্থাপিত প্রতিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধন ফি ১৫ হাজার।

দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন এ এইচ এম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক দিনাজপুরেও আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২২টি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া আরও ২২টি প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত