রিমন রহমান, রাজশাহী
বৈশাখী মেলার অনেক আগে থেকেই সুশান্ত কুমার পালের বাড়িতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। বাড়ির সবাই মন দেন মাটির শখের হাঁড়ি তৈরিতে। সুশান্ত পাল তাঁর শখের হাঁড়ির পসরা সাজান বৈশাখী মেলায়। কিন্তু গেল দুই বছর করোনা মহামারির কারণে বৈশাখী মেলা হয়নি। সুশান্ত পালেরও আর মেলায় যাওয়া হয়নি। তবে এবার সুশান্ত মেলায় যাচ্ছেন।
তাই শেষ মুহূর্তে তাঁর বাড়িতে এখন রং-তুলির আঁচড়ে শখের হাঁড়িগুলো রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে। সুশান্ত পালের স্ত্রী, দুই ছেলে আর পূত্রবধূরাও এখন এ কাজে ব্যস্ত। আগামী বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বৈশাখী মেলায় থাকবে সুশান্তের শখের হাঁড়ি। এ ছাড়া সোনারগাঁও জাদুঘর প্রাঙ্গণেও বৈশাখী মেলায় আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার পাওয়া যাবে এ হাঁড়ি।
রাজশাহীর পবা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামে সুশান্ত পালের বাড়ি। তিনি শখের হাঁড়ি তৈরির কারুশিল্পী হয়েছেন বংশগতভাবেই। তাঁর বয়স এখন ৬১। প্রায় ৩২ বছর ধরে তৈরি করছেন শখের হাঁড়ি। নিভৃত পল্লির এই কারুশিল্পীর নাম ছড়িয়েছে দেশ-বিদেশে। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবইয়ে ‘শখের মৃৎশিল্প’ শিরোনামের একটি প্রবন্ধের সঙ্গে ছাপানো হয়েছে সুশান্ত পালের ছবি। সরকারি খরচে দেশের প্রতিনিধি হয়ে তিনি গেছেন বিদেশেও।
কারুশিল্পের এক প্রদর্শনীতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হয়ে ২০১৩ সালে সুশান্ত পাল ঘুরে এসেছেন জাপান। একাধিকবার দেশের সেরা কারুশিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন। কারুশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ কারুশিল্প পরিষদ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, জাতীয় জাদুঘর, কারিকা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনসহ (বিসিক) বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সনদ রয়েছে তাঁর।
শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন-২০১১ স্বর্ণপদক পান সুশান্ত পাল। সুশান্ত পালের ছেলে সঞ্জয় কুমার পালও সরকারি খরচে ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন।
দেশে যেখানেই কারুশিল্পের মেলা বা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, সেখানেই সুশান্ত পাল ও তাঁর দুই ছেলেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অসংখ্য প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন তাঁরা। সবশেষ গত মার্চে তিন দিন ও ছয় দিনের দুটি মেলায় অংশ নিয়ে এসেছেন।
সুশান্ত পাল কাজ শিখেছিলেন তাঁর বাবা ভোলানাথ কুমার পালের কাছে। আর সুশান্তকে দেখে দেখে কারুশিল্পী হয়েছেন তাঁর দুই ছেলে সঞ্জয় কুমার পাল ও মৃত্যুঞ্জয় কুমার পাল। সুশান্তের স্ত্রী মমতা রানী পাল এবং দুই ছলের স্ত্রী মুক্তি রানী পাল ও করুণা রানী পালও এখন কারুশিল্পী। গত শুক্রবার তাঁদের বাড়িতে গিয়ে সবাইকেই শখের হাঁড়ি নিয়ে কাজ করতে দেখা গেল।
সুশান্ত বলেন, তিন মাস আগে সোনারগাঁও মার্কেটে এক হাজার টাকা ভাড়ায় একটি দোকান বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিন বাবা-ছেলে পালা করে সেই দোকানে থাকেন। মেলা শুরুর আগেই তিনি দোকানে যাবেন। তারপর স্টলের প্রস্তুতি নেবেন। বৈশাখী মেলায় সুশান্ত ও ছেলে সঞ্জয় থাকবেন শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। আরেক ছেলে মৃত্যুঞ্জয় থাকবেন সোনারগাঁও জাদুঘরের বৈশাখী মেলায়।
মৃত্যুঞ্জয় বলেন, এবারও মেলা হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। অল্প সময় আগে তাঁদের জানানো হয়েছে। নতুন করে জিনিসপত্র বানানোর সময় পাওয়া যায়নি। বাড়িতেই যা মজুত ছিল, সেগুলো নিয়ে যাবেন। এ জন্য নতুন করে রং করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘রোজার মাসে মেলা জমবে না। দু-তিন দিনের মেলায় ব্যবসাও হবে না। তাও দুই বছর পর বৈশাখী মেলায় যাচ্ছি বলে আনন্দ লাগছে।’
বৈশাখী মেলার অনেক আগে থেকেই সুশান্ত কুমার পালের বাড়িতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। বাড়ির সবাই মন দেন মাটির শখের হাঁড়ি তৈরিতে। সুশান্ত পাল তাঁর শখের হাঁড়ির পসরা সাজান বৈশাখী মেলায়। কিন্তু গেল দুই বছর করোনা মহামারির কারণে বৈশাখী মেলা হয়নি। সুশান্ত পালেরও আর মেলায় যাওয়া হয়নি। তবে এবার সুশান্ত মেলায় যাচ্ছেন।
তাই শেষ মুহূর্তে তাঁর বাড়িতে এখন রং-তুলির আঁচড়ে শখের হাঁড়িগুলো রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে। সুশান্ত পালের স্ত্রী, দুই ছেলে আর পূত্রবধূরাও এখন এ কাজে ব্যস্ত। আগামী বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বৈশাখী মেলায় থাকবে সুশান্তের শখের হাঁড়ি। এ ছাড়া সোনারগাঁও জাদুঘর প্রাঙ্গণেও বৈশাখী মেলায় আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার পাওয়া যাবে এ হাঁড়ি।
রাজশাহীর পবা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামে সুশান্ত পালের বাড়ি। তিনি শখের হাঁড়ি তৈরির কারুশিল্পী হয়েছেন বংশগতভাবেই। তাঁর বয়স এখন ৬১। প্রায় ৩২ বছর ধরে তৈরি করছেন শখের হাঁড়ি। নিভৃত পল্লির এই কারুশিল্পীর নাম ছড়িয়েছে দেশ-বিদেশে। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবইয়ে ‘শখের মৃৎশিল্প’ শিরোনামের একটি প্রবন্ধের সঙ্গে ছাপানো হয়েছে সুশান্ত পালের ছবি। সরকারি খরচে দেশের প্রতিনিধি হয়ে তিনি গেছেন বিদেশেও।
কারুশিল্পের এক প্রদর্শনীতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হয়ে ২০১৩ সালে সুশান্ত পাল ঘুরে এসেছেন জাপান। একাধিকবার দেশের সেরা কারুশিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন। কারুশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ কারুশিল্প পরিষদ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, জাতীয় জাদুঘর, কারিকা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনসহ (বিসিক) বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সনদ রয়েছে তাঁর।
শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন-২০১১ স্বর্ণপদক পান সুশান্ত পাল। সুশান্ত পালের ছেলে সঞ্জয় কুমার পালও সরকারি খরচে ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন।
দেশে যেখানেই কারুশিল্পের মেলা বা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, সেখানেই সুশান্ত পাল ও তাঁর দুই ছেলেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অসংখ্য প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন তাঁরা। সবশেষ গত মার্চে তিন দিন ও ছয় দিনের দুটি মেলায় অংশ নিয়ে এসেছেন।
সুশান্ত পাল কাজ শিখেছিলেন তাঁর বাবা ভোলানাথ কুমার পালের কাছে। আর সুশান্তকে দেখে দেখে কারুশিল্পী হয়েছেন তাঁর দুই ছেলে সঞ্জয় কুমার পাল ও মৃত্যুঞ্জয় কুমার পাল। সুশান্তের স্ত্রী মমতা রানী পাল এবং দুই ছলের স্ত্রী মুক্তি রানী পাল ও করুণা রানী পালও এখন কারুশিল্পী। গত শুক্রবার তাঁদের বাড়িতে গিয়ে সবাইকেই শখের হাঁড়ি নিয়ে কাজ করতে দেখা গেল।
সুশান্ত বলেন, তিন মাস আগে সোনারগাঁও মার্কেটে এক হাজার টাকা ভাড়ায় একটি দোকান বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিন বাবা-ছেলে পালা করে সেই দোকানে থাকেন। মেলা শুরুর আগেই তিনি দোকানে যাবেন। তারপর স্টলের প্রস্তুতি নেবেন। বৈশাখী মেলায় সুশান্ত ও ছেলে সঞ্জয় থাকবেন শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। আরেক ছেলে মৃত্যুঞ্জয় থাকবেন সোনারগাঁও জাদুঘরের বৈশাখী মেলায়।
মৃত্যুঞ্জয় বলেন, এবারও মেলা হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। অল্প সময় আগে তাঁদের জানানো হয়েছে। নতুন করে জিনিসপত্র বানানোর সময় পাওয়া যায়নি। বাড়িতেই যা মজুত ছিল, সেগুলো নিয়ে যাবেন। এ জন্য নতুন করে রং করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘রোজার মাসে মেলা জমবে না। দু-তিন দিনের মেলায় ব্যবসাও হবে না। তাও দুই বছর পর বৈশাখী মেলায় যাচ্ছি বলে আনন্দ লাগছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে