কুমিল্লা প্রতিনিধি
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে কুমিল্লায়। গতকাল রোববার নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এসব পণ্য কিনতে এসে বিড়ম্বনায় পড়েছেন অনেকেই। তাঁদের কার্ড থাকলেও তালিকায় নাম ছিল না। এতে দিনভর লাইনে দাঁড়িয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। এ ছাড়া বিশৃঙ্খলা, হুড়োহুড়ি, ঠেলাঠেলির ঘটনাও ঘটেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১৭টি উপজেলার বিভিন্ন স্থান ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার ২৩টি স্থানে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। জেলায় মোট ২ লাখ ৬৪ হাজার ৭৪৭ পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে গতকাল রোববার ১ লাখ ১১ হাজার ৮৩২ পরিবারের কাছে পণ্য বিক্রি করার কথা ছিল। জনপ্রতি ১১০ টাকা করে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা করে ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা করে ২ কেজি মসুর ডাল দেওয়া হচ্ছে।
নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কলি বেগম ৪৩৮ নম্বরের কার্ড পেয়েছেন। তিনি জানান, ঘোষণামতো টিসিবির পণ্য কিনতে হাউজিং এস্টেটে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়ান। দীর্ঘ লাইন শেষে ট্রাকের কাছে পৌঁছালে জানানো হয়, তালিকায় তাঁর নাম নেই। এ কারণে তাঁকে পণ্য দেওয়া হয়নি।
বাসিন্দা আবদুল জলিল (কার্ড নম্বর ৪১২), মোর্শেদা বেগমসহ (কার্ড নম্বর ৪২৭) বেশ কয়েকজন জানান, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের দেওয়া কার্ডপ্রাপ্ত সবাইকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নাম তালিকায় নেই। আবার অনেকের কার্ডের নম্বরের সঙ্গে তালিকার নম্বরের গরমিল রয়েছে। তাঁরা রোদের মধ্যে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যায়ে ফেরত আসতে হয়েছে।
মো. ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছ থেকে টিসিবির পণ্য কিনতে কার্ড সংগ্রহ করেছি। আমাদের আজকে পণ্য ক্রয় করতে বলা হয়েছিল। আমি একজন ক্ষুদ্র দোকানি। আমাকে ফেরত আসতে হয়েছে। আমার কার্ড আছে। কিন্তু তালিকায় নাকি নাম নেই।’
কেন্দ্র নিয়েও ছিল ক্ষোভ। মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা নুরু মিয়া (কার্ড নম্বর ৪০৯), আবদুল মতিনসহ (কার্ড নম্বর ৩৬৬) আরও কয়েকজন জানান, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থাকেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর বাসার পাশে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ওয়ার্ডের শেষ প্রান্তে অন্য ওয়ার্ডের সীমায় কেন্দ্রটি স্থাপন করায় বাসিন্দাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ১৩, ১৪ ও ১৫ সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর নুর জাহান আলম পুতুল বলেন, ‘আমার দেওয়া কার্ডপ্রাপ্তদের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তালিকায় তাঁদের নাম নেই। টিসিবির পণ্য কিনতে গিয়ে ফেরত আসা উত্তেজিত শতাধিক ব্যক্তি আমার বাসার সামনে এসে জড়ো হন। আমি তাঁদের কোনো সদুত্তর দিতে পারিনি। বিষয়টি সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীকে জানিয়েছি। বিষয়টির আমি সমাধান চাই।’
১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম খান বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে ডিলারদের কাছে পণ্য ও তালিকা দেওয়া হয়েছে। এখানে অনেকের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ায় মানুষ এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন। তালিকার নামের বিষয়ে আমার কিছু করার নাই। আমি শুধু তদারক করছি।’
নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কুসিক কর্মকর্তা মো. নুর নবী আজাদ বলেন, ‘সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে টিসিবির পণ্য বিক্রয়ে প্রতি কেন্দ্রে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের একজন প্রধান সমন্বয়ক ও দুজন কর্মকর্তা দেখাশোনা করছেন, যাতে সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয়। কোনো সমস্যা থাকলে আমরা বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করব।’
পণ্য বিক্রয়ের এজেন্ট মেসার্স দিবা এন্টারপ্রাইজের মোহাম্মদ আরিফুল হক বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বাদ পড়ার বিষয়টি আমাদের ব্যাপার না।’
টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী কর্মকর্তা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইন উদ্দিন চিশতী বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলদের সঙ্গে সমন্বয় করে সমাধান করা হবে।’
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে কুমিল্লায়। গতকাল রোববার নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এসব পণ্য কিনতে এসে বিড়ম্বনায় পড়েছেন অনেকেই। তাঁদের কার্ড থাকলেও তালিকায় নাম ছিল না। এতে দিনভর লাইনে দাঁড়িয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। এ ছাড়া বিশৃঙ্খলা, হুড়োহুড়ি, ঠেলাঠেলির ঘটনাও ঘটেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১৭টি উপজেলার বিভিন্ন স্থান ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার ২৩টি স্থানে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। জেলায় মোট ২ লাখ ৬৪ হাজার ৭৪৭ পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে গতকাল রোববার ১ লাখ ১১ হাজার ৮৩২ পরিবারের কাছে পণ্য বিক্রি করার কথা ছিল। জনপ্রতি ১১০ টাকা করে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা করে ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা করে ২ কেজি মসুর ডাল দেওয়া হচ্ছে।
নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কলি বেগম ৪৩৮ নম্বরের কার্ড পেয়েছেন। তিনি জানান, ঘোষণামতো টিসিবির পণ্য কিনতে হাউজিং এস্টেটে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়ান। দীর্ঘ লাইন শেষে ট্রাকের কাছে পৌঁছালে জানানো হয়, তালিকায় তাঁর নাম নেই। এ কারণে তাঁকে পণ্য দেওয়া হয়নি।
বাসিন্দা আবদুল জলিল (কার্ড নম্বর ৪১২), মোর্শেদা বেগমসহ (কার্ড নম্বর ৪২৭) বেশ কয়েকজন জানান, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের দেওয়া কার্ডপ্রাপ্ত সবাইকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নাম তালিকায় নেই। আবার অনেকের কার্ডের নম্বরের সঙ্গে তালিকার নম্বরের গরমিল রয়েছে। তাঁরা রোদের মধ্যে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যায়ে ফেরত আসতে হয়েছে।
মো. ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছ থেকে টিসিবির পণ্য কিনতে কার্ড সংগ্রহ করেছি। আমাদের আজকে পণ্য ক্রয় করতে বলা হয়েছিল। আমি একজন ক্ষুদ্র দোকানি। আমাকে ফেরত আসতে হয়েছে। আমার কার্ড আছে। কিন্তু তালিকায় নাকি নাম নেই।’
কেন্দ্র নিয়েও ছিল ক্ষোভ। মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা নুরু মিয়া (কার্ড নম্বর ৪০৯), আবদুল মতিনসহ (কার্ড নম্বর ৩৬৬) আরও কয়েকজন জানান, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থাকেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর বাসার পাশে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ওয়ার্ডের শেষ প্রান্তে অন্য ওয়ার্ডের সীমায় কেন্দ্রটি স্থাপন করায় বাসিন্দাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ১৩, ১৪ ও ১৫ সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর নুর জাহান আলম পুতুল বলেন, ‘আমার দেওয়া কার্ডপ্রাপ্তদের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তালিকায় তাঁদের নাম নেই। টিসিবির পণ্য কিনতে গিয়ে ফেরত আসা উত্তেজিত শতাধিক ব্যক্তি আমার বাসার সামনে এসে জড়ো হন। আমি তাঁদের কোনো সদুত্তর দিতে পারিনি। বিষয়টি সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীকে জানিয়েছি। বিষয়টির আমি সমাধান চাই।’
১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম খান বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে ডিলারদের কাছে পণ্য ও তালিকা দেওয়া হয়েছে। এখানে অনেকের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ায় মানুষ এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন। তালিকার নামের বিষয়ে আমার কিছু করার নাই। আমি শুধু তদারক করছি।’
নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কুসিক কর্মকর্তা মো. নুর নবী আজাদ বলেন, ‘সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে টিসিবির পণ্য বিক্রয়ে প্রতি কেন্দ্রে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের একজন প্রধান সমন্বয়ক ও দুজন কর্মকর্তা দেখাশোনা করছেন, যাতে সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয়। কোনো সমস্যা থাকলে আমরা বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করব।’
পণ্য বিক্রয়ের এজেন্ট মেসার্স দিবা এন্টারপ্রাইজের মোহাম্মদ আরিফুল হক বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বাদ পড়ার বিষয়টি আমাদের ব্যাপার না।’
টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী কর্মকর্তা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইন উদ্দিন চিশতী বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলদের সঙ্গে সমন্বয় করে সমাধান করা হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে