Ajker Patrika

টাকা আটকে আছে মামলায়

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২১, ১৮: ৩৭
টাকা আটকে আছে মামলায়

মামলায় আটকে থাকা খেলাপি ঋণের অঙ্ক বেড়েই চলেছে। ঋণসংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অর্থঋণ আদালত চালু হলেও গত দেড় দশকেও তাতে কোনো সাফল্য নেই। ফলে খেলাপি ঋণসংক্রান্ত ৬৫ হাজার ৪৩৭টি মামলায় আটকে রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৬টি সরকারি ব্যাংকের আওতায় ১৭ হাজার ১৩টি মামলায় ৬০ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর আওতায় ৫ হাজার ৯১৩টি মামলায় ১ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা, ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ৩৪ হাজার ৭১৫টি মামলায় ৬৯ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর ৭ হাজার ৭৯৬টি মামলায় ২ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা আটকে আছে।

এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সরকার পরিচালিত ব্যাংকগুলোয় বিভিন্ন মামলায় ঝুলে থাকা খেলাপি ঋণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য থেকে জানা গেছে, দেউলিয়া, সার্টিফিকেট এবং অর্থঋণ আদালতের অধীন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৫ মামলায় নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে ২ লাখ ২৩২ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০০৩ সালে অর্থঋণ আদালত গঠন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত এ আদালতে মামলা হয়েছে প্রায় ২ লাখ। নিষ্পত্তিকৃত অর্থের সিংহভাগ আদায় করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এদিকে অর্থঋণ আদালতের দীর্ঘসূত্রতা খেলাপি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ বলে অভিযোগ ব্যাংকারদে।

এ নিয়ে ব্যাংক এশিয়ার শীর্ষ নির্বাহী আরফান আলী বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় দেশে অর্থঋণ আদালতের সংখ্যা কম। একই সঙ্গে আদালতগুলোয় বিচারকের সংখ্যাও যথেষ্ট নয়। তাই অর্থঋণ আদালতের মামলাজট তৈরি হচ্ছে। খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকারদের ব্যাংক পরিচালনা করতে চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে আর গ্রাহকেরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’

অন্য এক বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন, গত জুন শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬ হাজার কোটি টাকা। একই সময়ে অবলোপন করা হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ।

মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার বলেন, ‘অর্থঋণ আদালত দেশের ফাস্টট্র্যাক আইন। এ বিবেচনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অর্থঋণ আদালতের মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। কিন্তু এ আদালতের দীর্ঘসূত্রতায় আইনজীবী হিসেবে আমরাও হতাশ।’

নানা কৌশলে অর্থঋণ আদালতের মামলা নিষ্পত্তি দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘খেলাপি হওয়া ঋণ বিতরণে অনিয়মের সঙ্গে ব্যাংকাররা জড়িত থাকেন। কিছু ক্ষেত্রে তাঁরাই চান না মামলা নিষ্পত্তি হোক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ভিসা নীতি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে: বলছেন কূটনীতিকেরা

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ও এনসিপি

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীরের মিছিল, পুলিশের টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ

ভারত ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত