Ajker Patrika

কার্যাদেশে মাংস, পাতে নেই

শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
কার্যাদেশে মাংস, পাতে নেই

সুনামগঞ্জের শাল্লা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষকে বারবার বিষয়টি বলার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খাবার সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার গিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন সকালে দুটা পাউরুটি, এক চা চামচ চিনি এবং দুপুরে সিলভার কার্প মাছ, মোটা চালের ভাত, ডাল ও ভাজি মেশানো তরকারি দেওয়া হয়। রোগীদের অভিযোগ, মোটা চালের ভাতে বালি ও পাথর মেশানো থাকে। আর রাতে কোনো খাবারই দেওয়া হয়নি।

দরপত্রের শর্ত অনুয়ায়ী রোগীদের সপ্তাহে চার দিন মাছ এবং দুদিন মাংস দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু দুদিন মাছ দেওয়া হলেও মাংস এক দিনও দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ রোগীদের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রাপ্তবয়স্ক একজন রোগীর জন্য প্রতিদিন ১২৫ টাকা সরকারিভাবে বরাদ্দ রয়েছে। রোগীদের সকালে দুটি পাউরুটি, দুটি সেদ্ধ ডিম, একটি কলা ও ২০ গ্রাম চিনি দেওয়ার কথা। দুপুরে ও রাতে ১০০ গ্রাম মাছ, ২০০ গ্রাম ভাত, ২০ গ্রাম ডাল এবং পরিমাণমতো সবজি দেওয়ার কথা। কিন্তু সিলভার কার্প, বার্মিজ রুই, তেলাপিয়া মাছ, মোটা চালের ভাত, পচা-বাসি তরকারিসহ নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও পরিমাণে কম সরবরাহ করা হয়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এক রোগী বলেন, ‘তিন দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। সকালে দুইটা পাউরুটি আর একটু চিনি দিছিল, রুটি বাসি থাকায় খাইতে পারি নাই। দুপুরে অল্প কয়টা ভাত দিছিল, সঙ্গে আধা পিস (হাফ) মাছ দিছিল লগে আবার তরকারিও দিছে। মাছ অপরিষ্কার থাকায় খাওয়া যায় নাই তাই ফালাইয়া দিছি, আবার রাতে খাবারও দেয় না।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মচারী বলেন, এখানে চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে হাসপাতালের তিন-চারজন লোক জড়িত আছে। এ জন্যই নিম্নমানের খাবার দেওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, ‘খাবার নিয়ে কেউ কোনো দিন অভিযোগ করেনি। আর ভাতে বালি ও পাথর পাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। কারণ চাল বাজার থেকে কিনে দিই। বস্তার ভেতরে তো আর আমরা চেক করতে পারি না।’

শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেলিনা আক্তার বলেন, ‘খাবারের বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের কথা স্বীকার করেন বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। দায়িত্ব গ্রহণের পরই দেখতে পাই নিম্নমানের খাবার পরিবেশন। এরপরই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার জানানো হয়েছে খাবারের মান বাড়ানোর জন্য। নিম্নমানের খাবারের বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিন ধরে মনিটরিং টিম কাজ করছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ভালো খাবার পরিবেশনের জন্য বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত