ফেনীতে সরকারি দামে মিলছে না এলপি গ্যাস সিলিন্ডার

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯: ১১

ফেনীতে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। একেক দোকানে একেক দামে বিক্রি হচ্ছে এই সিলিন্ডার। তবে কোথাও সরকারনির্ধারিত দাম বা এর কমে পাওয়া যাচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গত ১১ জানুয়ারি ১২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডারের খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা; কিন্তু এই দামে কোথাও সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছে না। ঘোষণা দেওয়ার পরই দাম বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৬৮০ টাকা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

জেলা শহরের রাসেল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ডিলার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক শাহাদাৎ হোসেন তারেক বলেন, ‘সরকার কীভাবে দাম নির্ধারণ করে তা আমার জানা নেই। আমরা কোম্পানির ডিপো থেকে ১২ কেজির সিলিন্ডার কিনছি ১৫৩০-১৫৪০ টাকায়। এরপর প্রতি সপ্তাহে এই গ্যাস পরিবহন বাবদ ৮ হাজার টাকা তেল খরচ যোগ হয়। সব মিলিয়ে খুচরা দোকানির কাছে ২০-৩০ টাকা সিলিন্ডারপ্রতি লাভ রেখে বিক্রি করতে হচ্ছে। খুচরা বিক্রি করতে গেলে ১ হাজার ৫৪০ টাকার নিচে দাম রাখা নিজের ক্ষতি ছাড়া কিছু নয়; তবু আমি গ্রাহকের কাছ থেকে বেশি দাম নিচ্ছি না।’

মহিপাল সার্কিট হাউস এলাকার বাসিন্দা আহমেদ রাজু বলেন, গত শনিবার তিনি ১ হাজার ৬৪০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার কিনেছেন। গ্রাহকদের সঙ্গে এ কী ধরনের তামাশা শুরু হয়েছে।

স্কুলশিক্ষক পাপিয়া সুলতানা বলেন, ‘সকাল হলেই দাম বাড়ার আশঙ্কায় থাকি। কখনো ডিমের হালি ৫০ টাকা, কখনো চিনি, তেলের দাম তো বেড়ে চলেছেই। এখন দেখছি রান্না করার গ্যাসও পাল্লা দিচ্ছে। একটি সিলিন্ডার ২ হাজার টাকা হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমরা এর থেকে মুক্তি চাই।’

শান্তিধারা আবাসিক এলাকার মিথিলা চৌধুরী নামের এক নারী বলেন, লাইনের গ্যাস থাকার পরও সংকটের কারণে নিরুপায় হয়ে তিনি সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। তিনি ১ হাজার ৬৫০ টাকা দিয়ে খুচরা বাজার থেকে সিলিন্ডার কিনেছেন।

লাইনের গ্যাস ব্যবহারকারী একাধিক বাসিন্দা বলেন, তাঁরা প্রকট গ্যাস সমস্যায় রয়েছেন। লাইনে সরবরাহে সমস্যা হওয়ায় সিলিন্ডারও কিনতে হচ্ছে; কিন্তু দাম বৃদ্ধিতে তাঁরা চিন্তিত। সীমিত আয়ের বাসিন্দারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

এ বিষয়ে ফেনী ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা মো. কাউসার মিয়া বলেন, ‘বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা তাঁদের গ্যাস কেনার রসিদ দেখিয়েছেন। সেখানে ১ হাজার ৫২০ টাকায় কেনার প্রমাণ রয়েছে। এখন কীভাবে সমন্বয় করা যায়, তা আমরা দেখছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত