শিক্ষা উপকরণের দামও বাড়ল

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫: ১৪

রাজশাহীর তানোরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে শিক্ষা উপকরণের ওপর। হঠাৎ করে বই, খাতা, কলমসহ স্টেশনারি সামগ্রীর দাম প্রায় দেড় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

মুণ্ডুমালা পৌর শহরসহ বেশ কিছু স্থানের কয়েকটি স্টেশনারি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ৩০-৩৫ টাকার ব্যবহারিক খাতা এখন ৫০ টাকা, ৬০ টাকার খাতা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৩০০ পৃষ্ঠার খাতার দাম ৫০ থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, ১২০ পৃষ্ঠার খাতা ৩০ থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, কালার পেপার রিমের দাম ৩২০ থেকে বেড়ে ৪০০-৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩০০ পৃষ্ঠার রেজিস্ট্রার খাতা ১২০ থেকে বেড়ে ১৪০-১৫০ টাকা, ৫০০ পৃষ্ঠার ১৮০ থেকে ২০০-২২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। কলমের দাম ডজনপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। এ ছাড়া মার্কার, মিনি ফাইল, জিপার ফাইল, জ্যামিতি বক্স, প্লাস্টিক ও স্টিলের স্কেলসহ ক্যালকুলেটরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

তানোর সদরের কলেজ গেটের ফটোকপি দোকানি সাইফুল ইসলাম বলেন, কালি ও কাগজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ফটোকপির দাম বেড়েছে। আগে প্রতি কপি ফটোকপি করতে এক টাকা নিতেন তিনি। তা এখন দুই থেকে তিন টাকা নিতে হচ্ছে।

ওই ফটোকপি দোকানে কথা হয় অর্কিড স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সামিমুজ্জামান ও কৌশিকের সঙ্গে। তারা জানায়, পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন বই ও নোট ফটোকপি করতে হয়। গত ১৫ দিনে ফটোকপি ব্যয়ও বেড়েছে।

সদরের গোল্লাপাড়া বাজারের তকদীর প্রেসের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম বলেন, কাগজ ছাড়াও ছাপাখানার সঙ্গে কেমিক্যালসহ সংশ্লিষ্ট সব উপকরণের দাম বেড়েছে। তবে হঠাৎ করে এভাবে দাম বাড়ার নজির নেই।

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির তানোর উপজেলা শাখার সভাপতি জুবায়ের ইসলাম বলেন, কাগজের দামের প্রভাব বই ও খাতার ওপরে পড়ছে। কাগজের দাম বাড়ার অন্যতম আরেকটি কারণ মিল সিন্ডিকেট। তারা বাজারে সংকট দেখিয়ে দাম বাড়ায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, শিক্ষাসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযান চালানো হবে। এটি যদি ব্যবসায়ীদের কারসাজি হয়, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত