নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের সামনে গত কয়েক বছরে কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিজেদের দাঁড় করিয়েছে আফগানিস্তান, সংস্করণ যেটাই হোক না কেন। তবে সাদা বলের দুই সংস্করণে আফগানদের বিপক্ষে দেখা মেলে দুই রকম বাংলাদেশের। ওয়ানডেতে রশিদ-নবীদের শক্তিমত্তা বুঝিয়েছেন তামিম-সাকিবেরা। গত পরশু ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে আফগান-জুজু অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন তাঁরা। কিন্তু আগামীকাল শুরু টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।
এই সংস্করণে বাংলাদেশকে একরকম পেয়েই বসেছে আফগানিস্তান। এখন পর্যন্ত খেলা ছয় টি-টোয়েন্টির চারটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। বিশ্বমানের স্পিন বোলিং আক্রমণ ও পাওয়ার হিটিং দক্ষতায় মূলত এই সংস্করণে বাংলাদেশের চেয়ে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে আফগানদের। এর প্রভাব দেখা যায় র্যাঙ্কিংয়েও।
টি-টোয়েন্টি তালিকার আট নম্বরে আছেন রশিদ-নবীরা। একধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ। তবে দুই ম্যাচের এই সিরিজে তাঁদের টপকে যাওয়ার সুযোগ আছে মাহমুদউল্লাহদের।
প্রথম ম্যাচ জিতলেই আফগানদের টপকে আটে উঠে আসবে বাংলাদেশ। দলের রেটিং পয়েন্ট ২৩১। প্রতিপক্ষের সঙ্গে ব্যবধান ১ পয়েন্টের। সিরিজ সমতায় শেষ হলে দুই দলের পয়েন্ট এবং র্যাঙ্কিং অপরিবর্তিত থাকবে। আফগানদের ধবলধোলাই করতে পারলে ২৩৩ পয়েন্ট নিয়ে আটে উঠে আসবে বাংলাদেশ দল। ৫ পয়েন্ট পিছিয়ে দশে নেমে যেতে হবে সফরকারীদের। সিরিজের ফল এর বিপরীত হলে বরং মাহমুদউল্লাহরা নেমে যাবেন দশে।
২২৮ পয়েন্ট হবে দলের। ২৩৭ পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তান উঠবে আরও একধাপ ওপরে। এবারের সিরিজটা সাকিবদের কাছে তাই রশিদ-নবীদের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর। কিন্তু কাজটা কঠিন। কতটা কঠিন, বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল সেটি আজকের পত্রিকার কাছে বিশ্লেষণ করলেন এভাবে, ‘ওয়ানডে সিরিজ আমরা ভাগ্যক্রমে জিতেছি। দুটো দুর্দান্ত ইনিংসের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে (জেতা) এটা খুব কঠিন। দল হিসেবে খেলতে হবে। দুই-একজন খেললে হবে না। কারণ, এই সংস্করণে আফগানিস্তান আমাদের চেয়ে এগিয়ে।’
আশরাফুলের কথাটা অমূলক নয়। ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণে বেশির ভাগ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ২০১৮ সালের জুনে দেরাদুনে তিন ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার দুঃস্মৃতিও আছে। শুধু ঘরের মাঠেই নয়, আগামীকাল লড়াইয়ের মঞ্চ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেও জয়ের উদাহরণ আছে তাদের। তবে প্রথম ও শেষবারের দেখায় জিতেছে বাংলাদেশ। হারগুলো মাঝের সময়ের।
মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকার নেতিবাচক দিকটা তো আছেই, এই সংস্করণে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সেও আফগানরা এগিয়ে। গত বছরের শেষ দিকে বিশ্বকাপে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সুপার টুয়েলভের টিকিট কেটেছেন মাহমুদউল্লাহরা। এই পর্বে পাঁচ ম্যাচের সব কটিতে হেরেছেন তাঁরা। আরব আমিরাত থেকে ফিরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের তিক্ততা। বিপরীতে বিশ্বকাপে মূল পর্বের দুই ম্যাচ জিতেছেন রশিদ-নবীরা। এর বড় প্রভাব হতে পারে দলটির তারকা ক্রিকেটারদের বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজির অভিজ্ঞতা।
যে কারণে এবারের সিরিজটাকে কঠিন পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ‘ওদের বিপক্ষে জেতা কঠিন। আমাদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হবে। কিছুদিন আগেই বিপিএল খেললাম, দলের সবাই একরকম টি-টোয়েন্টি মেজাজে আছে। মানসিকভাবে আমরা কিছুটা এগিয়ে থাকব। আমার কাছে মনে হয়, সিরিজটা ফিফটি-ফিফটি।’
সিরিজ জিততে বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ সরওয়ার ইমরানের টোটকা হচ্ছে, ‘ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আফগান স্পিনাররা ভালো করলেও প্রথম দুই ম্যাচে তেমন ভালো করতে পারেনি। মিরপুরের উইকেটে যদি টার্ন না থাকে, ব্যাটিংবান্ধব হয়, তাহলে আমাদের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আমাদের ব্যাটিং শক্তি ভালো।’
বাংলাদেশের সামনে গত কয়েক বছরে কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিজেদের দাঁড় করিয়েছে আফগানিস্তান, সংস্করণ যেটাই হোক না কেন। তবে সাদা বলের দুই সংস্করণে আফগানদের বিপক্ষে দেখা মেলে দুই রকম বাংলাদেশের। ওয়ানডেতে রশিদ-নবীদের শক্তিমত্তা বুঝিয়েছেন তামিম-সাকিবেরা। গত পরশু ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে আফগান-জুজু অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন তাঁরা। কিন্তু আগামীকাল শুরু টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।
এই সংস্করণে বাংলাদেশকে একরকম পেয়েই বসেছে আফগানিস্তান। এখন পর্যন্ত খেলা ছয় টি-টোয়েন্টির চারটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। বিশ্বমানের স্পিন বোলিং আক্রমণ ও পাওয়ার হিটিং দক্ষতায় মূলত এই সংস্করণে বাংলাদেশের চেয়ে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে আফগানদের। এর প্রভাব দেখা যায় র্যাঙ্কিংয়েও।
টি-টোয়েন্টি তালিকার আট নম্বরে আছেন রশিদ-নবীরা। একধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ। তবে দুই ম্যাচের এই সিরিজে তাঁদের টপকে যাওয়ার সুযোগ আছে মাহমুদউল্লাহদের।
প্রথম ম্যাচ জিতলেই আফগানদের টপকে আটে উঠে আসবে বাংলাদেশ। দলের রেটিং পয়েন্ট ২৩১। প্রতিপক্ষের সঙ্গে ব্যবধান ১ পয়েন্টের। সিরিজ সমতায় শেষ হলে দুই দলের পয়েন্ট এবং র্যাঙ্কিং অপরিবর্তিত থাকবে। আফগানদের ধবলধোলাই করতে পারলে ২৩৩ পয়েন্ট নিয়ে আটে উঠে আসবে বাংলাদেশ দল। ৫ পয়েন্ট পিছিয়ে দশে নেমে যেতে হবে সফরকারীদের। সিরিজের ফল এর বিপরীত হলে বরং মাহমুদউল্লাহরা নেমে যাবেন দশে।
২২৮ পয়েন্ট হবে দলের। ২৩৭ পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তান উঠবে আরও একধাপ ওপরে। এবারের সিরিজটা সাকিবদের কাছে তাই রশিদ-নবীদের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর। কিন্তু কাজটা কঠিন। কতটা কঠিন, বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল সেটি আজকের পত্রিকার কাছে বিশ্লেষণ করলেন এভাবে, ‘ওয়ানডে সিরিজ আমরা ভাগ্যক্রমে জিতেছি। দুটো দুর্দান্ত ইনিংসের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে (জেতা) এটা খুব কঠিন। দল হিসেবে খেলতে হবে। দুই-একজন খেললে হবে না। কারণ, এই সংস্করণে আফগানিস্তান আমাদের চেয়ে এগিয়ে।’
আশরাফুলের কথাটা অমূলক নয়। ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণে বেশির ভাগ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ২০১৮ সালের জুনে দেরাদুনে তিন ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার দুঃস্মৃতিও আছে। শুধু ঘরের মাঠেই নয়, আগামীকাল লড়াইয়ের মঞ্চ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেও জয়ের উদাহরণ আছে তাদের। তবে প্রথম ও শেষবারের দেখায় জিতেছে বাংলাদেশ। হারগুলো মাঝের সময়ের।
মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকার নেতিবাচক দিকটা তো আছেই, এই সংস্করণে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সেও আফগানরা এগিয়ে। গত বছরের শেষ দিকে বিশ্বকাপে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সুপার টুয়েলভের টিকিট কেটেছেন মাহমুদউল্লাহরা। এই পর্বে পাঁচ ম্যাচের সব কটিতে হেরেছেন তাঁরা। আরব আমিরাত থেকে ফিরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের তিক্ততা। বিপরীতে বিশ্বকাপে মূল পর্বের দুই ম্যাচ জিতেছেন রশিদ-নবীরা। এর বড় প্রভাব হতে পারে দলটির তারকা ক্রিকেটারদের বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজির অভিজ্ঞতা।
যে কারণে এবারের সিরিজটাকে কঠিন পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ‘ওদের বিপক্ষে জেতা কঠিন। আমাদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হবে। কিছুদিন আগেই বিপিএল খেললাম, দলের সবাই একরকম টি-টোয়েন্টি মেজাজে আছে। মানসিকভাবে আমরা কিছুটা এগিয়ে থাকব। আমার কাছে মনে হয়, সিরিজটা ফিফটি-ফিফটি।’
সিরিজ জিততে বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ সরওয়ার ইমরানের টোটকা হচ্ছে, ‘ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আফগান স্পিনাররা ভালো করলেও প্রথম দুই ম্যাচে তেমন ভালো করতে পারেনি। মিরপুরের উইকেটে যদি টার্ন না থাকে, ব্যাটিংবান্ধব হয়, তাহলে আমাদের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আমাদের ব্যাটিং শক্তি ভালো।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪