অরুণ কর্মকার
ক্যালেন্ডারের পাতায় কোনো কোনো দিন বিশেষ বিশেষ কারণে লাল-নীল-সবুজ রঙে চিহ্নিত হয়ে থাকে। সেই সব দিনের কথা মানুষ দীর্ঘকাল মনেও রাখে। ২৮ অক্টোবরও কি তেমন একটি দিন হতে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের সঠিক জবাব এখনো আমাদের জানা নেই। ওই দিন সকালে যখন এই নিবন্ধ ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হবে, তখনো দিনটির মাহাত্ম্য পুরোপুরি নির্ধারিত হবে না। জনমনের ‘কী হবে কী হবে’ ভাবটা এবং সেই ভাব নিয়ে আলোচনা তখনো চলতে থাকবে। কৌতূহল তখন তুরীয় মার্গে পৌঁছাবে।
সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে যে ২৮ অক্টোবরের কড়চা এই নিবন্ধে সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়। তবে ওই দিন কী হতে পারে, কিংবা কী কী হতে পারে, তা এখন অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে। সেই সম্ভাব্য বিকল্পগুলো আমরা খতিয়ে দেখতে পারি। তার মধ্য দিয়ে এমনকি প্রকৃতের সন্ধানও পাওয়া যেতে পারে। অতএব আমরা সেই পথেই হাঁটব।
বিকল্প-১: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও বিএনপি সেখানেই সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অবিচল থাকতে পারে। দলের গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ নেতাদের অন্যতম গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেনও সে কথা। সে ক্ষেত্রে পুলিশ সমাবেশে বাধা দেবে। ফলে বিএনপির সমবেতদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ অনিবার্য। ওদিকে জামায়াতও ডিএমপির অনুমতির তোয়াক্কা না করে শাপলা চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করতে পারে। ফলে ওই চত্বরকে কেন্দ্র করেও আলাদা একটি সংঘর্ষস্থল তৈরি হবে। এসব সংঘর্ষ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের সমাবেশে সমবেতদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। সুতরাং, বড় দুই দলের নির্ধারিত দুটি সমাবেশের একটিও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না।
নগরীর অন্যান্য স্থানে বিএনপির সমমনা দলগুলোও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বে। সব মিলে আহত ও গ্রেপ্তার হবেন প্রচুর। এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কিছু উসকানিদাতার অংশগ্রহণ থাকে। তাঁদের উদ্দেশ্য থাকে পরিস্থিতি ঘোলাটে ও জটিলতর করা। তাঁদের উসকানিতে প্রাণহানিরও আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই অবস্থার মধ্যেই বিএনপি এক দফার অংশ হিসেবে সরকারপতনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তাদের সমমনা দলগুলোও একই কর্মসূচি ঘোষণা করবে। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষই ছত্রভঙ্গ হয়ে নগরীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। কোনো কোনো এলাকায় তাদের মধ্যে সংঘাতও হতে পারে। ফলে পুলিশি ব্যবস্থাও নগরীর সর্বত্র সম্প্রসারিত হবে। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলোকে আর মাঠে নামতে না দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে সুষ্ঠুভাবে আর কোনো কর্মসূচি আয়োজন ও পালনের পরিবেশ না-ও থাকতে পারে। অন্যদিকে সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে এবং চলতে পারে।
বিকল্প-২: ডিএমপির নির্ধারণ করে দেওয়া স্থানে বিএনপি মহাসমাবেশ করতে পারে। ব্যাপক জনসমাগমের কারণে যদি সেই স্থানে জায়গার সংকুলান না হয় এবং সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য সমবেতরা যদি আশপাশের রাস্তাঘাটে অবস্থান করতে বাধ্য হয়, সে ক্ষেত্রেও পুলিশের কিছু বলার থাকবে না। বলতে আসবে বলেও মনে হয় না। সেই সমাবেশ থেকে বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। সমমনা দলগুলোও ভিন্ন ভিন্ন সমাবেশস্থল থেকে যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। সেই কর্মসূচি হতে পারে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও, অসহযোগ এবং আরও কিছু।
এই বিকল্পে মহাসমাবেশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে। তার পরের চ্যালেঞ্জ হলো ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন। সে জন্য আবার আন্দোলনকারীদের মাঠে নামতে হবে। সর্বোপরি ওই কর্মসূচির সাফল্য নির্ভর করবে জনসমর্থনের ওপর। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো মনে করে, সরকারের জনসমর্থন শূন্যের ঘরে। সুতরাং তারা ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হবে বলেই ধারণা করা স্বাভাবিক। তবে ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় সরকার ও সরকারি দলের সঙ্গে তাদের সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে, যা তারা ব্যাপক জনসমর্থনের জোরে উপেক্ষা করতে সক্ষম হবে বলেও ধারণা করা যায়।
বিকল্প-৩: সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় ডিএমপি আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি কোনো দলকেই সমাবেশের অনুমতি না-ও দিতে পারে। দল দুটি তা মেনে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজ নিজ দলের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে বিএনপি যদি পূর্বোক্ত হরতাল-অবরোধ প্রভৃতি কর্মসূচি ঘোষণা করে, তাহলে তা বাস্তবায়নের জন্য তাদের বিকল্প-২-এর অনুরূপ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।
আর যদি ডিএমপির সিদ্ধান্ত না মেনে বিএনপি নয়াপল্টনে কিংবা অন্য কোথাও অননুমোদিত সমাবেশের আয়োজন
করে, তাহলে তাঁদের বিকল্প-১-এর অনুরূপ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাদের কথাবার্তায় অবশ্য যেকোনো মূল্যে মহাসমাবেশ-সমাবেশ সফল করার প্রত্যয় ব্যক্ত হয়ে এসেছে। এর মধ্যে ঝোপ বুঝে কোপ মারতে ওস্তাদ জামায়াতে ইসলামীও শাপলা চত্বরে সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে কৌশলে জানান দিয়ে রেখেছে যে তারা বিএনপির আশপাশেই আছে এবং থাকবে। ফলে বিএনপি ডিএমপির অনুমতি ছাড়াই নয়াপল্টনে সমাবেশের আয়োজন করেও ফেলতে পারে।
বিকল্প-৪: আমাদের যে বিদেশি বন্ধুরা আগামী নির্বাচন নিয়ে মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছে, তাদের একটি চাওয়া হচ্ছে—বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সমাবেশ-মহাসমাবেশ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরামর্শ দিতে পারে। বিএনপি তাদের পরামর্শমতো ২৮ তারিখেই (মহাসমাবেশ হোক বা না হোক) নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিতে পারে। যদি তা-ই হয়, তাহলে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে যাবে সরকার ও সরকারি দল। সে হবে বড় কঠিন চ্যালেঞ্জ। বিএনপির অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো বড় চ্যালেঞ্জ বর্তমান সরকারের জন্য আর কিছু নেই। বিএনপি তখন ফুরফুরে মেজাজে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও তৎপরতা শুরু করতে পারে। অবশ্য তারা যে এ ব্যাপারে একেবারে কিছুই করেনি বা করছে না, তেমন ভাবারও কোনো কারণ নেই।
বিকল্প-৫: উপরিউক্ত কোনো বিকল্পই কাজে লাগল না। বিএনপি নির্বাচনে গেল না, মহাসমাবেশ হলো বা না হলো, আন্দোলন করে সরকারকে হটাতে পারল না। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনের আয়োজন হলো। বিএনপির পক্ষে সেই নির্বাচন ঠেকানো সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে তাদের চ্যালেঞ্জ হলো দল টিকিয়ে রাখা। রাজনীতিতে টিকে থাকা।
আমরা জানি না, কে কোন পথে হাঁটবে। অবশ্য আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সবাই সব জেনে যাবেন। আর বেশি অপেক্ষার অবকাশ নেই।
ক্যালেন্ডারের পাতায় কোনো কোনো দিন বিশেষ বিশেষ কারণে লাল-নীল-সবুজ রঙে চিহ্নিত হয়ে থাকে। সেই সব দিনের কথা মানুষ দীর্ঘকাল মনেও রাখে। ২৮ অক্টোবরও কি তেমন একটি দিন হতে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের সঠিক জবাব এখনো আমাদের জানা নেই। ওই দিন সকালে যখন এই নিবন্ধ ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হবে, তখনো দিনটির মাহাত্ম্য পুরোপুরি নির্ধারিত হবে না। জনমনের ‘কী হবে কী হবে’ ভাবটা এবং সেই ভাব নিয়ে আলোচনা তখনো চলতে থাকবে। কৌতূহল তখন তুরীয় মার্গে পৌঁছাবে।
সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে যে ২৮ অক্টোবরের কড়চা এই নিবন্ধে সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়। তবে ওই দিন কী হতে পারে, কিংবা কী কী হতে পারে, তা এখন অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে। সেই সম্ভাব্য বিকল্পগুলো আমরা খতিয়ে দেখতে পারি। তার মধ্য দিয়ে এমনকি প্রকৃতের সন্ধানও পাওয়া যেতে পারে। অতএব আমরা সেই পথেই হাঁটব।
বিকল্প-১: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও বিএনপি সেখানেই সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অবিচল থাকতে পারে। দলের গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ নেতাদের অন্যতম গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেনও সে কথা। সে ক্ষেত্রে পুলিশ সমাবেশে বাধা দেবে। ফলে বিএনপির সমবেতদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ অনিবার্য। ওদিকে জামায়াতও ডিএমপির অনুমতির তোয়াক্কা না করে শাপলা চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করতে পারে। ফলে ওই চত্বরকে কেন্দ্র করেও আলাদা একটি সংঘর্ষস্থল তৈরি হবে। এসব সংঘর্ষ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের সমাবেশে সমবেতদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। সুতরাং, বড় দুই দলের নির্ধারিত দুটি সমাবেশের একটিও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না।
নগরীর অন্যান্য স্থানে বিএনপির সমমনা দলগুলোও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বে। সব মিলে আহত ও গ্রেপ্তার হবেন প্রচুর। এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কিছু উসকানিদাতার অংশগ্রহণ থাকে। তাঁদের উদ্দেশ্য থাকে পরিস্থিতি ঘোলাটে ও জটিলতর করা। তাঁদের উসকানিতে প্রাণহানিরও আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই অবস্থার মধ্যেই বিএনপি এক দফার অংশ হিসেবে সরকারপতনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তাদের সমমনা দলগুলোও একই কর্মসূচি ঘোষণা করবে। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষই ছত্রভঙ্গ হয়ে নগরীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। কোনো কোনো এলাকায় তাদের মধ্যে সংঘাতও হতে পারে। ফলে পুলিশি ব্যবস্থাও নগরীর সর্বত্র সম্প্রসারিত হবে। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলোকে আর মাঠে নামতে না দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে সুষ্ঠুভাবে আর কোনো কর্মসূচি আয়োজন ও পালনের পরিবেশ না-ও থাকতে পারে। অন্যদিকে সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে এবং চলতে পারে।
বিকল্প-২: ডিএমপির নির্ধারণ করে দেওয়া স্থানে বিএনপি মহাসমাবেশ করতে পারে। ব্যাপক জনসমাগমের কারণে যদি সেই স্থানে জায়গার সংকুলান না হয় এবং সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য সমবেতরা যদি আশপাশের রাস্তাঘাটে অবস্থান করতে বাধ্য হয়, সে ক্ষেত্রেও পুলিশের কিছু বলার থাকবে না। বলতে আসবে বলেও মনে হয় না। সেই সমাবেশ থেকে বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। সমমনা দলগুলোও ভিন্ন ভিন্ন সমাবেশস্থল থেকে যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। সেই কর্মসূচি হতে পারে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও, অসহযোগ এবং আরও কিছু।
এই বিকল্পে মহাসমাবেশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে। তার পরের চ্যালেঞ্জ হলো ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন। সে জন্য আবার আন্দোলনকারীদের মাঠে নামতে হবে। সর্বোপরি ওই কর্মসূচির সাফল্য নির্ভর করবে জনসমর্থনের ওপর। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো মনে করে, সরকারের জনসমর্থন শূন্যের ঘরে। সুতরাং তারা ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হবে বলেই ধারণা করা স্বাভাবিক। তবে ওই কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় সরকার ও সরকারি দলের সঙ্গে তাদের সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে, যা তারা ব্যাপক জনসমর্থনের জোরে উপেক্ষা করতে সক্ষম হবে বলেও ধারণা করা যায়।
বিকল্প-৩: সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় ডিএমপি আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি কোনো দলকেই সমাবেশের অনুমতি না-ও দিতে পারে। দল দুটি তা মেনে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজ নিজ দলের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে বিএনপি যদি পূর্বোক্ত হরতাল-অবরোধ প্রভৃতি কর্মসূচি ঘোষণা করে, তাহলে তা বাস্তবায়নের জন্য তাদের বিকল্প-২-এর অনুরূপ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।
আর যদি ডিএমপির সিদ্ধান্ত না মেনে বিএনপি নয়াপল্টনে কিংবা অন্য কোথাও অননুমোদিত সমাবেশের আয়োজন
করে, তাহলে তাঁদের বিকল্প-১-এর অনুরূপ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাদের কথাবার্তায় অবশ্য যেকোনো মূল্যে মহাসমাবেশ-সমাবেশ সফল করার প্রত্যয় ব্যক্ত হয়ে এসেছে। এর মধ্যে ঝোপ বুঝে কোপ মারতে ওস্তাদ জামায়াতে ইসলামীও শাপলা চত্বরে সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে কৌশলে জানান দিয়ে রেখেছে যে তারা বিএনপির আশপাশেই আছে এবং থাকবে। ফলে বিএনপি ডিএমপির অনুমতি ছাড়াই নয়াপল্টনে সমাবেশের আয়োজন করেও ফেলতে পারে।
বিকল্প-৪: আমাদের যে বিদেশি বন্ধুরা আগামী নির্বাচন নিয়ে মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছে, তাদের একটি চাওয়া হচ্ছে—বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সমাবেশ-মহাসমাবেশ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরামর্শ দিতে পারে। বিএনপি তাদের পরামর্শমতো ২৮ তারিখেই (মহাসমাবেশ হোক বা না হোক) নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিতে পারে। যদি তা-ই হয়, তাহলে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে যাবে সরকার ও সরকারি দল। সে হবে বড় কঠিন চ্যালেঞ্জ। বিএনপির অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো বড় চ্যালেঞ্জ বর্তমান সরকারের জন্য আর কিছু নেই। বিএনপি তখন ফুরফুরে মেজাজে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও তৎপরতা শুরু করতে পারে। অবশ্য তারা যে এ ব্যাপারে একেবারে কিছুই করেনি বা করছে না, তেমন ভাবারও কোনো কারণ নেই।
বিকল্প-৫: উপরিউক্ত কোনো বিকল্পই কাজে লাগল না। বিএনপি নির্বাচনে গেল না, মহাসমাবেশ হলো বা না হলো, আন্দোলন করে সরকারকে হটাতে পারল না। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনের আয়োজন হলো। বিএনপির পক্ষে সেই নির্বাচন ঠেকানো সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে তাদের চ্যালেঞ্জ হলো দল টিকিয়ে রাখা। রাজনীতিতে টিকে থাকা।
আমরা জানি না, কে কোন পথে হাঁটবে। অবশ্য আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সবাই সব জেনে যাবেন। আর বেশি অপেক্ষার অবকাশ নেই।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে