সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)
রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি কাগজ-কলমে ৫০ শয্যায় উন্নতি হয়েছে আট বছর আগে। তবে এর কার্যক্ষমতা এখনো ১০ শয্যায় রয়ে গেছে। উপজেলার ৪০ হাজার মানুষের চিকিৎসার প্রধান ভরসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত।
১৯৭৮ সালের দিকে জুরাছড়ি গড়ে ওঠে ১০ শয্যার আধা পাকা টিনশেড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০১২ সালে একে ৫০ শয্যায় উন্নতি করা হয়। এ জন্য ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে এখানে অবকাঠামো ভবন নির্মাণের কথা ছিল ফিজিক্যাল ফ্যাসিলিটিজ ডেভেলপমেন্টের। কিন্তু তা আজও সম্পন্ন হয়নি।
এদিকে ২০০১ সালে ভূমিকম্পে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আবাসিক ভবনে বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়। এরপর সামান্য সংস্কার করেই প্রতিবছর রঙের প্রলেপ দেওয়ায় ঝুঁকি আরও বেড়েছে। এ ছাড়া টিনগুলো জং ধরেছে। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদের আবাসিক সু-ব্যবস্থা নেই।
কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চাকমা বলেন, ছোট্ট একটি রুমে দু-তিন জন করে থাকতে হয়। রুমের চারপাশের দেয়াল ভাঙা, বৃষ্টি হলে টিনে ছিদ্র দিয়ে পানি পরে।
আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. তোফিকুল আলম বলেন, ‘একদিন ঘুম ঘুম চোখে বারান্দায় কাপড় আনতে গিয়ে দরজার দেয়ালে ফাটলে দেখি সাপ।’
এদিকে অনেক দক্ষ ডাক্তার জরাজীর্ণ ভবন দেখে প্রশিক্ষণের নামে প্রেষণে চলে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১টি ডাক্তারের পদের মধ্যে কাগজে-কলমে ৭ জন নিযুক্ত দেখানো হলেও কর্মস্থলে রয়েছে ৪ জন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডাক্তার নূর জাহান যোগদানের পর থেকে কোনো খোঁজ খবর নেই।
দীর্ঘ আড়াই বছরের বেশি অনুপস্থিতি থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। ডাক্তার রেপেতা ইয়াসমিন আছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। ডাক্তার ত্রিতন চাকমা ও ডাক্তার জিতেন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যা প্রেষণে রাঙামাটি সরকারি হাসপাতালে আছেন।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জুড়ে আছে বিশুদ্ধ পানি সংকট। শিশু ওয়ার্ডের দরজাটি ভাঙা, ইমার্জেন্সি ডিউটি রুম, ওয়ার্ড শাখার মেশিন নেই। অপারেশন থিয়েটারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। একটি ‘জলসা’ অ্যাম্বুলেন্স ছিল, তবে দীর্ঘ বছর ধরে কোনো হুদিশ নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনন্যা চাকমা বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আবাসিক ভবনগুলো অরক্ষিত। দিন দিন ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে পড়ছে। তার মধ্যেও কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।’ প্রেষণে নিযুক্ত ডাক্তারদের প্রেষণ বাতিল করে কর্মস্থলে ফেরত ও শূন্য পদে ডাক্তার পদায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান তিনি।
রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, জুরাছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির অবকাঠামো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ চলমান প্যাকেজ প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি কাগজ-কলমে ৫০ শয্যায় উন্নতি হয়েছে আট বছর আগে। তবে এর কার্যক্ষমতা এখনো ১০ শয্যায় রয়ে গেছে। উপজেলার ৪০ হাজার মানুষের চিকিৎসার প্রধান ভরসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত।
১৯৭৮ সালের দিকে জুরাছড়ি গড়ে ওঠে ১০ শয্যার আধা পাকা টিনশেড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০১২ সালে একে ৫০ শয্যায় উন্নতি করা হয়। এ জন্য ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে এখানে অবকাঠামো ভবন নির্মাণের কথা ছিল ফিজিক্যাল ফ্যাসিলিটিজ ডেভেলপমেন্টের। কিন্তু তা আজও সম্পন্ন হয়নি।
এদিকে ২০০১ সালে ভূমিকম্পে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আবাসিক ভবনে বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়। এরপর সামান্য সংস্কার করেই প্রতিবছর রঙের প্রলেপ দেওয়ায় ঝুঁকি আরও বেড়েছে। এ ছাড়া টিনগুলো জং ধরেছে। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদের আবাসিক সু-ব্যবস্থা নেই।
কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চাকমা বলেন, ছোট্ট একটি রুমে দু-তিন জন করে থাকতে হয়। রুমের চারপাশের দেয়াল ভাঙা, বৃষ্টি হলে টিনে ছিদ্র দিয়ে পানি পরে।
আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. তোফিকুল আলম বলেন, ‘একদিন ঘুম ঘুম চোখে বারান্দায় কাপড় আনতে গিয়ে দরজার দেয়ালে ফাটলে দেখি সাপ।’
এদিকে অনেক দক্ষ ডাক্তার জরাজীর্ণ ভবন দেখে প্রশিক্ষণের নামে প্রেষণে চলে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১টি ডাক্তারের পদের মধ্যে কাগজে-কলমে ৭ জন নিযুক্ত দেখানো হলেও কর্মস্থলে রয়েছে ৪ জন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডাক্তার নূর জাহান যোগদানের পর থেকে কোনো খোঁজ খবর নেই।
দীর্ঘ আড়াই বছরের বেশি অনুপস্থিতি থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। ডাক্তার রেপেতা ইয়াসমিন আছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। ডাক্তার ত্রিতন চাকমা ও ডাক্তার জিতেন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যা প্রেষণে রাঙামাটি সরকারি হাসপাতালে আছেন।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জুড়ে আছে বিশুদ্ধ পানি সংকট। শিশু ওয়ার্ডের দরজাটি ভাঙা, ইমার্জেন্সি ডিউটি রুম, ওয়ার্ড শাখার মেশিন নেই। অপারেশন থিয়েটারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। একটি ‘জলসা’ অ্যাম্বুলেন্স ছিল, তবে দীর্ঘ বছর ধরে কোনো হুদিশ নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনন্যা চাকমা বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আবাসিক ভবনগুলো অরক্ষিত। দিন দিন ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে পড়ছে। তার মধ্যেও কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।’ প্রেষণে নিযুক্ত ডাক্তারদের প্রেষণ বাতিল করে কর্মস্থলে ফেরত ও শূন্য পদে ডাক্তার পদায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান তিনি।
রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, জুরাছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির অবকাঠামো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ চলমান প্যাকেজ প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে