সেলিম সুলতান সাগর, চিতলমারী (বাগেরহাট)
অন্ধকারে আলো জ্বালাতে চায় ওঁরা। ওরা সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়াতে চায়। চায় পরিবারে অবহেলিত প্রতিবন্ধী শিশুটির প্রতি অবহেলা কমাতে। তাই তো প্রতিদিন বাড়ি থেকে গাড়িতে বিদ্যালয়ে এনে মায়ের মমতায় দেওয়া হয় পাঠদান। আর এ জন্য বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে গড়ে উঠেছে আড়ুয়াবর্ণী চরপাড়া শেখ রাসেল স্মৃতি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। যে বিদ্যালয়ে নিয়মিত শিক্ষা নিচ্ছে ৩৩৮ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. হায়াত আলী হাওলাদার বলেন, এলাকার অবহেলিত প্রতিবন্ধী শিশুদের কথা ভেবে এবং তাঁদের প্রতি পরিবারের ব্যবহার দেখে এসব শিশুদের জন্য কিছু করার চিন্তা করেন। তাই এলাকার কয়েকজন শিক্ষিত যুবকের সঙ্গে আলোচনা করে ২০০৮ সালে উপজেলার আড়ুয়াবর্ণী চরপাড়া গ্রামে ‘আড়ুয়াবর্ণী চরপাড়া শেখ রাসেল স্মৃতি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়’ করেন। এ জন্য নিজের ২১ শতক জমি বিদ্যালয়ের নামে দান করেন। শুরু থেকেই নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে স্কুলটি চলছে।
মো. হায়াত আলী হাওলাদার জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৩৩৮ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আছে। এর মধ্যে শিশু শ্রেণিতে ৮৯ জন, প্রথম শ্রেণিতে ৮৬ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৪৬ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৫৪ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৩৯ জন ও পঞ্চম শ্রেণিতে ২৪ জন রয়েছে। শিক্ষক রয়েছেন ১০ জন। এ ছাড়া ৭ জন আয়া, ২ জন অফিস সহকারী ও অফিস সহায়ক এবং ৬ জন ইজিবাইক ও ভ্যানচালক রয়েছেন।
তিনটি আধপাকা টিন শেড ঘরের আটটি কক্ষে এসব শিশুদের পাঠদান চলে। যানবাহনের মধ্যে রয়েছে তিনটি ইজিবাইক ও দুটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান। এই পরিবহনে করে প্রতিদিন উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রাম থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে আনা হয়। আর প্রতিদিন দুপুরে শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের ২৫ জন কর্মী ১৪ বছর ধরে বিনা বেতনে কাজ করছেন।
বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম আক্তার ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সাব্বির শেখ বলেন, আয়ারা তাদের বাড়ি থেকে গাড়িতে করে স্কুলে নিয়ে আসেন। শিক্ষকেরা তাদের যত্নের সঙ্গে পড়াশোনা শেখান। তাঁরা বিদ্যালয়ে এসে অনেক কিছু শিখতে পেরেছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নার্গিস পারভিন, বাবুল বিশ্বাস ও মুক্তা আক্তার বলেন, তাঁরা এই বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের শিক্ষক। তাঁরা এই বাচ্চাদের নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন। শিশুদের অনেক পরিবর্তন এসেছে। শিশুদের জন্য তাঁরা অনেক শ্রম দিয়েছেন। তাঁরা চান, বিদ্যালয়টি যেন বন্ধ না হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এমাদুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে আমরা বিনা বেতনে শিক্ষা দান করে যাচ্ছি। এখন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা একটা পর্যায়ে এসেছে। তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হলে এখন স্কুলটি এমপিওভুক্ত হওয়া দরকার।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, তাঁরা আড়ুয়াবর্ণী চরপাড়া শেখ রাসেল স্মৃতি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণির ৩৩৮ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শিক্ষা নিচ্ছে। শিশুরা তাঁদের গান, নাচ ও গজল পরিবেশন করে শুনিয়েছে। বিষয়টি তাঁদের মুগ্ধ করেছে। তাঁরাও চান, বিদ্যালয়টি এগিয়ে যাক।
অন্ধকারে আলো জ্বালাতে চায় ওঁরা। ওরা সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়াতে চায়। চায় পরিবারে অবহেলিত প্রতিবন্ধী শিশুটির প্রতি অবহেলা কমাতে। তাই তো প্রতিদিন বাড়ি থেকে গাড়িতে বিদ্যালয়ে এনে মায়ের মমতায় দেওয়া হয় পাঠদান। আর এ জন্য বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে গড়ে উঠেছে আড়ুয়াবর্ণী চরপাড়া শেখ রাসেল স্মৃতি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। যে বিদ্যালয়ে নিয়মিত শিক্ষা নিচ্ছে ৩৩৮ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. হায়াত আলী হাওলাদার বলেন, এলাকার অবহেলিত প্রতিবন্ধী শিশুদের কথা ভেবে এবং তাঁদের প্রতি পরিবারের ব্যবহার দেখে এসব শিশুদের জন্য কিছু করার চিন্তা করেন। তাই এলাকার কয়েকজন শিক্ষিত যুবকের সঙ্গে আলোচনা করে ২০০৮ সালে উপজেলার আড়ুয়াবর্ণী চরপাড়া গ্রামে ‘আড়ুয়াবর্ণী চরপাড়া শেখ রাসেল স্মৃতি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়’ করেন। এ জন্য নিজের ২১ শতক জমি বিদ্যালয়ের নামে দান করেন। শুরু থেকেই নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে স্কুলটি চলছে।
মো. হায়াত আলী হাওলাদার জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৩৩৮ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আছে। এর মধ্যে শিশু শ্রেণিতে ৮৯ জন, প্রথম শ্রেণিতে ৮৬ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৪৬ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৫৪ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৩৯ জন ও পঞ্চম শ্রেণিতে ২৪ জন রয়েছে। শিক্ষক রয়েছেন ১০ জন। এ ছাড়া ৭ জন আয়া, ২ জন অফিস সহকারী ও অফিস সহায়ক এবং ৬ জন ইজিবাইক ও ভ্যানচালক রয়েছেন।
তিনটি আধপাকা টিন শেড ঘরের আটটি কক্ষে এসব শিশুদের পাঠদান চলে। যানবাহনের মধ্যে রয়েছে তিনটি ইজিবাইক ও দুটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান। এই পরিবহনে করে প্রতিদিন উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রাম থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে আনা হয়। আর প্রতিদিন দুপুরে শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের ২৫ জন কর্মী ১৪ বছর ধরে বিনা বেতনে কাজ করছেন।
বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম আক্তার ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সাব্বির শেখ বলেন, আয়ারা তাদের বাড়ি থেকে গাড়িতে করে স্কুলে নিয়ে আসেন। শিক্ষকেরা তাদের যত্নের সঙ্গে পড়াশোনা শেখান। তাঁরা বিদ্যালয়ে এসে অনেক কিছু শিখতে পেরেছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নার্গিস পারভিন, বাবুল বিশ্বাস ও মুক্তা আক্তার বলেন, তাঁরা এই বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের শিক্ষক। তাঁরা এই বাচ্চাদের নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন। শিশুদের অনেক পরিবর্তন এসেছে। শিশুদের জন্য তাঁরা অনেক শ্রম দিয়েছেন। তাঁরা চান, বিদ্যালয়টি যেন বন্ধ না হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এমাদুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে আমরা বিনা বেতনে শিক্ষা দান করে যাচ্ছি। এখন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা একটা পর্যায়ে এসেছে। তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হলে এখন স্কুলটি এমপিওভুক্ত হওয়া দরকার।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, তাঁরা আড়ুয়াবর্ণী চরপাড়া শেখ রাসেল স্মৃতি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণির ৩৩৮ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শিক্ষা নিচ্ছে। শিশুরা তাঁদের গান, নাচ ও গজল পরিবেশন করে শুনিয়েছে। বিষয়টি তাঁদের মুগ্ধ করেছে। তাঁরাও চান, বিদ্যালয়টি এগিয়ে যাক।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে