কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার তিন ইউনিয়নে সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারিভাবে স্থাপন করা ফিল্টার নষ্ট ও লবণাক্ততা দূরীকরণের প্ল্যান্টগুলোও প্রায় অকেজো। ফলে তিন ইউনিয়নে সংকট দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির। বাধ্য হয়ে পুকুর, খাল, ডোবা ও বৃষ্টির পানি পান করছেন ৬৫ হাজার মানুষ। এতে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিস বলছে, নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
উপজেলার পাটিখালঘাটা, চেঁচরিরামপুর ও আমুয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের সুপের পানির জন্য পুকুর, খাল, ডোবার পানিই এখন ভরসা। ইউনিয়নের বাসিন্দারা রান্না, থালাবাসন ধোয়া, গোসলসহ সব কাজে ব্যবহার করছেন নোনা ও অনিরাপদ পানি দিয়ে।
জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি হওয়ায় এ উপজেলার তিন ইউনিয়নে নলকূপের পানি লবণাক্ত। তাই সরকারিভাবে পুকুরপাড়ে ১৭২টি ফিল্টার বা পিএসএফ স্থাপন করা হয়। কিন্তু সেই ফিল্টারগুলো অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে স্থাপন করা হয় ৪টি লবণাক্ততা দূরীকরণ প্ল্যান্ট। তা-ও নষ্টের পথে। তাই খাওয়া ও অন্য কাজে পানি ব্যবহারের জন্য একমাত্র ভরসা বৃষ্টি বা পুকুরের পানি। তবে শুষ্ক মৌসুমে দেখা দেয় সুপেয় পানির সংকট।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বরিশাল জোনাল ল্যাব একটি ইউনিয়নে পরীক্ষা চালিয়ে আড়াই থেকে তিন হাজার পিপিএম পর্যন্ত লবণাক্ততা শনাক্ত করে। যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এসব এলাকার মানুষ বৃষ্টির মৌসুমে বড় ট্যাংকে পানি ধরে রাখেন। তবে দুর্গম এলাকায় স্বল্প আয়ের মানুষ বছরের পর বছর ধরেই পুকুর ও ডোবার পানিতে ফিটকিরি অথবা ওষুধ দিয়ে পরিষ্কার করে পান করেন।
আমুয়া ইউনিয়নের ছোনাউটা গ্রামের বাসিন্দা হালিম হাওলাদার বলেন, ‘বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু অন্য সময় সব কাজে ডোবা ও খালের পানি ব্যবহার করতে হয়।’ পাটিখালঘাটা গ্রামের গৃহিণী মমতাজ বেগম বলেন, ‘জন্ম থেকেই পানির সমস্যায় ভুগছি। বৃষ্টির দিনে বৃষ্টির পানি পান করি ও রান্না-বান্নার কাজে ব্যবহার করি। বৃষ্টির পানি শেষ হলে পুকুরের নোনা পানি ব্যবহার করতে হয়। যাদের টাকা আছে তাঁরা ওষুধ দিয়ে পরিষ্কার করে পানি ব্যবহার ও পান করেন। যাদের সামর্থ্য নাই তাঁরা নোনা পানি দিয়েই রান্নাবান্নাসহ যাবতীয় কাজ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের দাবি, নিরাপদ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার ব্যবস্থা করেন দেন।’
পাটিখালঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান শিশির দাস বলেন, ‘পানি সরবরাহের জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে একটি স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। যা প্রথমে উপজেলা পর্যায়ে শুরু হবে। সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেওয়া হবে। পরে এটি ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু করা হবে। ইউনিয়ন থেকে গ্রামে পানি সরবরাহ করা হবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. জাহিদ হোসেন জানান, অনিরাপদ পানি পান ও ব্যবহার করায় পেটের পীড়া, আমাশয়, ডায়ারিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ আক্রান্ত হচ্ছে এই এলাকার মানুষ।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী এইচ এম সাইফুর রহমান বলেন, ‘তিন ইউনিয়নে অগভীর নলকূপ রয়েছে ৯৬টি, এর মধ্যে অকেজো রয়েছে ৮টি। আশির দশক থেকে এ পর্যন্ত সরকারিভাবে পুকুরে পানির ফিল্টার (পিএসএফ) স্থাপন করা হয় ১৭২টি। এগুলোর প্রায় সবই অকেজো। পরে লবণাক্ত দূরীকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয় ৪টি। তাও নষ্টের পথে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, ‘রুরাল পাইপলাইন নামে একটি প্রকল্প রয়েছে। সেই প্রকল্প পেতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।’
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার তিন ইউনিয়নে সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারিভাবে স্থাপন করা ফিল্টার নষ্ট ও লবণাক্ততা দূরীকরণের প্ল্যান্টগুলোও প্রায় অকেজো। ফলে তিন ইউনিয়নে সংকট দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির। বাধ্য হয়ে পুকুর, খাল, ডোবা ও বৃষ্টির পানি পান করছেন ৬৫ হাজার মানুষ। এতে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিস বলছে, নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
উপজেলার পাটিখালঘাটা, চেঁচরিরামপুর ও আমুয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের সুপের পানির জন্য পুকুর, খাল, ডোবার পানিই এখন ভরসা। ইউনিয়নের বাসিন্দারা রান্না, থালাবাসন ধোয়া, গোসলসহ সব কাজে ব্যবহার করছেন নোনা ও অনিরাপদ পানি দিয়ে।
জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি হওয়ায় এ উপজেলার তিন ইউনিয়নে নলকূপের পানি লবণাক্ত। তাই সরকারিভাবে পুকুরপাড়ে ১৭২টি ফিল্টার বা পিএসএফ স্থাপন করা হয়। কিন্তু সেই ফিল্টারগুলো অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে স্থাপন করা হয় ৪টি লবণাক্ততা দূরীকরণ প্ল্যান্ট। তা-ও নষ্টের পথে। তাই খাওয়া ও অন্য কাজে পানি ব্যবহারের জন্য একমাত্র ভরসা বৃষ্টি বা পুকুরের পানি। তবে শুষ্ক মৌসুমে দেখা দেয় সুপেয় পানির সংকট।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বরিশাল জোনাল ল্যাব একটি ইউনিয়নে পরীক্ষা চালিয়ে আড়াই থেকে তিন হাজার পিপিএম পর্যন্ত লবণাক্ততা শনাক্ত করে। যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এসব এলাকার মানুষ বৃষ্টির মৌসুমে বড় ট্যাংকে পানি ধরে রাখেন। তবে দুর্গম এলাকায় স্বল্প আয়ের মানুষ বছরের পর বছর ধরেই পুকুর ও ডোবার পানিতে ফিটকিরি অথবা ওষুধ দিয়ে পরিষ্কার করে পান করেন।
আমুয়া ইউনিয়নের ছোনাউটা গ্রামের বাসিন্দা হালিম হাওলাদার বলেন, ‘বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু অন্য সময় সব কাজে ডোবা ও খালের পানি ব্যবহার করতে হয়।’ পাটিখালঘাটা গ্রামের গৃহিণী মমতাজ বেগম বলেন, ‘জন্ম থেকেই পানির সমস্যায় ভুগছি। বৃষ্টির দিনে বৃষ্টির পানি পান করি ও রান্না-বান্নার কাজে ব্যবহার করি। বৃষ্টির পানি শেষ হলে পুকুরের নোনা পানি ব্যবহার করতে হয়। যাদের টাকা আছে তাঁরা ওষুধ দিয়ে পরিষ্কার করে পানি ব্যবহার ও পান করেন। যাদের সামর্থ্য নাই তাঁরা নোনা পানি দিয়েই রান্নাবান্নাসহ যাবতীয় কাজ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের দাবি, নিরাপদ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার ব্যবস্থা করেন দেন।’
পাটিখালঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান শিশির দাস বলেন, ‘পানি সরবরাহের জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে একটি স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। যা প্রথমে উপজেলা পর্যায়ে শুরু হবে। সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেওয়া হবে। পরে এটি ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু করা হবে। ইউনিয়ন থেকে গ্রামে পানি সরবরাহ করা হবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. জাহিদ হোসেন জানান, অনিরাপদ পানি পান ও ব্যবহার করায় পেটের পীড়া, আমাশয়, ডায়ারিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ আক্রান্ত হচ্ছে এই এলাকার মানুষ।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী এইচ এম সাইফুর রহমান বলেন, ‘তিন ইউনিয়নে অগভীর নলকূপ রয়েছে ৯৬টি, এর মধ্যে অকেজো রয়েছে ৮টি। আশির দশক থেকে এ পর্যন্ত সরকারিভাবে পুকুরে পানির ফিল্টার (পিএসএফ) স্থাপন করা হয় ১৭২টি। এগুলোর প্রায় সবই অকেজো। পরে লবণাক্ত দূরীকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয় ৪টি। তাও নষ্টের পথে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, ‘রুরাল পাইপলাইন নামে একটি প্রকল্প রয়েছে। সেই প্রকল্প পেতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে