সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি কৃষি। জেলার অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভরশীল হাওরের ওপর। সাতটি কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ও ১৩টি উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ। জেলার ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা সম্পূর্ণ হাওর এবং এ ছাড়া চার-পাঁচটি উপজেলা আংশিক হাওরবেষ্টিত। এ অঞ্চলের ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষিজীবী। তবে কৃষি নির্ভরশীল এ জেলায় অনাবাদি থাকে ১০ হাজার ১০০ হেক্টর জমি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষক পর্যায়ে সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে বছরের পর বছর বিশাল পরিমাণ সম্ভাবনাময় জমি অনাবাদি রয়ে গেছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনাবাদি জমিতে কিছুটা সেচ প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। হাওরের জমিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পলিমাটি জমে আবাদি জমি থেকে অনেকটাই উঁচু হয়ে যায়, যার কারণে স্থানীয় কৃষকেরা ধান আবাদের অযোগ্য বলে মনে করেন। এমনকি ধান ছাড়া অন্য ফসলে এখানকার কৃষকদের তেমন একটা ধারণা নেই। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মিষ্টিকুমড়া, তরমুজ, সরিষা ইত্যাদি ফসল অনায়াসে চাষ করা সম্ভব। আর পাটের জন্য খুবই উপযোগী হাওরের পলিসমৃদ্ধ পতিত জমিগুলো। এমনকি সরিষা, ধনিয়া চাষেও সফলতা পেতে পারেন কৃষকেরা। তাঁরা মনে করছেন, এসব জমি চাষযোগ্য করে আবাদ করলে কৃষকেরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি এটি জেলা তথা দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় স্থায়ী পতিত জমি রয়েছে ৯ হাজার ৭৩৯ হেক্টর। এর বাইরেও ১০ হাজার ১০০ হেক্টর আবাদযোগ্য সত্ত্বেও অনাবাদি জমি রয়েছে। অর্থসংকট ও কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেই তাই কৃষকেরা চাইলেও এসব অনাবাদি জমিতে আবাদ করতে পারছেন না। তবে ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করার লক্ষ্যে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
কৃষকেরা বলছেন, কৃষি উপকরণ, কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হলে অনাবাদি জমিগুলোতে চাষাবাদ করা সম্ভব হবে।
করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের খয়রত গ্রামের কৃষক আবু নাঈম বলেন, ‘ধান ছাড়া হাওরের মানুষ অন্যান্য ফসল আবাদে অনিচ্ছুক। ফসল মানেই ধান—এই চিন্তাভাবনা থেকে তাঁরা বেরিয়ে আসতে পারছেন না। অথচ অতি উর্বর পলিসমৃদ্ধ এই জমিগুলোতে অনেক ফসল ফলানো সম্ভব।
সম্পূর্ণ হাওর অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কৃষকদের ভিন্ন ফসলের চাষাবাদ সুবিধা ও লাভের হিসাবটা বাস্তবতায় দেখিয়ে দিতে পারলে হাওরের বুকে পতিত হাজার হাজার হেক্টর জমি দামি ফসলে ভরে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুস সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’ তিনি বলেন, ইতিমধ্যে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ১০০ জন কৃষককে ৫ প্রকারের সবজির বীজ বিনা মূল্যে দিয়েছি। তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে জেলার ১৭ হাজার ৮০০ কৃষককে বিনা মূল্যে সরিষার বীজ এবং সার দেওয়া হয়েছে।’
উপপরিচালক আব্দুস সাত্তার আরও বলেন, জেলায় বোরো আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫০ হাজার কৃষককে বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভুট্টা, কালাই ও সরিষা আবাদ বৃদ্ধি করতে ৩৬ হাজার ২৬৫ জন কৃষককে বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি কৃষি। জেলার অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভরশীল হাওরের ওপর। সাতটি কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ও ১৩টি উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ। জেলার ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা সম্পূর্ণ হাওর এবং এ ছাড়া চার-পাঁচটি উপজেলা আংশিক হাওরবেষ্টিত। এ অঞ্চলের ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষিজীবী। তবে কৃষি নির্ভরশীল এ জেলায় অনাবাদি থাকে ১০ হাজার ১০০ হেক্টর জমি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষক পর্যায়ে সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে বছরের পর বছর বিশাল পরিমাণ সম্ভাবনাময় জমি অনাবাদি রয়ে গেছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনাবাদি জমিতে কিছুটা সেচ প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। হাওরের জমিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পলিমাটি জমে আবাদি জমি থেকে অনেকটাই উঁচু হয়ে যায়, যার কারণে স্থানীয় কৃষকেরা ধান আবাদের অযোগ্য বলে মনে করেন। এমনকি ধান ছাড়া অন্য ফসলে এখানকার কৃষকদের তেমন একটা ধারণা নেই। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মিষ্টিকুমড়া, তরমুজ, সরিষা ইত্যাদি ফসল অনায়াসে চাষ করা সম্ভব। আর পাটের জন্য খুবই উপযোগী হাওরের পলিসমৃদ্ধ পতিত জমিগুলো। এমনকি সরিষা, ধনিয়া চাষেও সফলতা পেতে পারেন কৃষকেরা। তাঁরা মনে করছেন, এসব জমি চাষযোগ্য করে আবাদ করলে কৃষকেরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি এটি জেলা তথা দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় স্থায়ী পতিত জমি রয়েছে ৯ হাজার ৭৩৯ হেক্টর। এর বাইরেও ১০ হাজার ১০০ হেক্টর আবাদযোগ্য সত্ত্বেও অনাবাদি জমি রয়েছে। অর্থসংকট ও কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেই তাই কৃষকেরা চাইলেও এসব অনাবাদি জমিতে আবাদ করতে পারছেন না। তবে ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করার লক্ষ্যে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
কৃষকেরা বলছেন, কৃষি উপকরণ, কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হলে অনাবাদি জমিগুলোতে চাষাবাদ করা সম্ভব হবে।
করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের খয়রত গ্রামের কৃষক আবু নাঈম বলেন, ‘ধান ছাড়া হাওরের মানুষ অন্যান্য ফসল আবাদে অনিচ্ছুক। ফসল মানেই ধান—এই চিন্তাভাবনা থেকে তাঁরা বেরিয়ে আসতে পারছেন না। অথচ অতি উর্বর পলিসমৃদ্ধ এই জমিগুলোতে অনেক ফসল ফলানো সম্ভব।
সম্পূর্ণ হাওর অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কৃষকদের ভিন্ন ফসলের চাষাবাদ সুবিধা ও লাভের হিসাবটা বাস্তবতায় দেখিয়ে দিতে পারলে হাওরের বুকে পতিত হাজার হাজার হেক্টর জমি দামি ফসলে ভরে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুস সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’ তিনি বলেন, ইতিমধ্যে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ১০০ জন কৃষককে ৫ প্রকারের সবজির বীজ বিনা মূল্যে দিয়েছি। তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে জেলার ১৭ হাজার ৮০০ কৃষককে বিনা মূল্যে সরিষার বীজ এবং সার দেওয়া হয়েছে।’
উপপরিচালক আব্দুস সাত্তার আরও বলেন, জেলায় বোরো আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫০ হাজার কৃষককে বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভুট্টা, কালাই ও সরিষা আবাদ বৃদ্ধি করতে ৩৬ হাজার ২৬৫ জন কৃষককে বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪