মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে মৌলভীবাজারে সকাল থেকে শুরু হয় টানা বৃষ্টি। ফলে ঘর থেকে বের হওয়া খেটে খাওয়া লোকজন ও অফিসগামীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। পাশাপাশি শীতের আবহ থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে দ্বিগুণ। এর মধ্যে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও প্রতিদিনের তুলনায় ছিল কম।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গতকাল সোমবার মৌলভীবাজারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিন মৌলভীবাজার শহর ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বের হয়েছেন। কেউ অফিসে, কেউ ব্যবসায় এবং শিক্ষার্থীরা ছুটছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এর মধ্যে একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে গাড়ির সংকটে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
মৌলভীবাজার শহরের চৌমোহনা পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন মানুষ এসে কাজে নিয়ে যান আব্দুল্লাহ মিয়াকে। কিন্তু বৃষ্টি থাকায় কেউ নিতে আসেননি। তিনি বলেন, ‘কাজের ধরন অনুযায়ী প্রতিদিন ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকা রোজগার করি। কিন্তু আজ বৃষ্টির কারণে কাজ পাইনি। ৬ সদস্যের পরিবার কাজ না করলে খাব কী?’
রিকশাচালক সুনু আলী বলেন, ‘সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি, রাস্তায় মানুষ কম। দুপুর পর্যন্ত ৮০ টাকা রোজগার করেছি। এই টাকায় পরিবারের একদিনেরও খরচও হবে না। মালিককে কীভাবে টাকা দেব, তা নিয়ে চিন্তায় আছি। এদিকে বৃষ্টিতে ভিজে গেছি। প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগায় চালাতে না পেরে বাড়ির পথে যাচ্ছি।’
একইভাবে সমস্যায় পড়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। এইচএসসি পরীক্ষার্থী তমা আক্তার বলে, ‘শীতের সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় বেশ ঠান্ডা লাগছে। সকালে বের হয়েছি পরীক্ষা দিতে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে গাড়ির জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছি।’
এদিকে আমন ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকেরা। কিন্তু দুদিন ধরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানো যাচ্ছে না।
কথা হয় সদর উপজেলার কৃষক জামাল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছি। মাঠে এখনো ধান রয়েছে—সেগুলো কাটা হয়নি। এখনো বেশ কিছু ধান কেটে রাখা আছে মাড়াইয়ের অপেক্ষায়।’
রাজনগরের কৃষক বেবি বেগম বলেন, ‘কড়া রোদ না হলে ধান শুকানো যায় না। অনেক ধান বাড়ির আঙিনা ও বারান্দায় তেরপল দিয়ে ঢেকে রেখেছি। এগুলো দ্রুত না শুকালে পচে যাবে।’
ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন রবিশস্য ফলানো কৃষকেরাও। দুই দিনের একটানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন শাকসবজির খেতে পানি জমে গোড়া পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। কিছু সবজি, যেমন টমেটোসহ অনেক সবজির গোড়া নরম ফলে সহজেই পচে যায়। বৃষ্টি আরও বাড়লে এবং তা অব্যাহত থাকলে ফসলে ক্ষতি হবে বলে জানান বোরোচাষি আরিফ মিয়া।
এ ছাড়া মৌলভীবাজার জেলায় রয়েছে ৯২টি চা-বাগান। সব কটি চা-বাগানেই পাতা তোলা বন্ধ রয়েছে বৃষ্টির জন্য। একদিকে বৃষ্টি এবং শীতের প্রভাবে সমস্যায় পড়েছেন চা-শ্রমিকেরা।
চা-জনগোষ্ঠীর সদস্য সংবাদকর্মী মিন্টু দেশোয়ারার বলেন, ‘যদিও এখন অফপিক মৌসুম চলে, তারপর চা-শ্রমিকেরা প্রতিদিন কাজে যান, চা-পাতা তোলেন। কিন্তু বৃষ্টির ফলে চা-শ্রমিকেরা কাজে যেতে পারছেন না। কাজ না করলে তাঁরা পারিশ্রমিকও পাবেন না।’
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে মৌলভীবাজারে সকাল থেকে শুরু হয় টানা বৃষ্টি। ফলে ঘর থেকে বের হওয়া খেটে খাওয়া লোকজন ও অফিসগামীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। পাশাপাশি শীতের আবহ থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে দ্বিগুণ। এর মধ্যে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও প্রতিদিনের তুলনায় ছিল কম।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গতকাল সোমবার মৌলভীবাজারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিন মৌলভীবাজার শহর ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বের হয়েছেন। কেউ অফিসে, কেউ ব্যবসায় এবং শিক্ষার্থীরা ছুটছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এর মধ্যে একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে গাড়ির সংকটে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
মৌলভীবাজার শহরের চৌমোহনা পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন মানুষ এসে কাজে নিয়ে যান আব্দুল্লাহ মিয়াকে। কিন্তু বৃষ্টি থাকায় কেউ নিতে আসেননি। তিনি বলেন, ‘কাজের ধরন অনুযায়ী প্রতিদিন ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকা রোজগার করি। কিন্তু আজ বৃষ্টির কারণে কাজ পাইনি। ৬ সদস্যের পরিবার কাজ না করলে খাব কী?’
রিকশাচালক সুনু আলী বলেন, ‘সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি, রাস্তায় মানুষ কম। দুপুর পর্যন্ত ৮০ টাকা রোজগার করেছি। এই টাকায় পরিবারের একদিনেরও খরচও হবে না। মালিককে কীভাবে টাকা দেব, তা নিয়ে চিন্তায় আছি। এদিকে বৃষ্টিতে ভিজে গেছি। প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগায় চালাতে না পেরে বাড়ির পথে যাচ্ছি।’
একইভাবে সমস্যায় পড়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। এইচএসসি পরীক্ষার্থী তমা আক্তার বলে, ‘শীতের সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় বেশ ঠান্ডা লাগছে। সকালে বের হয়েছি পরীক্ষা দিতে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে গাড়ির জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছি।’
এদিকে আমন ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকেরা। কিন্তু দুদিন ধরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানো যাচ্ছে না।
কথা হয় সদর উপজেলার কৃষক জামাল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছি। মাঠে এখনো ধান রয়েছে—সেগুলো কাটা হয়নি। এখনো বেশ কিছু ধান কেটে রাখা আছে মাড়াইয়ের অপেক্ষায়।’
রাজনগরের কৃষক বেবি বেগম বলেন, ‘কড়া রোদ না হলে ধান শুকানো যায় না। অনেক ধান বাড়ির আঙিনা ও বারান্দায় তেরপল দিয়ে ঢেকে রেখেছি। এগুলো দ্রুত না শুকালে পচে যাবে।’
ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন রবিশস্য ফলানো কৃষকেরাও। দুই দিনের একটানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন শাকসবজির খেতে পানি জমে গোড়া পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। কিছু সবজি, যেমন টমেটোসহ অনেক সবজির গোড়া নরম ফলে সহজেই পচে যায়। বৃষ্টি আরও বাড়লে এবং তা অব্যাহত থাকলে ফসলে ক্ষতি হবে বলে জানান বোরোচাষি আরিফ মিয়া।
এ ছাড়া মৌলভীবাজার জেলায় রয়েছে ৯২টি চা-বাগান। সব কটি চা-বাগানেই পাতা তোলা বন্ধ রয়েছে বৃষ্টির জন্য। একদিকে বৃষ্টি এবং শীতের প্রভাবে সমস্যায় পড়েছেন চা-শ্রমিকেরা।
চা-জনগোষ্ঠীর সদস্য সংবাদকর্মী মিন্টু দেশোয়ারার বলেন, ‘যদিও এখন অফপিক মৌসুম চলে, তারপর চা-শ্রমিকেরা প্রতিদিন কাজে যান, চা-পাতা তোলেন। কিন্তু বৃষ্টির ফলে চা-শ্রমিকেরা কাজে যেতে পারছেন না। কাজ না করলে তাঁরা পারিশ্রমিকও পাবেন না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে