চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
দর্শনার্থীদের আনাগোনায় পেখম মেলে নাচছিল একটি ময়ূর। বাকি দুটি ময়ূরও পাখার বিশেষ শব্দ ছেড়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। তিনটি ময়ূরের এভাবেই পেখম মেলে নাচার দৃশ্য দেখা মিলেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। অতিমারি করোনার প্রায় দুই বছর পর সম্প্রতি পুরোদমে দর্শনার্থী আসতে শুরু করেছে এখানে।
সরেজমিন পার্কের ময়ূর বেষ্টনীতে দেখা যায়, নীল ও ধূসর মিশ্রণে ৮ থেকে ১০টি ময়ূর এদিক-ওদিক বেড়াচ্ছে। একটি পেখম মেলছে আর পালকের আড়ালে লুকিয়ে রাখছে। আরেকটি পেখম মেলে উড়েও যেতে যাইছে। একটি যখন পেখম তুলছে অন্য একটি তাকে অনুসরণ করে পেখম তুলতে থাকে। এ সময় পাখার ঝনঝন শব্দে দর্শনার্থীরা মুগ্ধ।
জানা গেছে, ময়ূর মূলত ফ্যাজিয়ানিডি প্রজাতির প্রাণী। এশিয়া অঞ্চলে দুই ধরনের ময়ূর রয়েছে। এদের রং নীল ও সবুজ। এরা সর্বভুক। চারা গাছ, বীজের খোসা, কীটপতঙ্গ, ফুলের পাপড়ি এবং ছোট ছোট সন্ধিপদ প্রাণী খায়। ময়ূর ৭ ফুট লম্বা পর্যন্ত হয়ে থাকে। পেখমের দৈর্ঘ্য তিন ফুট হয়।
পার্ক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৫ মার্চ প্রথম পাবনা থেকে পার্কে একটি ময়ূর আনা হয়। এর ৯ দিন পর সঙ্গী হিসেবে একটি ময়ূর কিনে আনা হয়েছিল। একই বছর চাঁদপুর কাঁকড়া মানিকের বাসা থেকে ১১টি ময়ূর উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এগুলো পার্কে আনা হয়। ফের ১৩ এপ্রিল নরসিংদী থেকে আরও দুটি ময়ূর জব্দ করে পার্কে পাঠানো হয়।
২০১১ সালের ১ জুন সিলেট জেলার শ্রীমঙ্গল থেকে একটি পুরুষ ময়ূর, ১৯ জুলাই যমুনা ইকোপার্ক থেকে আরেকটি পুরুষ ময়ূর পার্কে আনা হয়। সবশেষ ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম হালিশহর রেলগেট এলাকায় দুটি ময়ূর উদ্ধার করে পার্কে হস্তান্তর করে। এই পর্যন্ত পার্কে ১৯টি ময়ূর-ময়ূরি আনা হয়। তার মধ্যে একটি ময়ূর যমুনা ইকোপার্কে প্রজননের জন্য পাঠানো হয়। এরই মধ্যে ২০০৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গত ১৫ বছরে চারটি ময়ূর মারা যায়।
পার্কের দর্শনার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘করোনার কারণে প্রায় দুই বছর ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে এসেছি। পুরো পার্ক ঘুরে খুব ভালো লেগেছে। ময়ূর পেখম মেলে রাখার দৃশ্যটি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লেগেছে। দীর্ঘদিন নতুন কোনো প্রাণী আনা হয় না। প্রাণীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে পার্কে ১৪টি ময়ূর রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি পুরুষ এবং ৭টি নারী ময়ূর। সম্প্রতি কিছুসংখ্যক ময়ূর ডিম দেওয়ার সময় হয়েছে। আশা করছি, এবার বাচ্চা পাব। প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি এদের বিশেষ যত্ন নিলে দ্রুত বংশবিস্তার বৃদ্ধি ঘটায় ময়ূর। বর্ষাকালে ময়ূরের পেখম শরীর থেকে ঝরে পড়ে। বর্ষা শেষ হলে আবারও পেখম গজাতে শুরু করে।’
দর্শনার্থীদের আনাগোনায় পেখম মেলে নাচছিল একটি ময়ূর। বাকি দুটি ময়ূরও পাখার বিশেষ শব্দ ছেড়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। তিনটি ময়ূরের এভাবেই পেখম মেলে নাচার দৃশ্য দেখা মিলেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। অতিমারি করোনার প্রায় দুই বছর পর সম্প্রতি পুরোদমে দর্শনার্থী আসতে শুরু করেছে এখানে।
সরেজমিন পার্কের ময়ূর বেষ্টনীতে দেখা যায়, নীল ও ধূসর মিশ্রণে ৮ থেকে ১০টি ময়ূর এদিক-ওদিক বেড়াচ্ছে। একটি পেখম মেলছে আর পালকের আড়ালে লুকিয়ে রাখছে। আরেকটি পেখম মেলে উড়েও যেতে যাইছে। একটি যখন পেখম তুলছে অন্য একটি তাকে অনুসরণ করে পেখম তুলতে থাকে। এ সময় পাখার ঝনঝন শব্দে দর্শনার্থীরা মুগ্ধ।
জানা গেছে, ময়ূর মূলত ফ্যাজিয়ানিডি প্রজাতির প্রাণী। এশিয়া অঞ্চলে দুই ধরনের ময়ূর রয়েছে। এদের রং নীল ও সবুজ। এরা সর্বভুক। চারা গাছ, বীজের খোসা, কীটপতঙ্গ, ফুলের পাপড়ি এবং ছোট ছোট সন্ধিপদ প্রাণী খায়। ময়ূর ৭ ফুট লম্বা পর্যন্ত হয়ে থাকে। পেখমের দৈর্ঘ্য তিন ফুট হয়।
পার্ক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৫ মার্চ প্রথম পাবনা থেকে পার্কে একটি ময়ূর আনা হয়। এর ৯ দিন পর সঙ্গী হিসেবে একটি ময়ূর কিনে আনা হয়েছিল। একই বছর চাঁদপুর কাঁকড়া মানিকের বাসা থেকে ১১টি ময়ূর উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এগুলো পার্কে আনা হয়। ফের ১৩ এপ্রিল নরসিংদী থেকে আরও দুটি ময়ূর জব্দ করে পার্কে পাঠানো হয়।
২০১১ সালের ১ জুন সিলেট জেলার শ্রীমঙ্গল থেকে একটি পুরুষ ময়ূর, ১৯ জুলাই যমুনা ইকোপার্ক থেকে আরেকটি পুরুষ ময়ূর পার্কে আনা হয়। সবশেষ ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম হালিশহর রেলগেট এলাকায় দুটি ময়ূর উদ্ধার করে পার্কে হস্তান্তর করে। এই পর্যন্ত পার্কে ১৯টি ময়ূর-ময়ূরি আনা হয়। তার মধ্যে একটি ময়ূর যমুনা ইকোপার্কে প্রজননের জন্য পাঠানো হয়। এরই মধ্যে ২০০৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গত ১৫ বছরে চারটি ময়ূর মারা যায়।
পার্কের দর্শনার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘করোনার কারণে প্রায় দুই বছর ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে এসেছি। পুরো পার্ক ঘুরে খুব ভালো লেগেছে। ময়ূর পেখম মেলে রাখার দৃশ্যটি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লেগেছে। দীর্ঘদিন নতুন কোনো প্রাণী আনা হয় না। প্রাণীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে পার্কে ১৪টি ময়ূর রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি পুরুষ এবং ৭টি নারী ময়ূর। সম্প্রতি কিছুসংখ্যক ময়ূর ডিম দেওয়ার সময় হয়েছে। আশা করছি, এবার বাচ্চা পাব। প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি এদের বিশেষ যত্ন নিলে দ্রুত বংশবিস্তার বৃদ্ধি ঘটায় ময়ূর। বর্ষাকালে ময়ূরের পেখম শরীর থেকে ঝরে পড়ে। বর্ষা শেষ হলে আবারও পেখম গজাতে শুরু করে।’
মেট্রোরেল চালানো কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ পদে আর আমলা-নির্ভরতা থাকছে না। গত ৯ অক্টোবর প্রকাশিত নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এমডি পদের জন্য সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে
২ মিনিট আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে