ভোগান্তি ছাড়া টিসিবি পণ্য

কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২২, ০৭: ৩৩
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২২, ১০: ৩১

কুমিল্লায় এবার কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ভর্তুকি মূল্যে পণ্য মিলেছে। এতে খুশি উপকারভোগীরা। গতকাল মঙ্গলবার নগরীর সব কটি ওয়ার্ডে সুষ্ঠুভাবে এসব পণ্য বিতরণ করা হয়। পণ্য কিনতে আসা ক্রেতাদের জন্য করা হয় বিশেষ ছাউনির ব্যবস্থা। এ ছাড়া বয়স্কদের জন্য রাখা হয়েছে চেয়ার-টেবিল। ক্রেতাদের জন্য পান-সুপারি, পানি, কোমল পানীয়, বাচ্চাদের জন্য চকোলেটসহ নানা ব্যবস্থা। ওয়ার্ডের মাঝামাঝি স্থাপন করা হয় এই অস্থায়ী বিক্রয়কেন্দ্র।

জেলায় টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয় ২০ মার্চ। পণ্য কিনতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদের মধ্যে সড়কে দাঁড়িয়ে থেকে উপকারভোগীদের ফেরত যাওয়া, মানুষের গাদাগাদি, কেন্দ্রের দূরত্ব, ভোগান্তি, অব্যবস্থাপনা ও হয়রানির অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে উপকারভোগীরা পরদিন বিক্ষোভও করেন। পরে এ নিয়ে জেলা প্রশাসন সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টরা সুষ্ঠুভাবে পণ্য বিতরণের বিষয়ে সভা করেন।

১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ হাসেম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই মহতী উদ্যোগ কিছু অব্যবস্থাপনার কারণে বেহাত হয়ে যাবে, তা জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে মানতে পারিনি। তাই সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসব ব্যবস্থা করেছি। মানুষ এখন উৎসবমুখর পরিবেশে টিসিবির পণ্য ক্রয় করছেন।’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র এবং ১৩, ১৪, ১৫ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর নুর জাহান আলম পুতুল বলেন, ‘২০ মার্চ আমার দেওয়া দুই শতাধিক কার্ডধারীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টার রোদে দাঁড় করিয়ে ফেরত দেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁরা বিক্ষোভ করেন। পরে এ নিয়ে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন সমন্বয় করে বিক্রয়কেন্দ্রে স্থান পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। এখন মানুষ সুন্দর পরিবেশে পণ্য ক্রয় করতে পারছেন।’

টিসিবির পণ্য কিনতে আসা নগরীর মুরাদপুরের বাসিন্দা কার্ডধারী খুশি বেগম বলেন, ‘বিগত দিনের দুর্ভোগ আর আজ অনেক পার্থক্য। গেল দিনে ফেরত গেলেও আজ আমাদের আপ্যায়ন করে পণ্য দিচ্ছেন।’

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার উম্মে মুসলিমা বলেন, কুমিল্লা জেলায় মোট উপকারভোগী রয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ৭৪৭ জন। গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১০টি স্থানে ও কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে বিক্রয় কার্যক্রম চলে। যেখানে উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশনের ১০টি স্পটে ১০ হাজার ৩৮৮ জনের কাছে পণ্য বিক্রয় করা হবে। কুমিল্লা জেলায় ১১৭ জন টিসিবির ডিলারের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হয়।

জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লা আল মাহমুদ সহিদ বলেন, স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশনা, জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে সভা করা হয়েছে। এতে বিগত দিনের দুর্ভোগ লাঘবে পদক্ষেপ নেওয়ায় সুষ্ঠুভাবে টিসিবির পণ্য বিক্রি হয়েছে।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রথম দিন কিছু সমস্যা হয়েছিল, তা সমাধান করা হয়েছে। এখন প্রতিটি বিক্রয়কেন্দ্রে মানুষ স্বচ্ছন্দে পণ্য ক্রয় করছেন। রমজানেও এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হবে। ক্রেতাদের আরও বেশি করে পণ্য দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত