রাঙামাটি প্রতিনিধি
দুর্গমতার কারণে জাতীয়করণের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে রাঙামাটির ৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাদ পড়া এসব বিদ্যালয় চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। হতাশায় দিন কাটছে বিদ্যালয় শিক্ষকদের। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ার হার বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি রাঙামাটির বরকল উপজেলার রামুক্যাছড়ি মৌজায় গিয়ে দেখা যায়, এ মৌজায় নেই কোনো সরকারি প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। রামুক্যাছড়ি, নোয়া আদাম, মেম্বারপাড়া, কদুছড়াসহ মোট ১৬টি পাড়ায় ১৫ বছর আগে তিনটি বিদ্যালয় নির্মাণ করেছেন স্থানীয় লোকজন। এখানে প্রায় ৬ হাজার লোকের বসবাস। স্কুলপড়ুয়া শিশুর সংখ্যা প্রায় ২০০। সম্প্রতি জাতীয়করণের তালিকায় ওঠেনি এসব বিদ্যালয়গুলোর নাম।
সুবর্ণভূমি ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি সংস্থা তিন বিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষককে মাসিক ৫ হাজার টাকা সম্মানী দিয়ে চলছে পাঠদান। এ সহায়তা বন্ধ হলে বন্ধ হবে বিদ্যালয়গুলোও। জাতীয়করণ না হওয়ায় বেশ হতাশ এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
এসব বিদ্যালয় ছাড়াও জেলায় বাকি ৮১টি বিদ্যালয়ের অবস্থা আরও করুণ। দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়ার হতাশা থেকে অনেক শিক্ষক বিদ্যালয় ছেড়ে চলে গেছেন। এসব এলাকার শিশুরা শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে।
এসব বিদ্যালয় নির্মাণে অর্থ-সহায়তা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু সরকারিভাবে বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বেতন প্রদানের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। এত দিন গণচাঁদা ও কিছু এনজিওর তহবিলে চলছিল বিদ্যালয়গুলো। এখন সেই সামর্থ্যও হারিয়েছে গ্রামের মানুষ। দুর্গমতার কারণে স্কুলে যাওয়ার সময় পানিতে ডুবে শিশু মারা যাওয়ার ঘটনাও আছে।
চাকমা সার্কেলের রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, স্কুলগুলোর পরিচালনার আর্থিক সামর্থ্য গ্রামবাসীদের নেই। এখন এগুলোর দায়িত্ব সরকারের নেওয়া উচিত। সরকার এমডিজি বাস্তবায়নের পর এসডিজির পথে হাঁটছে। সেখানে এ প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার কথা নির্ধারিত করা আছে। কিন্তু দুর্গম অঞ্চলের শিশুদের যদি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়, তাহলে কি এসডিজি পূরণ হবে? এ বিদ্যালয়গুলোর দায়িত্ব নেওয়া সরকারের দায়িত্ব। না হলে শিক্ষার এই অনিশ্চয়তা এসডিজি বাস্তবায়নে বাধা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ রাঙামাটি জেলা পরিষদের তথ্যমতে, ৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বাদ পড়া স্কুলগুলো যেন জাতীয়করণের আওতায় আসে সেজন্য কাজ
চলছে। আমরা তালিকা নিয়ে যাচাই-বাছাই করছি।’
রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শুধু ভাবছি না, এগুলো কীভাবে দ্রুত জাতীয়করণের আওতায় আনা যায়, নিয়মিত কাজও চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষা নীতিমালায় কিছু নীতি শিথিল করে হলেও বাদ পড়া স্কুলগুলো দ্রুত জাতীয়করণের ব্যবস্থা করতে সরকারকে অনুরোধ করা হচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট তথ্যমতে তিন পার্বত্য জেলায় এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা দেড় শতাধিক। এসব এলাকায় বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট না থাকা ও দুর্গম যোগাযোগব্যবস্থার কারণে সরকারি বিভিন্ন বার্তা যথাসময়ে পায় না বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
বরকল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শ্যাম রতন চাকমা বলেন, ‘উপজেলা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের গাফিলতি রয়েছে। তাঁরা দুর্গম স্কুলগুলোর সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন না, পরিদর্শনে যান না। তাঁরা উপজেলা সদরে বসে রিপোর্ট দেন। তাঁরা স্কুলগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাঠান না। এ কারণে স্কুলগুলো জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়েছে।
দুর্গমতার কারণে জাতীয়করণের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে রাঙামাটির ৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাদ পড়া এসব বিদ্যালয় চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। হতাশায় দিন কাটছে বিদ্যালয় শিক্ষকদের। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ার হার বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি রাঙামাটির বরকল উপজেলার রামুক্যাছড়ি মৌজায় গিয়ে দেখা যায়, এ মৌজায় নেই কোনো সরকারি প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। রামুক্যাছড়ি, নোয়া আদাম, মেম্বারপাড়া, কদুছড়াসহ মোট ১৬টি পাড়ায় ১৫ বছর আগে তিনটি বিদ্যালয় নির্মাণ করেছেন স্থানীয় লোকজন। এখানে প্রায় ৬ হাজার লোকের বসবাস। স্কুলপড়ুয়া শিশুর সংখ্যা প্রায় ২০০। সম্প্রতি জাতীয়করণের তালিকায় ওঠেনি এসব বিদ্যালয়গুলোর নাম।
সুবর্ণভূমি ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি সংস্থা তিন বিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষককে মাসিক ৫ হাজার টাকা সম্মানী দিয়ে চলছে পাঠদান। এ সহায়তা বন্ধ হলে বন্ধ হবে বিদ্যালয়গুলোও। জাতীয়করণ না হওয়ায় বেশ হতাশ এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
এসব বিদ্যালয় ছাড়াও জেলায় বাকি ৮১টি বিদ্যালয়ের অবস্থা আরও করুণ। দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়ার হতাশা থেকে অনেক শিক্ষক বিদ্যালয় ছেড়ে চলে গেছেন। এসব এলাকার শিশুরা শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে।
এসব বিদ্যালয় নির্মাণে অর্থ-সহায়তা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু সরকারিভাবে বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বেতন প্রদানের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। এত দিন গণচাঁদা ও কিছু এনজিওর তহবিলে চলছিল বিদ্যালয়গুলো। এখন সেই সামর্থ্যও হারিয়েছে গ্রামের মানুষ। দুর্গমতার কারণে স্কুলে যাওয়ার সময় পানিতে ডুবে শিশু মারা যাওয়ার ঘটনাও আছে।
চাকমা সার্কেলের রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, স্কুলগুলোর পরিচালনার আর্থিক সামর্থ্য গ্রামবাসীদের নেই। এখন এগুলোর দায়িত্ব সরকারের নেওয়া উচিত। সরকার এমডিজি বাস্তবায়নের পর এসডিজির পথে হাঁটছে। সেখানে এ প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার কথা নির্ধারিত করা আছে। কিন্তু দুর্গম অঞ্চলের শিশুদের যদি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়, তাহলে কি এসডিজি পূরণ হবে? এ বিদ্যালয়গুলোর দায়িত্ব নেওয়া সরকারের দায়িত্ব। না হলে শিক্ষার এই অনিশ্চয়তা এসডিজি বাস্তবায়নে বাধা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ রাঙামাটি জেলা পরিষদের তথ্যমতে, ৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বাদ পড়া স্কুলগুলো যেন জাতীয়করণের আওতায় আসে সেজন্য কাজ
চলছে। আমরা তালিকা নিয়ে যাচাই-বাছাই করছি।’
রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শুধু ভাবছি না, এগুলো কীভাবে দ্রুত জাতীয়করণের আওতায় আনা যায়, নিয়মিত কাজও চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষা নীতিমালায় কিছু নীতি শিথিল করে হলেও বাদ পড়া স্কুলগুলো দ্রুত জাতীয়করণের ব্যবস্থা করতে সরকারকে অনুরোধ করা হচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট তথ্যমতে তিন পার্বত্য জেলায় এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা দেড় শতাধিক। এসব এলাকায় বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট না থাকা ও দুর্গম যোগাযোগব্যবস্থার কারণে সরকারি বিভিন্ন বার্তা যথাসময়ে পায় না বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
বরকল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শ্যাম রতন চাকমা বলেন, ‘উপজেলা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের গাফিলতি রয়েছে। তাঁরা দুর্গম স্কুলগুলোর সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন না, পরিদর্শনে যান না। তাঁরা উপজেলা সদরে বসে রিপোর্ট দেন। তাঁরা স্কুলগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাঠান না। এ কারণে স্কুলগুলো জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে