আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মাণ

ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ১৫
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ৫৬

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিবাদী আ. মালেক সরদার গত রোববার রাতে এই ঘর নির্মাণ করেছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, জমি নিয়ে পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের চর নারায়ণপুরের মালেক সরদার এর সঙ্গে দারুল আমান ইউনিয়নের গুয়া খোলা গ্রামের আলমগীর হোসেন মেলকারের বিরোধ চলে আসছে অনেক দিন ধরে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়ায়। এর প্রেক্ষিতে বিরোধপূর্ণ জমিতে স্থাপনা নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। কিন্তু সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত রোববার রাতে জমিতে পাটখড়ির বেড়া দিয়ে দুই চালা একটি টিনের ঘর নির্মাণ হয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের ৯৯ নম্বর চর নারায়ণপুর মৌজার বিরোধপূর্ণ জমিতে নতুন একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা হাবিব মাদবর জানান, গত কয়েক দিন আগেও এখানে কোনো ঘর ছিল না।

মামলার বাদী আলমগীর হোসেন মেলকার বলেন, ‘এ জমি আমার দাদার আমল থেকে আমরা ভোগ করে আসছি। আমাদের কাছে জমির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। এরপরও জোর করে আমাদের জমিটি দখলের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালতের নিষেধ অমান্য করে রাতে অন্ধকারে ঘর তোলাই এর প্রমাণ। এর আগে আ. মালেক দলবল নিয়ে আমার ওপর হামলা করেছে। এ বিষয়ে ডামুড্যা থানায় অভিযোগ করেছি। এ ছাড়া আ. মালেক আমাকে বিভিন্ন সময় নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে আ. মালেক সরদার বলেন, ‘ওই জমি ফজলু মেলকারের কাছ থেকে কিনেছি। এর দলিল আছে। আগামী রোববার কাগছপত্র নিয়ে আদালতে যাব।’

বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তোলার বিষয়ে আ. মালেক সরদার বলেন, ‘এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।’

ডামুড্যা উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার তানিয়া আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি সরেজমিন তদন্ত করতে যাই। বাদী ও বিবাদীকে উপস্থিত থাকতে বলি। কিন্তু বিবাদী আ. মালেক সরদার সেদিন উপস্থিত হননি। তা ছাড়া তদন্তে গিয়ে জমিতে আমি কোনো ঘর দেখিনি। তবে এর পরের দিন বাদী আলমগীর হোসেন মেলকার জানান, বিবাদী আ. মালেক সরদার রাতের আঁধারে সেই জমিতে ঘর নির্মাণ করেছেন

ডামুড্যা থানার উপপরিদর্শক মো.সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিবাদী আ. মালেক সরদারের বিরুদ্ধে মারপিট ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি দখলের একটা অভিযোগ ডামুড্যা থানায় করা হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত চলমান। আমি সরেজমিনে আদালতের জারি করা নিষেধাজ্ঞার আদেশ উভয় পক্ষকে শুনিয়েছি। আদেশের অনুলিপি তাঁদের হাতে দিয়ে এসেছি। এরপরেও বিরোধপূর্ণ জমিতে স্থাপনা নির্মাণ খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত