চার মাসেই উঠে যাচ্ছে পিচ পাথর, দুই পাশে ধস

সামিউল মনির, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫: ৩০

মাত্র চার মাস আগে শেষ হয় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ গোডাউন মোড়-নুরনগর সংযোগ সড়কের সংস্কারকাজ। আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে সোয়ালিয়া মঠবাড়ি পর্যন্ত 
৩ হাজার ৮০০ মিটার সড়ক প্রশস্তকরণসহ নতুনভাবে কার্পেটিং করা হয়। তবে সদ্য সংস্কার করা এ সড়কের বিভিন্ন অংশের দুই পাশে ধস নেমেছে। প্রশস্ত করা অংশ দেবে যাওয়ার পাশাপাশি মাত্র চার মাসের ব্যবধানে পিচ-পাথর উঠে গিয়ে শতাধিক স্থানে ছোট-বড় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে।

ব্যস্ততম এমন বেহাল সড়কে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। স্থানীয় লোকজন জানান, সংস্কারকাজের অংশ হিসেবে উভয় পাশের রাস্তা প্রশস্ত করা হলেও ‘প্লাসাইডিং’ (পাশের নিচু জায়গা ইটের গাঁথুনি দিয়ে দেয়ালের তৈরি করা) ক্ষেত্রে সড়কের সমান উচ্চতা রক্ষা করা হয়নি। আবার অনেক ক্ষেত্রে আগে-পরে কাজ না করে কেবল মাঝ বরাবর নামকাওয়াস্তে স্বল্প জায়গাজুড়ে ‘প্লাসাইডিং’ করা হয়। এ ছাড়ানিম্নমানের ইট, খোয়া ও স্বল্প পরিমাণে পিচ ব্যবহারের মাধ্যমে যেনতেনভাবে কাজ শেষ করায় এক বর্ষা পার হওয়ার পরই সড়কের দৈন্য ফুটে উঠেছে। সম্প্রসারিত সড়কের পাশে বসবাসরত যাদবপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন জানান, পিচ না থাকায় পাথরের টুকরো উঠে গিয়ে তার বাড়ির সামনের রাস্তায় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

ওই অংশ দিয়ে চলাচলের সময় যানবাহনের চাকায় লেগে ছিটকে আসা পাথরের আঘাতে পথচারীসহ স্থানীয় লোকজন প্রতিনিয়ত আহত হচ্ছেন। সোয়ালিয়া গ্রামের নিত্যানন্দ মণ্ডল বলেন, ‘প্লাসাইডিং’ ঠিকমতো না করায় সড়কের অন্তত ২০টির বেশি অংশে ধস লেগেছে। মাসুদ মেম্বারের বাড়ির সামনের সড়ক, মঠবাড়িসহ সোয়ালিয়া এলাকায় রাস্তার মধ্যে বর্ষার সময় একাধিক গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে খুলনার এটিসি ও এসআরটি নামীয় প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে ওই সংস্কারকাজ সম্পন্ন করে। এ বিষয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সোহেল আহমেদ জানান, তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ হস্তান্তরের সময় কাজ বুঝে নেয়। অতি ব্যস্ততম হওয়ার পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিসহ দুপাশে অসংখ্য জলাশয়ের কারণে সংস্কার হওয়া সড়কের কিছু স্থানে সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।

উপজেলা প্রকৌশলী (শ্যামনগর) সাইদুজ্জামান সোহাগ জানান, ঠিকাদার কাজের মান রক্ষা না করায় বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে। এ ছাড়া যেসব স্থানে ভাঙন ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে মোবাইল মেইনটেন্যান্সের মাধ্যমে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত