Ajker Patrika

ভ্যাটের চিঠি দিয়ে ডেকে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ

বরগুনা প্রতিনিধি
ভ্যাটের চিঠি দিয়ে ডেকে  ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ

ভ্যাট আদায়ের নামে অফিসে ডেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে বরগুনা জেলা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। বরগুনা শহরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকের অভিযোগ, ভ্যাট অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাঁদের চিঠি দিয়ে ডেকে ভয় দেখাচ্ছেন। চাহিদামতো ঘুষ দিলে টাকার অঙ্ক কমিয়ে ভ্যাট নিচ্ছেন। আর ঘুষ দিতে না চাইলে তাঁদের নানাভাবে হয়রানির হুমকি দিচ্ছেন। অবশ্য ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ভ্যাট অফিসের কর্মকর্তারা। আর চিঠি দিয়ে অফিসে ডাকাকে তাঁরা বলছেন ‘ভ্যাট আদায়ের চাপ’।

ভ্যাট অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন শহরের নজরুল ইসলাম সড়কের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী জাহিদ মিয়া। তিনি বলেন, ‘গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভ্যাট অফিসের সিপাহি এস এম সালাহউদ্দিন ১৪ হাজার টাকা ভ্যাট পরিশোধের জন্য আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে চিঠি দেন। চিঠি পেয়ে আমি অফিসে গেলে তিনি আমার কাছ থেকে “অফিস খরচ” বাবদ আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। নয়তো আমার ব্যবসার ক্ষতি হবে বলে হুমকি দেন। আমি চালানের মাধ্যমে ১৪ হাজার টাকা জমা দিই। কিন্তু সিপাহি সালাহউদ্দিন বারবার আমাকে ফোন করে অফিসে দেখা করতে চাপ দিতে থাকেন। আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমাকে দেখিয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন। পরে আমি ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে রেহাই পাই।’

৬০ হাজার টাকা ভ্যাট এসেছে—এমন চিঠি পেলেও অফিসে গিয়ে ঘুষ দেওয়ার পর ভ্যাটের অঙ্ক ১ হাজার টাকায় নেমে এসেছে সদর রোডের বেলায়েত এন্টারপ্রাইজের। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী সবুজ মিয়া বলেন, ‘ভ্যাট অফিসের সিপাহি সঞ্জয় বিশ্বাস আমাকে ৬০ হাজার টাকার চালানসহ একটি চিঠি দেন এবং অফিসে দেখা করতে বলেন। পরে আমি অফিসে দেখা করতে গেলে আয়কর অফিসের সিপাহি এস এম সালাউদ্দিন নানা ভয়ভীতি দেখান। একপর্যায়ে ঘুষ দাবি করেন। বাধ্য হয়ে ২১ হাজার টাকা ঘুষ দিই। এরপর প্রতি মাসে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ১ হাজার করে টাকা জমা দিতে বলেন। আমি ১ হাজার টাকা জমা দিয়ে দিই।’ 

একই ধরনের অভিযোগ করেছেন একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক। শহরের বালিকা বিদ্যালয় সড়কের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবদুস সালাম বলেন, ‘আমাদের সামান্য চায়ের দোকান। এটা ভ্যাটের আওতায় পড়ে না। তবু সিপাহি সঞ্জয় এসে আমাদের অফিসে দেখা করতে বলেন। নয়তো ব্যবসা করতে দেবে না বলে হুমকি দেন। পরে আমি গিয়ে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে আসি।’

সমিতির আওতাভুক্ত প্রত্যেক দোকান থেকে কোনো স্লিপ ছাড়াই দুই-তিন হাজার টাকা করে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ভ্যাট অফিসের লোকজনের বিরুদ্ধে। 
অভিযোগের বিষয়ে বরগুনা জেলা ভ্যাট অফিসের সিপাহি এস এম সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যাঁরা এসব অভিযোগ করেছেন, তাঁরা আসলে আয়কর দিতে নারাজ ছিলেন। চাপ প্রয়োগ করার কারণে এখন তাঁরা ঘুষের অভিযোগ করছেন।’

সিপাহি সঞ্জয় বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ভয় দেখিয়ে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

বরগুনা জেলা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ‘ঘুষ নেওয়ার বিষয়টির কোনো সত্যতা নেই। ভ্যাট ও আয়কর না দেওয়া ব্যবসায়ীদের তালিকা করে চিঠি দিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ভিসা নীতি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে: বলছেন কূটনীতিকেরা

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ও এনসিপি

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীরের মিছিল, পুলিশের টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ

ভারত ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত