সাখাওয়াত ফাহাদ ও জহিরুল আলম পিলু, ঢাকা
নৌকা, লাঙ্গল, ট্রাক—তিনটিকেই জয়ের হিসাবনিকাশে রাখছেন ঢাকা-৪ আসনের ভোটাররা। তাঁদের মতে, সানজিদা খানম, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ড. মো. আওলাদ হোসেন—তিনজনই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। ৭ জানুয়ারি জয় পেতে পারেন যে কেউ। তিন প্রার্থীও আশাবাদী। তবে দ্বিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ কেউ।
এলাকা ঘুরে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেল। রাজধানীর শ্যামপুর ও কদমতলী থানা নিয়ে গঠিত এই আসন। দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানীতে প্রবেশের মুখ এটি। ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬৭ জন।
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সানজিদা খানম দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য (২০০৮ সালের নবম সংসদ)।
লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ২০১৪ সাল থেকে এ আসনের সংসদ সদস্য। গত দুটি নির্বাচনেই জাপাকে আসনটি ছাড়লেও এবার ছাড়েনি আওয়ামী লীগ। বাবলা ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে অবিভক্ত ঢাকা-৪ আসনের এমপি ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন (ট্রাক প্রতীক) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সচিব। আওয়ামী লীগ তাঁকে বহিষ্কার করলেও দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি ৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে নৌকা, ট্রাক ও লাঙ্গল প্রতীকের মধ্যে লড়াই হবে। তিন প্রার্থীই এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
অবশ্য কয়েকজন বলেছেন, বাবলা টানা দুবারের এমপি হলেও দলীয় অবস্থানের কারণে মূল লড়াই হতে পারে নৌকা ও ট্রাকের মধ্যে। দুই প্রার্থীর কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। দুই প্রার্থীও পরস্পরের প্রতি বাক্যবাণ ছুড়ছেন। ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। দুজনেরই দাবি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় অংশ তাঁর সঙ্গে রয়েছে। এলাকার সাতজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরও দুপক্ষে বিভক্ত হয়ে গেছেন।
সানজিদা খানম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই আসনে আমিই আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। ট্রাকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের কোনো পদপদবিতে নেই। নৌকার নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। তাই জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আওলাদ হোসেনও। তিনি বলেন, ‘গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশে আমার পাশে যাঁরা থাকেন, তাঁরা এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। আমি ৫০ বছর ধরে এই এলাকায় থাকি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতা-কর্মী আমার সঙ্গে রয়েছেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, সানজিদার প্রতি আগের ক্ষোভ ও হতাশা থেকে দলের অনেক নেতা-কর্মী আওলাদের পক্ষে কাজ করছেন। নেতা-কর্মীদের এই বিভক্তি লাঙ্গলের পাল্লা ভারী করতে পারে। কারণ, সাধারণ ভোটারের সংখ্যাই বেশি। নীরব এই ভোটাররাই জয়-পরাজয়ের আসল নিয়ামক। এ কারণে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর মধ্যেও মূল লড়াই হতে পারে। আবার নৌকা ও লাঙ্গলের লড়াইও হতে পারে।
সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এমপি থাকাবস্থায় গত ১০ বছরে কারও অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াইনি। এলাকার উন্নয়ন করেছি। এ জন্য জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
এই আসনের ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে অন্যরা হলেন স্বতন্ত্র মনির হোসেন স্বপন (ঈগল), তৃণমূল বিএনপির রফিকুল ইসলাম ঠান্ডু (সোনালী আঁশ), কল্যাণ পার্টির ইয়াসিন হোসেন পাভেল (হাত ঘড়ি), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সাহেল আহমেদ সোহেল (ছড়ি), ইসলামী ঐক্যজোটের শাহ আলম তাহের (মিনার) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ সোহেল (কাপ)।
জয়ের জন্য মূল তিন প্রার্থীর জমজমাট প্রচারেও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভোটের আমেজ নেই। জলাবদ্ধতা, চাঁদাবাজি, মাদক, সন্ত্রাস, যানজট, বেহাল সড়ক নিয়ে অতিষ্ঠ তাঁরা। প্রার্থীদের নানা প্রতিশ্রুতি তাঁদের ভোটকেন্দ্রে নিতে পারবে কি না, তা নিশ্চিত নন প্রার্থীদের লোকজনও।
নৌকা, লাঙ্গল, ট্রাক—তিনটিকেই জয়ের হিসাবনিকাশে রাখছেন ঢাকা-৪ আসনের ভোটাররা। তাঁদের মতে, সানজিদা খানম, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ড. মো. আওলাদ হোসেন—তিনজনই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। ৭ জানুয়ারি জয় পেতে পারেন যে কেউ। তিন প্রার্থীও আশাবাদী। তবে দ্বিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ কেউ।
এলাকা ঘুরে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেল। রাজধানীর শ্যামপুর ও কদমতলী থানা নিয়ে গঠিত এই আসন। দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানীতে প্রবেশের মুখ এটি। ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬৭ জন।
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সানজিদা খানম দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য (২০০৮ সালের নবম সংসদ)।
লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ২০১৪ সাল থেকে এ আসনের সংসদ সদস্য। গত দুটি নির্বাচনেই জাপাকে আসনটি ছাড়লেও এবার ছাড়েনি আওয়ামী লীগ। বাবলা ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে অবিভক্ত ঢাকা-৪ আসনের এমপি ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন (ট্রাক প্রতীক) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সচিব। আওয়ামী লীগ তাঁকে বহিষ্কার করলেও দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি ৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে নৌকা, ট্রাক ও লাঙ্গল প্রতীকের মধ্যে লড়াই হবে। তিন প্রার্থীই এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
অবশ্য কয়েকজন বলেছেন, বাবলা টানা দুবারের এমপি হলেও দলীয় অবস্থানের কারণে মূল লড়াই হতে পারে নৌকা ও ট্রাকের মধ্যে। দুই প্রার্থীর কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। দুই প্রার্থীও পরস্পরের প্রতি বাক্যবাণ ছুড়ছেন। ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। দুজনেরই দাবি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় অংশ তাঁর সঙ্গে রয়েছে। এলাকার সাতজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরও দুপক্ষে বিভক্ত হয়ে গেছেন।
সানজিদা খানম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই আসনে আমিই আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। ট্রাকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের কোনো পদপদবিতে নেই। নৌকার নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। তাই জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আওলাদ হোসেনও। তিনি বলেন, ‘গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশে আমার পাশে যাঁরা থাকেন, তাঁরা এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। আমি ৫০ বছর ধরে এই এলাকায় থাকি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতা-কর্মী আমার সঙ্গে রয়েছেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, সানজিদার প্রতি আগের ক্ষোভ ও হতাশা থেকে দলের অনেক নেতা-কর্মী আওলাদের পক্ষে কাজ করছেন। নেতা-কর্মীদের এই বিভক্তি লাঙ্গলের পাল্লা ভারী করতে পারে। কারণ, সাধারণ ভোটারের সংখ্যাই বেশি। নীরব এই ভোটাররাই জয়-পরাজয়ের আসল নিয়ামক। এ কারণে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর মধ্যেও মূল লড়াই হতে পারে। আবার নৌকা ও লাঙ্গলের লড়াইও হতে পারে।
সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এমপি থাকাবস্থায় গত ১০ বছরে কারও অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াইনি। এলাকার উন্নয়ন করেছি। এ জন্য জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
এই আসনের ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে অন্যরা হলেন স্বতন্ত্র মনির হোসেন স্বপন (ঈগল), তৃণমূল বিএনপির রফিকুল ইসলাম ঠান্ডু (সোনালী আঁশ), কল্যাণ পার্টির ইয়াসিন হোসেন পাভেল (হাত ঘড়ি), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সাহেল আহমেদ সোহেল (ছড়ি), ইসলামী ঐক্যজোটের শাহ আলম তাহের (মিনার) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ সোহেল (কাপ)।
জয়ের জন্য মূল তিন প্রার্থীর জমজমাট প্রচারেও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভোটের আমেজ নেই। জলাবদ্ধতা, চাঁদাবাজি, মাদক, সন্ত্রাস, যানজট, বেহাল সড়ক নিয়ে অতিষ্ঠ তাঁরা। প্রার্থীদের নানা প্রতিশ্রুতি তাঁদের ভোটকেন্দ্রে নিতে পারবে কি না, তা নিশ্চিত নন প্রার্থীদের লোকজনও।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১৭ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪