রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির রামগড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো অলিগলিতে গড়ে উঠেছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান। লাইসেন্সবিহীন এসব দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ। যেকোনো সময় বিস্ফোরণে ঘটতে পারে প্রাণহানি। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো নজরদারি দেখা যাচ্ছে না।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুরো রামগড়ে বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স রয়েছে ৩টি। এর মধ্যে সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য আবু বকর এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ফরহাদের লাইসেন্স থাকলেও তাঁরা এখন আর ব্যবসা করেন না। শুধু একজন ব্যবসায়ী লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছেন।
রামগড় সদর, বাজারের ভেতরে গলি, সিনেমা হল, কালাডেবা এবং সোনাইপুল এলাকায় ৫০-৬০টি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। সরকারি নীতিমালা না মেনে সারের, মুদি, চা ও কসমেটিকসের দোকান এবং প্রকাশ্যে রাস্তার পাশে এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। বেশির ভাগের নেই এসব বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স এবং অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার। আইনের তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
বিস্ফোরক পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স, জ্বালানি অধিদপ্তরের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স এবং অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার অবশ্যই থাকতে হবে। আলো-বাতাসপূর্ণ ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব শর্ত পূরণ করলেই কেবল বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির অনুমতি মিলবে।
২০০৩ সালের দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি লাইসেন্স না নিয়ে বিস্ফোরকদ্রব্যের ব্যবসা করে, তবে তার তিন বছরের কারাদণ্ড ও অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সব মালামাল বাজেয়াপ্ত করা যাবে।
মেসার্স একেবি এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী পারেসুল ইসলাম বলেন, তাঁরনহ তিনজনের বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির পরিপূর্ণ লাইসেন্স রয়েছে। এর মাঝে দুজন এখন ব্যবসা করেন না। লাইসেন্স করে ব্যবসা করছি। অথচ যত্রতত্র রাস্তার পাশে এসব সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির দোকান গড়ে উঠেছে। অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ব্যবসার প্রসার ঘটছে। দোকানিরা বেশির ভাগই বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স নেয়নি।
জনসমাগমপূর্ণ সারের (কীটনাশক) দোকানে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছিলেন বেলাল হোসেন। তাঁকে অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি তাঁর কাছে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স রয়েছে বলে দাবি করেন। অথচ তাঁকে লাইসেন্স দেখাতে বললে তিনি তা দেখাতে পারেননি।
রামগড় বাজারের বাসিন্দা হুমায়ন শরীফ জানান, প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। রাস্তার পাশে, চা-দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ঝুঁকিপূর্ণ।
রামগড় ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. ইফতেখার উদ্দীন বলেন, বেশির ভাগ দোকানেই অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদনপত্র নেই। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছাড়া এ ব্যবসা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রামগড় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ ইফতেখার উদ্দীন আরাফাত বলেন, যত্রতত্র সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি খুবই ভয়াবহ। দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খাগড়াছড়ির রামগড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো অলিগলিতে গড়ে উঠেছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান। লাইসেন্সবিহীন এসব দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ। যেকোনো সময় বিস্ফোরণে ঘটতে পারে প্রাণহানি। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো নজরদারি দেখা যাচ্ছে না।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুরো রামগড়ে বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স রয়েছে ৩টি। এর মধ্যে সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য আবু বকর এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ফরহাদের লাইসেন্স থাকলেও তাঁরা এখন আর ব্যবসা করেন না। শুধু একজন ব্যবসায়ী লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছেন।
রামগড় সদর, বাজারের ভেতরে গলি, সিনেমা হল, কালাডেবা এবং সোনাইপুল এলাকায় ৫০-৬০টি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। সরকারি নীতিমালা না মেনে সারের, মুদি, চা ও কসমেটিকসের দোকান এবং প্রকাশ্যে রাস্তার পাশে এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। বেশির ভাগের নেই এসব বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স এবং অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার। আইনের তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
বিস্ফোরক পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স, জ্বালানি অধিদপ্তরের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স এবং অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার অবশ্যই থাকতে হবে। আলো-বাতাসপূর্ণ ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব শর্ত পূরণ করলেই কেবল বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির অনুমতি মিলবে।
২০০৩ সালের দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি লাইসেন্স না নিয়ে বিস্ফোরকদ্রব্যের ব্যবসা করে, তবে তার তিন বছরের কারাদণ্ড ও অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সব মালামাল বাজেয়াপ্ত করা যাবে।
মেসার্স একেবি এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী পারেসুল ইসলাম বলেন, তাঁরনহ তিনজনের বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির পরিপূর্ণ লাইসেন্স রয়েছে। এর মাঝে দুজন এখন ব্যবসা করেন না। লাইসেন্স করে ব্যবসা করছি। অথচ যত্রতত্র রাস্তার পাশে এসব সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির দোকান গড়ে উঠেছে। অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ব্যবসার প্রসার ঘটছে। দোকানিরা বেশির ভাগই বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স নেয়নি।
জনসমাগমপূর্ণ সারের (কীটনাশক) দোকানে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছিলেন বেলাল হোসেন। তাঁকে অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি তাঁর কাছে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স রয়েছে বলে দাবি করেন। অথচ তাঁকে লাইসেন্স দেখাতে বললে তিনি তা দেখাতে পারেননি।
রামগড় বাজারের বাসিন্দা হুমায়ন শরীফ জানান, প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। রাস্তার পাশে, চা-দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ঝুঁকিপূর্ণ।
রামগড় ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. ইফতেখার উদ্দীন বলেন, বেশির ভাগ দোকানেই অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদনপত্র নেই। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছাড়া এ ব্যবসা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রামগড় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ ইফতেখার উদ্দীন আরাফাত বলেন, যত্রতত্র সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি খুবই ভয়াবহ। দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
৩ ঘণ্টা আগেপর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে