সাইফুল মাসুম ও সৌগত বসু, ঢাকা
রাজধানীর রামপুরার হাজীপাড়া। সেখানে ‘হাজীপাড়া ঝিল’ খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় বউবাজার পেরিয়ে সরু মাটির রাস্তা দিয়ে অনেকটা এগিয়ে তিনটি বড় পুকুরের দেখা মিলল। মাটির রাস্তা দিয়ে এগুলো বিভক্ত। অথচ ২০১৫ সালেও পুরো এলাকাটি কচুরিপানায় ভরা বিস্তীর্ণ জলাশয় ছিল। কাগজে ৩৯ একর জলাশয় থাকলেও এখন বাস্তবে আছে মাত্র ১২ একর। বাকিটা ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বস্তিঘর, দোকান, গ্যারেজসহ অস্থায়ী বিভিন্ন স্থাপনা।
অথচ হাজীপাড়া ঝিলে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপ ২০২২-২০৩৫) জলাধারভিত্তিক পার্ক তৈরির প্রস্তাব রয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)। ড্যাপে এই পার্কের আয়তন ধরা হয়েছে ১৭ দশমিক ১৫ একর। হাজীপাড়া ঝিলসহ ড্যাপে প্রস্তাবিত ৫৫টি জলকেন্দ্রিক পার্কের জায়গার অনেকটাই এভাবে ভরাট হয়ে গেছে। এর মধ্যে ব্যক্তিমালিকানার জলাশয়ও রয়েছে। নগর-পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় জলকেন্দ্রিক পার্ক এখন অনেকটাই দিবাস্বপ্ন।
অবশ্য ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক বলেছেন, জলাশয় ভরাট আর দখল করলেও পার্ক তৈরির কাজ শুরু হলে দখলমুক্ত করা হবে। ব্যক্তিমালিকানায় থাকা জলাশয় রাজউক অধিগ্রহণ করবে।
ড্যাপে রাজউকের ছয়টি অঞ্চলে মোট ৫৫টি জলকেন্দ্রিক পার্কের প্রস্তাব রয়েছে। অঞ্চলগুলো হচ্ছে কেন্দ্রীয় অঞ্চল (ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকা), পূর্বাঞ্চল (রূপগঞ্জ ও কালীগঞ্জ), উত্তরাঞ্চল (গাজীপুর), দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল (কেরানীগঞ্জ), দক্ষিণাঞ্চল (নারায়ণগঞ্জ) ও পশ্চিমাঞ্চল (সাভার)। মৌজা ম্যাপে প্রস্তাবিত পার্ক এলাকার জলাভূমিগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জলাভূমি বলতে বোঝানো হয়েছে প্রাকৃতিক, স্থায়ী বা অস্থায়ী জলাধার, যেখানে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পানি থাকে।
ড্যাপে বলা হয়েছে, জলকেন্দ্রিক পার্কগুলো করা হবে মূলত হাতিরঝিলের আদলে। এসব পার্ক পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি বন্যার ঝুঁকি কমিয়ে আনবে। থাকবে সব বয়সী মানুষের জন্য বিনোদনের নানা ব্যবস্থা।
প্রস্তাবিত জলকেন্দ্রিক পার্কের একটির স্থান দেখানো আছে রামপুরার হাজীপাড়া ঝিল। গত ১৫ ডিসেম্বর ঝিল দেখতে গিয়ে পাওয়া গেল, কচুরিপানা-ময়লা-আবর্জনার ফাঁকে কালো পানির বড় তিনটি পুকুর। তিন পুকুরকে বিচ্ছিন্ন করা রাস্তাও আবর্জনা ও মাটি ফেলে ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে। চারপাশ থেকে ভরাট হয়ে বহুতল ভবনও উঠে গেছে। দোকান, রিকশার গ্যারেজ, গাড়ির ওয়ার্কশপ, বস্তিঘর, টিনশেড বাড়ি—কোনো কিছুরই অভাব নেই। এগুলোর চাপে বিস্তীর্ণ ঝিল অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে তিনটি পুকুরে। এগুলোও ভরাট করার চিহ্ন দেখা গেল।
ভরাট করা একটি টিনশেড ঘরের এক বাসিন্দা বলেন, ঝিলের অংশে প্রথমে আবর্জনা-মাটি ফেলে রাস্তা বানানো হয়। তারপর রাস্তার আশপাশ ভরাট করে স্থাপনা করা হয়েছে।
এক চা ও শিঙাড়ার দোকানি বলেন, তাঁর দোকানও সরকারি জায়গায়। এই দোকানের স্থানে আগে পানি ছিল। তিনি দোকানের জন্য দিনে ৭০ টাকা ভাড়া দেন।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুই গবেষকের জরিপে ৫৫টি জলকেন্দ্রিক পার্কের মধ্যে ১৫টির তথ্যে দেখা যায়, এগুলোর বেশির ভাগে ২০১৬ সালে ৯০ শতাংশের বেশি পানি থাকলেও ২০২২ সালে অর্ধেকের বেশি ভরাট হয়ে গেছে। যেমন মানিকদীতে যেসব জলাশয়ে ২০১৬ সালে ৯১ শতাংশ পানি ছিল, তা দাঁড়িয়েছে ১১ শতাংশে। সেখানে ২০১৬ সালে জলাশয় ছিল প্রায় ৩৯ একর, যা ২০২২ সালে দাঁড়িয়েছে ৫ একরে। আগে আবাসিক ভবন ছিল প্রায় ৪ একর, ২০২২ সালে তা হয়েছে ১৩ একরের বেশি। ২০১৬ সালে পাগলা-১ জলাভূমিতে শতভাগ পানি থাকলেও ২০২২ সালে হয়েছে ৭৮ শতাংশ। ১০ দশমিক ৫৭ একর সরকারি এই জলাভূমির ২ দশমিক ৬৪ একরে এখন বস্তি ও ট্রাক টার্মিনাল।
গবেষণায় বলা হয়, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়ে মিরপুরের কালশীতে জলাধার ৯৮ শতাংশ থেকে কমে ১৭ শতাংশ, শিয়ালবাড়ীতে ৩৪ থেকে কমে ১০ শতাংশ, পল্লবীতে ১০০ থেকে কমে ৪৭ শতাংশে, পাগলা ওয়াটার পার্ক-২ এ ৭৭ শতাংশ থেকে কমে ৬৮ শতাংশ হয়েছে। বাকিটা ভরাট ও দখল হয়ে গেছে। ভরাটকারীদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা, প্রভাবশালী ব্যক্তি, এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
এই গবেষণার সমন্বয়ক বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ইশরাত ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ড্যাপে থাকা জলাধারভিত্তিক পার্ক বাস্তবায়ন অনেক কঠিন হবে। কারণ, অনেক জলাভূমি সরকারি খাসজমি। তবে ব্যক্তিমালিকানার জলাভূমিও রয়েছে। তাঁরা রাজউকের এমন পার্কের প্রস্তাবের বিষয়েও জানেন না। দ্রুত উদ্যোগ না নিলে জলাভূমির বাকি অংশও ভরাট ও দখল হয়ে যাবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) গবেষণায় বলা হয়েছে, গত ২৮ বছরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার জলাধার ও জলাভূমি কমেছে ৭৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। ১৯৯৫ সালে ৩০ দশমিক ৯৮ শতাংশ জলাধার থাকলেও ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।
নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ড্যাপের প্রস্তাবিত ৫৫টি জলকেন্দ্রিক পার্কের অনেকগুলোই অস্তিত্বের সংকটে। রাজউক দখলমুক্ত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, এ জন্য আলাদা তদন্ত করা দরকার। দ্রুত জলাভূমিগুলো দখলমুক্ত করে সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউকের নগর-পরিকল্পনাবিদ ও ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিহ্নিত জলাধারগুলোর সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে তাঁরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছেন। চারটি জলকেন্দ্রিক পার্ক তৈরির জন্য এরই মধ্যে প্রকল্প নিয়েছে রাজউক। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ১৫-২০টি জলাধারভিত্তিক পার্কের কাজ শেষ করার ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী।
রাজধানীর রামপুরার হাজীপাড়া। সেখানে ‘হাজীপাড়া ঝিল’ খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় বউবাজার পেরিয়ে সরু মাটির রাস্তা দিয়ে অনেকটা এগিয়ে তিনটি বড় পুকুরের দেখা মিলল। মাটির রাস্তা দিয়ে এগুলো বিভক্ত। অথচ ২০১৫ সালেও পুরো এলাকাটি কচুরিপানায় ভরা বিস্তীর্ণ জলাশয় ছিল। কাগজে ৩৯ একর জলাশয় থাকলেও এখন বাস্তবে আছে মাত্র ১২ একর। বাকিটা ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বস্তিঘর, দোকান, গ্যারেজসহ অস্থায়ী বিভিন্ন স্থাপনা।
অথচ হাজীপাড়া ঝিলে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপ ২০২২-২০৩৫) জলাধারভিত্তিক পার্ক তৈরির প্রস্তাব রয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)। ড্যাপে এই পার্কের আয়তন ধরা হয়েছে ১৭ দশমিক ১৫ একর। হাজীপাড়া ঝিলসহ ড্যাপে প্রস্তাবিত ৫৫টি জলকেন্দ্রিক পার্কের জায়গার অনেকটাই এভাবে ভরাট হয়ে গেছে। এর মধ্যে ব্যক্তিমালিকানার জলাশয়ও রয়েছে। নগর-পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় জলকেন্দ্রিক পার্ক এখন অনেকটাই দিবাস্বপ্ন।
অবশ্য ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক বলেছেন, জলাশয় ভরাট আর দখল করলেও পার্ক তৈরির কাজ শুরু হলে দখলমুক্ত করা হবে। ব্যক্তিমালিকানায় থাকা জলাশয় রাজউক অধিগ্রহণ করবে।
ড্যাপে রাজউকের ছয়টি অঞ্চলে মোট ৫৫টি জলকেন্দ্রিক পার্কের প্রস্তাব রয়েছে। অঞ্চলগুলো হচ্ছে কেন্দ্রীয় অঞ্চল (ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকা), পূর্বাঞ্চল (রূপগঞ্জ ও কালীগঞ্জ), উত্তরাঞ্চল (গাজীপুর), দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল (কেরানীগঞ্জ), দক্ষিণাঞ্চল (নারায়ণগঞ্জ) ও পশ্চিমাঞ্চল (সাভার)। মৌজা ম্যাপে প্রস্তাবিত পার্ক এলাকার জলাভূমিগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জলাভূমি বলতে বোঝানো হয়েছে প্রাকৃতিক, স্থায়ী বা অস্থায়ী জলাধার, যেখানে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পানি থাকে।
ড্যাপে বলা হয়েছে, জলকেন্দ্রিক পার্কগুলো করা হবে মূলত হাতিরঝিলের আদলে। এসব পার্ক পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি বন্যার ঝুঁকি কমিয়ে আনবে। থাকবে সব বয়সী মানুষের জন্য বিনোদনের নানা ব্যবস্থা।
প্রস্তাবিত জলকেন্দ্রিক পার্কের একটির স্থান দেখানো আছে রামপুরার হাজীপাড়া ঝিল। গত ১৫ ডিসেম্বর ঝিল দেখতে গিয়ে পাওয়া গেল, কচুরিপানা-ময়লা-আবর্জনার ফাঁকে কালো পানির বড় তিনটি পুকুর। তিন পুকুরকে বিচ্ছিন্ন করা রাস্তাও আবর্জনা ও মাটি ফেলে ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে। চারপাশ থেকে ভরাট হয়ে বহুতল ভবনও উঠে গেছে। দোকান, রিকশার গ্যারেজ, গাড়ির ওয়ার্কশপ, বস্তিঘর, টিনশেড বাড়ি—কোনো কিছুরই অভাব নেই। এগুলোর চাপে বিস্তীর্ণ ঝিল অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে তিনটি পুকুরে। এগুলোও ভরাট করার চিহ্ন দেখা গেল।
ভরাট করা একটি টিনশেড ঘরের এক বাসিন্দা বলেন, ঝিলের অংশে প্রথমে আবর্জনা-মাটি ফেলে রাস্তা বানানো হয়। তারপর রাস্তার আশপাশ ভরাট করে স্থাপনা করা হয়েছে।
এক চা ও শিঙাড়ার দোকানি বলেন, তাঁর দোকানও সরকারি জায়গায়। এই দোকানের স্থানে আগে পানি ছিল। তিনি দোকানের জন্য দিনে ৭০ টাকা ভাড়া দেন।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুই গবেষকের জরিপে ৫৫টি জলকেন্দ্রিক পার্কের মধ্যে ১৫টির তথ্যে দেখা যায়, এগুলোর বেশির ভাগে ২০১৬ সালে ৯০ শতাংশের বেশি পানি থাকলেও ২০২২ সালে অর্ধেকের বেশি ভরাট হয়ে গেছে। যেমন মানিকদীতে যেসব জলাশয়ে ২০১৬ সালে ৯১ শতাংশ পানি ছিল, তা দাঁড়িয়েছে ১১ শতাংশে। সেখানে ২০১৬ সালে জলাশয় ছিল প্রায় ৩৯ একর, যা ২০২২ সালে দাঁড়িয়েছে ৫ একরে। আগে আবাসিক ভবন ছিল প্রায় ৪ একর, ২০২২ সালে তা হয়েছে ১৩ একরের বেশি। ২০১৬ সালে পাগলা-১ জলাভূমিতে শতভাগ পানি থাকলেও ২০২২ সালে হয়েছে ৭৮ শতাংশ। ১০ দশমিক ৫৭ একর সরকারি এই জলাভূমির ২ দশমিক ৬৪ একরে এখন বস্তি ও ট্রাক টার্মিনাল।
গবেষণায় বলা হয়, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়ে মিরপুরের কালশীতে জলাধার ৯৮ শতাংশ থেকে কমে ১৭ শতাংশ, শিয়ালবাড়ীতে ৩৪ থেকে কমে ১০ শতাংশ, পল্লবীতে ১০০ থেকে কমে ৪৭ শতাংশে, পাগলা ওয়াটার পার্ক-২ এ ৭৭ শতাংশ থেকে কমে ৬৮ শতাংশ হয়েছে। বাকিটা ভরাট ও দখল হয়ে গেছে। ভরাটকারীদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা, প্রভাবশালী ব্যক্তি, এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
এই গবেষণার সমন্বয়ক বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ইশরাত ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ড্যাপে থাকা জলাধারভিত্তিক পার্ক বাস্তবায়ন অনেক কঠিন হবে। কারণ, অনেক জলাভূমি সরকারি খাসজমি। তবে ব্যক্তিমালিকানার জলাভূমিও রয়েছে। তাঁরা রাজউকের এমন পার্কের প্রস্তাবের বিষয়েও জানেন না। দ্রুত উদ্যোগ না নিলে জলাভূমির বাকি অংশও ভরাট ও দখল হয়ে যাবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) গবেষণায় বলা হয়েছে, গত ২৮ বছরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার জলাধার ও জলাভূমি কমেছে ৭৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। ১৯৯৫ সালে ৩০ দশমিক ৯৮ শতাংশ জলাধার থাকলেও ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।
নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ড্যাপের প্রস্তাবিত ৫৫টি জলকেন্দ্রিক পার্কের অনেকগুলোই অস্তিত্বের সংকটে। রাজউক দখলমুক্ত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, এ জন্য আলাদা তদন্ত করা দরকার। দ্রুত জলাভূমিগুলো দখলমুক্ত করে সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউকের নগর-পরিকল্পনাবিদ ও ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিহ্নিত জলাধারগুলোর সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে তাঁরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছেন। চারটি জলকেন্দ্রিক পার্ক তৈরির জন্য এরই মধ্যে প্রকল্প নিয়েছে রাজউক। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ১৫-২০টি জলাধারভিত্তিক পার্কের কাজ শেষ করার ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে