ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জন্মস্থান হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে জয়ী হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিংহের বিপক্ষে ৭৪ হাজার ৭৫৫ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। জয়ের পর সংসদীয় বৈঠকে যোগ দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে দিল্লি যান এই অভিনেত্রী। দিল্লির ফ্লাইট ধরতে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে গেলে সেখানে এক নারী কনস্টেবলের চড় খান। বিমানবন্দরে নিরাপত্তা তল্লাশির সময়ে হঠাৎ তাঁকে চড় দিয়ে বসেন নিরাপত্তারক্ষী কুলবিন্দর কাউর। এ নিয়ে সরগরম ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গন। এর মধ্যেই এক্সসহ (সাবেক টুইটার) সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনা রনৌতের গালে চড়ের দাগ দাবিতে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, এক নারীর গালে হাতের পাঁচ আঙুলের ছাপ লাল হয়ে রয়েছে।
ছবিটি পোস্ট করে আজ শুক্রবার (৭ জুন) হাবিবুর রহমান নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছন্দ মিলিয়ে লেখা হয়েছে, ‘কঙ্গনার সফেদ গাল। থাপ্পড় মেরে করল লাল।’ গৌরব ব্যানার্জি নামে আরেকটি অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘পাঁচে পঞ্চবাণ। পাঁচে পঞ্চ নদী। পাঁচে পাণ্ডব। পাঁচে কঙ্গনার গাল, দিল খুশ হো গ্যায়া’।
তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনা রনৌতের গাল দাবিতে ভাইরাল ছবিটি মশা তাড়ানোর স্প্রের বিজ্ঞাপনের একজন মডেলের।
বিমানবন্দরে চড়-কাণ্ডের পর দিল্লি পৌঁছে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে এক ভিডিও বার্তায় ঘটনার বর্ণনা দেন কঙ্গনা রনৌত। ৫১ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে কঙ্গনা রনৌতের দুই গাল পর্যবেক্ষণ করে ভাইরাল ছবিটির মতো লাল দাগ দেখা যায়নি।
পরে ভাইরাল ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ‘অ্যাডস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামের একটি ওয়েবসাইটে ভাইরাল ছবিটি পাওয়া যায়। ‘স্ল্যাপ টু’ নামের ছবিটির বর্ণনা থেকে জানা যায়, এটি ‘বায়গন’ নামে একটি মশার স্প্রের বিজ্ঞাপনের জন্য তোলা ছবি। ছবিটি প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালের ৩০ মে। ছবিতে একজন নারী মডেলকে দেখা যাচ্ছে। এই ছবি জুম করলে নারী মডেলটির গালে আঙুলের ছাপ দেখা যায়। সেই ছবিই কঙ্গনা রনৌতের গালের ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
‘কুল মার্কেটিং থটস’ নামের আরেকটি ওয়েবসাইটেও এই ছবি পাওয়া যায়। বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণমূলক নিবন্ধ প্রকাশ করে এই ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটটিতে হাতের পাঁচ আঙুলের ছাপসহ আরও দুজন পুরুষ মডেলের ছবিও রয়েছে। ছবিগুলোর বর্ণনায় এই সাইটে বলা হয়েছে, এটি বায়গনের মশা নিধনকারী স্প্রের একটি বিজ্ঞাপন। এই তিন ব্যক্তির গালেই চড়ের ছাপ দেখা যাচ্ছে। হয় তাঁরা নিজেরাই নিজেদের চড় মেরেছেন অথবা অন্য কেউ তাঁদের চড় মেরেছে। এটি শুনতে খুবই হাস্যকর হলেও (মশার উপদ্রবে) এমনটি কিন্তু ঘটে! সাইটটিতে নারী মডেলের ছবিটিসহ বাকি ছবিগুলো ২০০৬ সালের ৩১ মে প্রকাশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, কঙ্গনা রনৌতকে চড়ের ঘটনায় নারী নিরাপত্তারক্ষী কুলবিন্দর কাউরকে এরই মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ৃন:
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জন্মস্থান হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে জয়ী হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিংহের বিপক্ষে ৭৪ হাজার ৭৫৫ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। জয়ের পর সংসদীয় বৈঠকে যোগ দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে দিল্লি যান এই অভিনেত্রী। দিল্লির ফ্লাইট ধরতে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে গেলে সেখানে এক নারী কনস্টেবলের চড় খান। বিমানবন্দরে নিরাপত্তা তল্লাশির সময়ে হঠাৎ তাঁকে চড় দিয়ে বসেন নিরাপত্তারক্ষী কুলবিন্দর কাউর। এ নিয়ে সরগরম ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গন। এর মধ্যেই এক্সসহ (সাবেক টুইটার) সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনা রনৌতের গালে চড়ের দাগ দাবিতে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, এক নারীর গালে হাতের পাঁচ আঙুলের ছাপ লাল হয়ে রয়েছে।
ছবিটি পোস্ট করে আজ শুক্রবার (৭ জুন) হাবিবুর রহমান নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছন্দ মিলিয়ে লেখা হয়েছে, ‘কঙ্গনার সফেদ গাল। থাপ্পড় মেরে করল লাল।’ গৌরব ব্যানার্জি নামে আরেকটি অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘পাঁচে পঞ্চবাণ। পাঁচে পঞ্চ নদী। পাঁচে পাণ্ডব। পাঁচে কঙ্গনার গাল, দিল খুশ হো গ্যায়া’।
তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনা রনৌতের গাল দাবিতে ভাইরাল ছবিটি মশা তাড়ানোর স্প্রের বিজ্ঞাপনের একজন মডেলের।
বিমানবন্দরে চড়-কাণ্ডের পর দিল্লি পৌঁছে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে এক ভিডিও বার্তায় ঘটনার বর্ণনা দেন কঙ্গনা রনৌত। ৫১ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে কঙ্গনা রনৌতের দুই গাল পর্যবেক্ষণ করে ভাইরাল ছবিটির মতো লাল দাগ দেখা যায়নি।
পরে ভাইরাল ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ‘অ্যাডস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামের একটি ওয়েবসাইটে ভাইরাল ছবিটি পাওয়া যায়। ‘স্ল্যাপ টু’ নামের ছবিটির বর্ণনা থেকে জানা যায়, এটি ‘বায়গন’ নামে একটি মশার স্প্রের বিজ্ঞাপনের জন্য তোলা ছবি। ছবিটি প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালের ৩০ মে। ছবিতে একজন নারী মডেলকে দেখা যাচ্ছে। এই ছবি জুম করলে নারী মডেলটির গালে আঙুলের ছাপ দেখা যায়। সেই ছবিই কঙ্গনা রনৌতের গালের ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
‘কুল মার্কেটিং থটস’ নামের আরেকটি ওয়েবসাইটেও এই ছবি পাওয়া যায়। বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণমূলক নিবন্ধ প্রকাশ করে এই ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটটিতে হাতের পাঁচ আঙুলের ছাপসহ আরও দুজন পুরুষ মডেলের ছবিও রয়েছে। ছবিগুলোর বর্ণনায় এই সাইটে বলা হয়েছে, এটি বায়গনের মশা নিধনকারী স্প্রের একটি বিজ্ঞাপন। এই তিন ব্যক্তির গালেই চড়ের ছাপ দেখা যাচ্ছে। হয় তাঁরা নিজেরাই নিজেদের চড় মেরেছেন অথবা অন্য কেউ তাঁদের চড় মেরেছে। এটি শুনতে খুবই হাস্যকর হলেও (মশার উপদ্রবে) এমনটি কিন্তু ঘটে! সাইটটিতে নারী মডেলের ছবিটিসহ বাকি ছবিগুলো ২০০৬ সালের ৩১ মে প্রকাশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, কঙ্গনা রনৌতকে চড়ের ঘটনায় নারী নিরাপত্তারক্ষী কুলবিন্দর কাউরকে এরই মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ৃন:
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি দৈনিক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা।
১৪ ঘণ্টা আগেভোলার বোরহানউদ্দিনে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি চলাকালে অর্ধশত স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এ শিক্ষার্থীদের দেওয়া টিকাগুলো ‘বিষাক্ত’ ছিল। এর প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
১৮ ঘণ্টা আগেদাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভয়েস অব আমেরিকার ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ‘ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দল বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
২ দিন আগেসোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি মন্তব্যে দাবি করা হচ্ছে, সেনাপ্রধান ওয়াকার–উজ–জামান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা জনগণের লাশের বন্যা ও মৃত্যু চাননি। তাই তিনি পদত্যাগ না করেই ভারতে চলে যান।
৪ দিন আগে