অনলাইন ডেস্ক
গাড়ির ট্যাংক পেট্রোলে পরিপূর্ণ থাকার কারণে পাঁচটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে দাবি করে একটি বার্তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই বার্তায় বিস্ফোরণের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে গাড়ির ট্যাংক অর্ধেক খালি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের তেল কোম্পানি ইন্ডিয়ান অয়েলের নামে এমন একটি গ্রাফিক্স কার্ড ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন বলছে, ওই বার্তাসম্বলিত কার্ডটি তাঁদের নয়, আদৌ এমন কোনো বার্তা তারা দেননি। এটি নিছকই একটি গুজব।
এক ফেসবুক পোস্টে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটি বলেছে, গাড়িনির্মাতারা সবদিক বিবেচনা করেই গাড়ির নকশা প্রস্তুত করে থাকে। তাতে গাড়ির কর্মক্ষমতা, পরিবেশ, নিরাপত্তা-সবকিছুই বিবেচনা করা হয়। ফলে গাড়ির প্রস্তুতকারকদের নির্দেশনামতে, শীত বা গ্রীষ্ম-যে কোনো সময়ই যানবাহনের ট্যাংকে পূর্ণ মাত্রায় তেল ভরা সম্পূর্ণ নিরাপদ।
তবে এই গুজব এবারই প্রথম ছড়ায়নি। এর আগে ২০১৯ সালেও এমন একটি ভুয়া বার্তা ভাইরাল হয়েছিল। তখনও ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন বিবৃতি দিয়ে গুজব খণ্ডন করেছিল।
দাবি
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কার্ডে ইন্ডিয়ান ওয়েল কোম্পানির বরাত দিয়ে লেখা হচ্ছে, ‘সতর্ক করেছে ইন্ডিয়ান ওয়েল, আগামী দিনে তাপমাত্রা বাড়তে চলেছে, তাই সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত আপনার গাড়িতে পেট্রোল ভরবেন না। এটি জ্বালানি ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। অনুগ্রহ করে আপনার গাড়ির অর্ধেক জ্বালানি ট্যাংক পূরণ করুন এবং বাতাসের জন্য জায়গা রাখুন। সর্বোচ্চ পেট্রোল ভরার কারণে চলতি সপ্তাহে ৫টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। অনুগ্রহ করে দিনে একবার পেট্রোল ট্যাংক খুলুন এবং ভেতরে তৈরি গ্যাসটি বেরিয়ে আসতে দিন। দ্রষ্টব্য: আপনার পরিবারের সদস্যদের এবং অন্য সবাইকে এই বার্তাটি পাঠান, যাতে লোকেরা এই দুর্ঘটনা এড়াতে পারে। ধন্যবাদ।’
যাচাইয়ের ফল
আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ইন্ডিয়ান ওয়েল কোম্পানির ওয়েবসাইট ও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুসন্ধান চালিয়ে এমন কোনো বার্তা বা কার্ডের অস্তিত্ব মিলেনি। বরং অনুসন্ধানে দেখা যায়, এমন গুজব আগেও দুইবার ছড়ানো হয়। তখন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সেগুলো খণ্ডন করা হয়।
ইন্ডিয়ান অয়েল সম্প্রতি টুইটে ও ফেইসবুকে এই গুজবের বিষয়ে সতর্ক করে একটি কার্ড শেয়ার করেছে। তাতে লেখা হয়েছে, সোশাল মিডিয়ায় এই মর্মে গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে, তাপমাত্রা বাড়ার কারণে, পূর্ণ মাত্রায় পেট্রোল ভরবেন না। তার ফলে পেট্রোল ট্যাংকে বিস্ফোরণ হতে পারে। আপনি যদি পেট্রোল ভরতে চান, তাহলে অর্ধেক ট্যাঙ্ক ভরুন, যাতে বাকি অংশে হাওয়া থাকতে পারে। ইন্ডিয়ান অয়েল ওই বার্তাটি অস্বীকার করছে এবং বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য ‘আমরা জানাচ্ছি যে, গাড়িনির্মাতারা সব দিক বিচার করেই গাড়ি ডিজাইন করেন। তাতে গাড়ির কর্মক্ষমতা, পরিবেশ, নিরাপত্তা সব কিছুই বিবেচনা করা হয়। পেট্রোল বা ডিজেল গাড়িতে জ্বালানির ট্যাংক তৈরির ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য। ফলে গাড়ির প্রস্তুতকারকের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী জ্বালানি ট্যাঙ্কে পূর্ণ মাত্রায় তেল ভরা সম্পূর্ণ নিরাপদ, তা সে শীত হোক বা গ্রীষ্ম।’
২০১৯ সালের এক ঘটনায় ওই বছর ৩ জুন এবং গতবছরও এমন ভুয়া বার্তাকে খণ্ডন করে বিবৃতি দিয়েছিল ইন্ডিয়ান অয়েল। এবারও কয়েকদিন ধরে এমন বার্তা ছড়াচ্ছিল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।
আরও খবর পড়ুন:
গাড়ির ট্যাংক পেট্রোলে পরিপূর্ণ থাকার কারণে পাঁচটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে দাবি করে একটি বার্তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই বার্তায় বিস্ফোরণের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে গাড়ির ট্যাংক অর্ধেক খালি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের তেল কোম্পানি ইন্ডিয়ান অয়েলের নামে এমন একটি গ্রাফিক্স কার্ড ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন বলছে, ওই বার্তাসম্বলিত কার্ডটি তাঁদের নয়, আদৌ এমন কোনো বার্তা তারা দেননি। এটি নিছকই একটি গুজব।
এক ফেসবুক পোস্টে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটি বলেছে, গাড়িনির্মাতারা সবদিক বিবেচনা করেই গাড়ির নকশা প্রস্তুত করে থাকে। তাতে গাড়ির কর্মক্ষমতা, পরিবেশ, নিরাপত্তা-সবকিছুই বিবেচনা করা হয়। ফলে গাড়ির প্রস্তুতকারকদের নির্দেশনামতে, শীত বা গ্রীষ্ম-যে কোনো সময়ই যানবাহনের ট্যাংকে পূর্ণ মাত্রায় তেল ভরা সম্পূর্ণ নিরাপদ।
তবে এই গুজব এবারই প্রথম ছড়ায়নি। এর আগে ২০১৯ সালেও এমন একটি ভুয়া বার্তা ভাইরাল হয়েছিল। তখনও ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন বিবৃতি দিয়ে গুজব খণ্ডন করেছিল।
দাবি
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কার্ডে ইন্ডিয়ান ওয়েল কোম্পানির বরাত দিয়ে লেখা হচ্ছে, ‘সতর্ক করেছে ইন্ডিয়ান ওয়েল, আগামী দিনে তাপমাত্রা বাড়তে চলেছে, তাই সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত আপনার গাড়িতে পেট্রোল ভরবেন না। এটি জ্বালানি ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। অনুগ্রহ করে আপনার গাড়ির অর্ধেক জ্বালানি ট্যাংক পূরণ করুন এবং বাতাসের জন্য জায়গা রাখুন। সর্বোচ্চ পেট্রোল ভরার কারণে চলতি সপ্তাহে ৫টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। অনুগ্রহ করে দিনে একবার পেট্রোল ট্যাংক খুলুন এবং ভেতরে তৈরি গ্যাসটি বেরিয়ে আসতে দিন। দ্রষ্টব্য: আপনার পরিবারের সদস্যদের এবং অন্য সবাইকে এই বার্তাটি পাঠান, যাতে লোকেরা এই দুর্ঘটনা এড়াতে পারে। ধন্যবাদ।’
যাচাইয়ের ফল
আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ইন্ডিয়ান ওয়েল কোম্পানির ওয়েবসাইট ও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুসন্ধান চালিয়ে এমন কোনো বার্তা বা কার্ডের অস্তিত্ব মিলেনি। বরং অনুসন্ধানে দেখা যায়, এমন গুজব আগেও দুইবার ছড়ানো হয়। তখন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সেগুলো খণ্ডন করা হয়।
ইন্ডিয়ান অয়েল সম্প্রতি টুইটে ও ফেইসবুকে এই গুজবের বিষয়ে সতর্ক করে একটি কার্ড শেয়ার করেছে। তাতে লেখা হয়েছে, সোশাল মিডিয়ায় এই মর্মে গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে, তাপমাত্রা বাড়ার কারণে, পূর্ণ মাত্রায় পেট্রোল ভরবেন না। তার ফলে পেট্রোল ট্যাংকে বিস্ফোরণ হতে পারে। আপনি যদি পেট্রোল ভরতে চান, তাহলে অর্ধেক ট্যাঙ্ক ভরুন, যাতে বাকি অংশে হাওয়া থাকতে পারে। ইন্ডিয়ান অয়েল ওই বার্তাটি অস্বীকার করছে এবং বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য ‘আমরা জানাচ্ছি যে, গাড়িনির্মাতারা সব দিক বিচার করেই গাড়ি ডিজাইন করেন। তাতে গাড়ির কর্মক্ষমতা, পরিবেশ, নিরাপত্তা সব কিছুই বিবেচনা করা হয়। পেট্রোল বা ডিজেল গাড়িতে জ্বালানির ট্যাংক তৈরির ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য। ফলে গাড়ির প্রস্তুতকারকের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী জ্বালানি ট্যাঙ্কে পূর্ণ মাত্রায় তেল ভরা সম্পূর্ণ নিরাপদ, তা সে শীত হোক বা গ্রীষ্ম।’
২০১৯ সালের এক ঘটনায় ওই বছর ৩ জুন এবং গতবছরও এমন ভুয়া বার্তাকে খণ্ডন করে বিবৃতি দিয়েছিল ইন্ডিয়ান অয়েল। এবারও কয়েকদিন ধরে এমন বার্তা ছড়াচ্ছিল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।
আরও খবর পড়ুন:
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি দৈনিক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা।
১৬ ঘণ্টা আগেভোলার বোরহানউদ্দিনে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি চলাকালে অর্ধশত স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এ শিক্ষার্থীদের দেওয়া টিকাগুলো ‘বিষাক্ত’ ছিল। এর প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
২০ ঘণ্টা আগেদাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভয়েস অব আমেরিকার ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ‘ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দল বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
২ দিন আগেসোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি মন্তব্যে দাবি করা হচ্ছে, সেনাপ্রধান ওয়াকার–উজ–জামান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা জনগণের লাশের বন্যা ও মৃত্যু চাননি। তাই তিনি পদত্যাগ না করেই ভারতে চলে যান।
৪ দিন আগে