ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। পরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ২১ জানুয়ারি বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিতে ড. ইউনূস সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু তাঁর এই সফর ঘিরে চলছে নানা আলোচনা। ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করেছেন—দাবিতে একটি ‘পদত্যাগপত্রের’ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ।’
‘শাজাহান খানের সৈনিক’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল (২৪ জানুয়ারি) পোস্ট করা ছবিটি বেশি ছড়িয়েছে। আজকে শনিবার বেলা দেড়টা পর্যন্ত ওই পোস্টে ১৭৯টি রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং এটি ৬১ বার শেয়ার হয়েছে। এতে ১৩টি কমেন্ট পড়েছে। কমেন্টে কেউ কেউ পদত্যাগপত্রটিকে ‘গুজব’ বলে উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকে সত্য ভেবেও মন্তব্য করেছেন। মাসুক মিয়া (Masuk Mia) অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ।’
ছড়িয়ে পড়া পদত্যাগপত্রটি শুরুতে পর্যবেক্ষণ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এতে দেখা যায়, এটি প্রকাশের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২৫ উল্লেখ করা এবং পত্রসংখ্যা হিসেবে ‘১১.০০.২৬৯০.০৮২.৪৬.০২৫.২০২৪.১২৬’ সংখ্যা উল্লেখ করা।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে পড়া পদত্যাগপত্রে থাকা এসব সূত্রে অনুসন্ধান করা হয়। তবে এই বিষয়ে ওয়েবসাইটে থাকা প্রজ্ঞাপন, নোটিশ, অফিস আদেশ ও দরপত্রসেগমেন্টসহ কোথাও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো তথ্য বা পদত্যাগপত্র পাওয়া যায়নি।
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের বিষয়ে গুগলে কি-ওয়ার্ড সার্চ করা হলেও এই বিষয়ে কোনো তথ্য বা সংবাদ প্রদর্শিত হয়নি।
এ ছাড়া ছড়িয়ে পড়া পদত্যাগপত্রের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া প্রজ্ঞাপনের তারিখ ও লেখার উপস্থাপনায় ভিন্নতা পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের বিষয়টি ভুয়া এবং একই দাবিতে তাঁর পদত্যাগপত্রটিও বানোয়াট।
এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরাসরি মন্তব্য দাবি করে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘#ইউনুস_পালাইছে। যদি আমি ফিরে না আসি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন---সুইজারল্যান্ড থেকে ড. ইউনুস।’ যেখানে ড. ইউনূসকে বলতে শোনা যায়, ‘ইফ আই ডন্ট কাম ব্যাক, প্লিজ ফরগিভ মি।’
ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে এতে যমুনা টেলিভিশনের লোগো দেখতে পাওয়া যায়। এসব সূত্র ধরে গুগল সার্চ করলে যমুনা টেলিভিশনের ইউটিউবে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ২৩ জানুয়রি প্রকাশিত হয়।
ভিডিওর ডেস্ক্রিপশন থেকে জানা যায়, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে বিভিন্ন সংস্থার প্রধানসহ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. ইউনূস। সে সময় তিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
ভিডিওটির ১ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড থেকে ১৪ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্যটি পাওয়া যায়। এই সময় তিনি জুলাই আন্দোলনে একজন মায়ের কাছে ১২ বছর বয়সী একজন শিশুর চিঠি লিখে রেখে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর একজন মা তাঁর ১২ বছর বয়সী শিশুর লেখা চিঠি সবার মাঝে পড়ে শুনান। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘মা আপনি আমাকে সব সময় আটকিয়ে রেখেছিলেন, যাতে আমি কখনোই আন্দোলনে যেতে না পারি এবং আমি ঘরে বসে রাগান্বিত হচ্ছিলাম যে কেন আমি যেতে পারছি না। আজকে আমি যাচ্ছি। আমি আপনাকে বিদায় জানাচ্ছি। আমি জানি না, আমি ফিরব কি না। যদি আমি না ফিরি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমার বন্ধুরা সবাই সেখানে আছে, তার সবাই সহসী। আমিও সাহসী।’ (ইংরেজি থেকে বাংলায় অনূদিত)
যমুনা টিভির ইউটিউবে আরেকটি লাইভ ভিডিওতেও একই দৃশ্য পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভিন্ন প্রেক্ষাপটের মন্তব্যের ‘কোট’ তাঁর সরাসরি মন্তব্য দাবিতে ছড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২১ জানুয়ারি বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিতে ড. ইউনূস সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে তিনি মোট ৪৭টি আয়োজনে যোগদান করেন। আজ শনিবার তিনি চার দিনের সফর শেষ করে দেশে ফেরেন তিনি।
সুতরাং, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের তথ্যটি মিথ্যা এবং এই দাবিতে ছড়িয়ে পড়া পদত্যাগপত্রটিও বানোয়াট। পাশাপাশি, তাঁর দেশে ফিরে না আসার দাবিতে ছড়ানো ভিডিও ভিন্ন ঘটনার অন্যজনের উদ্ধৃতি ছিল।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। পরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ২১ জানুয়ারি বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিতে ড. ইউনূস সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু তাঁর এই সফর ঘিরে চলছে নানা আলোচনা। ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করেছেন—দাবিতে একটি ‘পদত্যাগপত্রের’ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ।’
‘শাজাহান খানের সৈনিক’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল (২৪ জানুয়ারি) পোস্ট করা ছবিটি বেশি ছড়িয়েছে। আজকে শনিবার বেলা দেড়টা পর্যন্ত ওই পোস্টে ১৭৯টি রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং এটি ৬১ বার শেয়ার হয়েছে। এতে ১৩টি কমেন্ট পড়েছে। কমেন্টে কেউ কেউ পদত্যাগপত্রটিকে ‘গুজব’ বলে উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকে সত্য ভেবেও মন্তব্য করেছেন। মাসুক মিয়া (Masuk Mia) অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ।’
ছড়িয়ে পড়া পদত্যাগপত্রটি শুরুতে পর্যবেক্ষণ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এতে দেখা যায়, এটি প্রকাশের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২৫ উল্লেখ করা এবং পত্রসংখ্যা হিসেবে ‘১১.০০.২৬৯০.০৮২.৪৬.০২৫.২০২৪.১২৬’ সংখ্যা উল্লেখ করা।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে পড়া পদত্যাগপত্রে থাকা এসব সূত্রে অনুসন্ধান করা হয়। তবে এই বিষয়ে ওয়েবসাইটে থাকা প্রজ্ঞাপন, নোটিশ, অফিস আদেশ ও দরপত্রসেগমেন্টসহ কোথাও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো তথ্য বা পদত্যাগপত্র পাওয়া যায়নি।
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের বিষয়ে গুগলে কি-ওয়ার্ড সার্চ করা হলেও এই বিষয়ে কোনো তথ্য বা সংবাদ প্রদর্শিত হয়নি।
এ ছাড়া ছড়িয়ে পড়া পদত্যাগপত্রের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া প্রজ্ঞাপনের তারিখ ও লেখার উপস্থাপনায় ভিন্নতা পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের বিষয়টি ভুয়া এবং একই দাবিতে তাঁর পদত্যাগপত্রটিও বানোয়াট।
এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরাসরি মন্তব্য দাবি করে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘#ইউনুস_পালাইছে। যদি আমি ফিরে না আসি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন---সুইজারল্যান্ড থেকে ড. ইউনুস।’ যেখানে ড. ইউনূসকে বলতে শোনা যায়, ‘ইফ আই ডন্ট কাম ব্যাক, প্লিজ ফরগিভ মি।’
ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে এতে যমুনা টেলিভিশনের লোগো দেখতে পাওয়া যায়। এসব সূত্র ধরে গুগল সার্চ করলে যমুনা টেলিভিশনের ইউটিউবে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ২৩ জানুয়রি প্রকাশিত হয়।
ভিডিওর ডেস্ক্রিপশন থেকে জানা যায়, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে বিভিন্ন সংস্থার প্রধানসহ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. ইউনূস। সে সময় তিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
ভিডিওটির ১ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড থেকে ১৪ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্যটি পাওয়া যায়। এই সময় তিনি জুলাই আন্দোলনে একজন মায়ের কাছে ১২ বছর বয়সী একজন শিশুর চিঠি লিখে রেখে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর একজন মা তাঁর ১২ বছর বয়সী শিশুর লেখা চিঠি সবার মাঝে পড়ে শুনান। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘মা আপনি আমাকে সব সময় আটকিয়ে রেখেছিলেন, যাতে আমি কখনোই আন্দোলনে যেতে না পারি এবং আমি ঘরে বসে রাগান্বিত হচ্ছিলাম যে কেন আমি যেতে পারছি না। আজকে আমি যাচ্ছি। আমি আপনাকে বিদায় জানাচ্ছি। আমি জানি না, আমি ফিরব কি না। যদি আমি না ফিরি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমার বন্ধুরা সবাই সেখানে আছে, তার সবাই সহসী। আমিও সাহসী।’ (ইংরেজি থেকে বাংলায় অনূদিত)
যমুনা টিভির ইউটিউবে আরেকটি লাইভ ভিডিওতেও একই দৃশ্য পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভিন্ন প্রেক্ষাপটের মন্তব্যের ‘কোট’ তাঁর সরাসরি মন্তব্য দাবিতে ছড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২১ জানুয়ারি বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিতে ড. ইউনূস সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে তিনি মোট ৪৭টি আয়োজনে যোগদান করেন। আজ শনিবার তিনি চার দিনের সফর শেষ করে দেশে ফেরেন তিনি।
সুতরাং, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের তথ্যটি মিথ্যা এবং এই দাবিতে ছড়িয়ে পড়া পদত্যাগপত্রটিও বানোয়াট। পাশাপাশি, তাঁর দেশে ফিরে না আসার দাবিতে ছড়ানো ভিডিও ভিন্ন ঘটনার অন্যজনের উদ্ধৃতি ছিল।
সামরিক পোশাক পরা এবং সাধারণ পোশাক পরা লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি চলছে। এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে।
১ দিন আগেছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এর পর থেকে মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে নানা তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তেমনি একটি তথ্য...
১ দিন আগেকক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, ভিডিওতে থাকা তরুণী পর্যটক ছিলেন। তাঁর গাড়ি থামিয়ে ছিনতাই...
২ দিন আগেহাসনাত আব্দুল্লাহ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন- এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। মোহাম্মদ জয়নাল আবদিয়ান সরকার (Md. Joynal Abdian Sarkar) নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট হওয়া ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা...
৩ দিন আগে