ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানেগত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই আলোচনায় টাকা থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গটি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ১০০ টাকার নোটের দুটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, বাজারে বঙ্গবন্ধুর ছবিমুক্ত নতুন নোট আসতে শুরু করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রীর নামে খোলা একটি ফেসবুক পেজ থেকে আজ শনিবার বিকেলে ছবি দুটি পোস্ট করা হয়। নোটের ছবিতে একপাশে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় অবস্থিত তারা মসজিদের ও অন্যপাশে লালবাগ কেল্লার ছবি রয়েছে। পোস্টটিতে ঘণ্টা দুয়েকের ব্যবধানে দুই হাজারের বেশি রিয়েকশন পড়েছে; শেয়ার হয়েছে শতের কাছাকাছি।
বাজারে কি বঙ্গবন্ধুর ছবিমুক্ত নতুন নোট এসেছে?
বাংলাদেশের ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, দেশে দুই ধরনের কাগুজে মুদ্রা বা নোট আছে। এগুলো হলো সরকারি নোট ও ব্যাংক নোট। সরকারি নোট হলো সরকার কর্তৃক প্রচলিত মুদ্রা, যা অর্থ মন্ত্রণালয় ইস্যু করে। এ ধরনের নোটে অর্থসচিবের স্বাক্ষর থাকে। আর ব্যাংক নোট ইস্যু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এতে গভর্নরের স্বাক্ষর থাকে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভাইরাল ১০০ টাকার নোটটি যাচাই করে দেখা যায়, নোটটিতে গভর্নর হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে লুৎফর রহমান সরকারের। লুৎফর রহমান ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৩ সালের ২৪ জুন মারা যান। গত ১৩ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর হচ্ছেন ড. আহসান এইচ মনসুর। স্বভাবতই বাজারে নতুন নোট এলে সে নোটে বর্তমান গভর্নরের স্বাক্ষর থাকবে। সেখানে প্রায় দুই যুগেরও বেশি আগে দায়িত্ব পালন করা প্রয়াত একজন গভর্নরের স্বাক্ষর থাকা অস্বাভাবিক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট খুঁজে দেখা যায়, ফেসবুকে ভাইরাল ১০০ টাকার নোটটি প্রথম বাজারে আসে ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে। নোটটিতে কিছু পরিবর্তন করে পুনরায় ১৯৮৩ সালের জানুয়ারিতে বাজারে ছাড়া হয়। এসবের বাইরে বাজারে বঙ্গবন্ধুর ছবিমুক্ত নতুন নোট আসার ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরে দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পাবলিকেশনস বিভাগের পরিচালক সাইদা খানমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন কোনো নোট ছাপায়নি।’
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই আলোচনায় ছিল টাকা থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গটি। এ প্রসঙ্গে গত ২০ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দেওয়া ও নতুন গভর্নরের সই করা নোট শিগগিরই আসবে কি না এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সংবাদমাধ্যমকে জানান, যখন টাঁকশালে নোট বানানোর প্রয়োজন হবে তখন নোট ছাপানো হবে, সই যাবে।
তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ২০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট ছাপাতে চায় বলেও সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। নতুন নোট বাজারে আসতে দেড় বছরের বেশি সময় লাগতে পারে। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে নতুন নোটের বিস্তারিত নকশার প্রস্তাব জমা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো বাজারে ১, ৫, ১০ ও ১০০ টাকার নোট ছাড়া হয়। এসব নোটের মধ্যে ১, ১০ ও ১০০ টাকার নোটে শেখ মুজিবের ছবি ছিল। পরে বিভিন্ন সরকারের সময়ে নতুন নতুন নোট প্রচলনের পাশাপাশি পুরোনো নোটগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি–সংবলিত ৫০০ টাকার নোট ছাপে।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানেগত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই আলোচনায় টাকা থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গটি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ১০০ টাকার নোটের দুটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, বাজারে বঙ্গবন্ধুর ছবিমুক্ত নতুন নোট আসতে শুরু করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রীর নামে খোলা একটি ফেসবুক পেজ থেকে আজ শনিবার বিকেলে ছবি দুটি পোস্ট করা হয়। নোটের ছবিতে একপাশে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় অবস্থিত তারা মসজিদের ও অন্যপাশে লালবাগ কেল্লার ছবি রয়েছে। পোস্টটিতে ঘণ্টা দুয়েকের ব্যবধানে দুই হাজারের বেশি রিয়েকশন পড়েছে; শেয়ার হয়েছে শতের কাছাকাছি।
বাজারে কি বঙ্গবন্ধুর ছবিমুক্ত নতুন নোট এসেছে?
বাংলাদেশের ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, দেশে দুই ধরনের কাগুজে মুদ্রা বা নোট আছে। এগুলো হলো সরকারি নোট ও ব্যাংক নোট। সরকারি নোট হলো সরকার কর্তৃক প্রচলিত মুদ্রা, যা অর্থ মন্ত্রণালয় ইস্যু করে। এ ধরনের নোটে অর্থসচিবের স্বাক্ষর থাকে। আর ব্যাংক নোট ইস্যু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এতে গভর্নরের স্বাক্ষর থাকে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভাইরাল ১০০ টাকার নোটটি যাচাই করে দেখা যায়, নোটটিতে গভর্নর হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে লুৎফর রহমান সরকারের। লুৎফর রহমান ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৩ সালের ২৪ জুন মারা যান। গত ১৩ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর হচ্ছেন ড. আহসান এইচ মনসুর। স্বভাবতই বাজারে নতুন নোট এলে সে নোটে বর্তমান গভর্নরের স্বাক্ষর থাকবে। সেখানে প্রায় দুই যুগেরও বেশি আগে দায়িত্ব পালন করা প্রয়াত একজন গভর্নরের স্বাক্ষর থাকা অস্বাভাবিক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট খুঁজে দেখা যায়, ফেসবুকে ভাইরাল ১০০ টাকার নোটটি প্রথম বাজারে আসে ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে। নোটটিতে কিছু পরিবর্তন করে পুনরায় ১৯৮৩ সালের জানুয়ারিতে বাজারে ছাড়া হয়। এসবের বাইরে বাজারে বঙ্গবন্ধুর ছবিমুক্ত নতুন নোট আসার ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরে দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পাবলিকেশনস বিভাগের পরিচালক সাইদা খানমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন কোনো নোট ছাপায়নি।’
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই আলোচনায় ছিল টাকা থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গটি। এ প্রসঙ্গে গত ২০ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দেওয়া ও নতুন গভর্নরের সই করা নোট শিগগিরই আসবে কি না এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সংবাদমাধ্যমকে জানান, যখন টাঁকশালে নোট বানানোর প্রয়োজন হবে তখন নোট ছাপানো হবে, সই যাবে।
তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ২০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট ছাপাতে চায় বলেও সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। নতুন নোট বাজারে আসতে দেড় বছরের বেশি সময় লাগতে পারে। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে নতুন নোটের বিস্তারিত নকশার প্রস্তাব জমা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো বাজারে ১, ৫, ১০ ও ১০০ টাকার নোট ছাড়া হয়। এসব নোটের মধ্যে ১, ১০ ও ১০০ টাকার নোটে শেখ মুজিবের ছবি ছিল। পরে বিভিন্ন সরকারের সময়ে নতুন নতুন নোট প্রচলনের পাশাপাশি পুরোনো নোটগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি–সংবলিত ৫০০ টাকার নোট ছাপে।
সম্প্রতি শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া একটি অডিও কল নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আজ শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতাল পালন করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে প্রত্যেক এলাকায় মিছিল-মিটিংয়ের আয়োজনের কথা বলতে শোনা যায়। তবে শেখ হাসিনার পরিবার কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতালের বিষয়ে এখনও কিছু
১৯ মিনিট আগেএকটি কার্ডে ‘সেইফ এক্সিট চেয়ে দেশ ছাড়তে চান ড. ইউনুস, পাইলস জনিত রোগ তীব্র আকার ধারন’ এবং আরেকটিতে ‘পাইলস জনিত রোগে উন্নত চিকিৎসায় আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা’—এমন লেখা রয়েছে। পরের কার্ডে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বরাত দেওয়া হয়েছে।
২ দিন আগেশেখ হাসিনা ভারতে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছেন, এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা আছে, ‘ভারতে প্রথমবার প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
৩ দিন আগেড. মুহাম্মদ ইউনূসের কিছু লোক মানুষকে নির্যাতন করছে— এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘ডঃ ইউনূস ক্ষমতা দখলের পর বাংলাদেশ একটি ভয়ঙ্কর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। সে ও তার গুন্ডা দল জনগণকে নির্যাতন করছে। (বাংলায় অনুদিত) ’ ভিডিওতে একজন ব্যক্তিকে কয়েকজন মিলে মারধর করতে দেখ
৪ দিন আগে