ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করে ক্যাপশনে লেখা হচ্ছে, ‘মাওলানা ইব্রাহিমের ওপর ভারতের হামলা, ইলিয়াস হোসেন।’
গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত ইসলামিক বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহিমকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে দাবি করেন, ভারতের ‘গুন্ডা’রা তাঁর লালমাটিয়ার বাসায় হানা দিয়েছে। ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা এই লাইভে তিনি বলেন, ‘র’-এর রাজাকার, সন্ত্রাসীরা তাঁর বাসা ঘেরাও করেছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মূলত ওই লাইভ ভিডিওকে কেন্দ্র করেই তৈরি করা। ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ ও আইডিতে অসংখ্যবার শেয়ার হয়েছে ভিডিওটি। এসব পোস্টের মন্তব্য পড়ে দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষই তথ্যগুলো বিশ্বাস করছেন। তাঁরা ভিডিওতে দেওয়া তথ্যগুলো সঠিক বলে মনে করছেন।
কী আছে ভাইরাল ভিডিওতে
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শুরুতে ইলিয়াস হোসেন নামের বিতর্কিত এক ব্যক্তি উপস্থাপকের ঢং-এ বলছেন, ‘আমার সমস্যা একটা জায়গায়, আর সেই জায়গাটা হচ্ছে ভারত।’ এই বাক্যটির পরই আরেকজন ব্যক্তিকে উপস্থাপকের ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়।
ওই উপস্থাপক বলেন, ‘সুপ্রিয় দর্শক, আমাদের বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক চাকরি করে। এ বিষয়টা কেমনে হয়? আমাদের বাংলাদেশের মানুষ দু-বেলা দু-মুঠো খাবারের জন্য চাকরি পায় না। তারপরও আমাদের বাংলাদেশে ওপরের লেভেলে ভারতের নাগরিক কীভাবে চাকরি করে?’
১৫ মিনিট ৯ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের এই ভিডিওর বাকি অংশে গত ২৮ সেপ্টেম্বর মুফতি কাজী ইব্রাহিম নামের পেজে প্রচারিত লাইভ ভিডিওটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় জনৈক উপস্থাপককেও ভিডিওর আরেক পাশে দেখা যায়।
ভিডিওর শেষ দিকে ওই উপস্থাপক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এভাবে ভারতীয় নাগরিক ঢুকে গেছে। তাই নিজে সতর্ক থাকবেন, অন্যকেও সতর্ক রাখবেন। বাংলাদেশের পুলিশ, প্রশাসন—সর্বত্র চাকরি করে ভারতীয় নাগরিক।’
ভাইরাল ভিডিওর উৎস ও বিভ্রান্তি
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মূলত জি টিভি ওয়ান নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। এর পর ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও আইডিতে ছড়িয়ে পড়ে। বেশির ভাগ পোস্টে দেখা যায়, মন্তব্যের ঘরে অ্যাডমিনের পক্ষ থেকে ভিডিওটি অন্তত ২০টি গ্রুপে পোস্ট করতে বলা হচ্ছে।
ভাইরাল ভিডিওর উৎস মুফতি কাজী ইব্রাহিমের লাইভ ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী নানা উসকানিমূলক বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সদুত্তর দিতে না পারলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘মুফতি ইব্রাহিম প্রায়শই বলেন, এ দেশ হিন্দুস্তানি দালাল, ‘র’-এর এজেন্টে ভরে গেছে। সেগুলো নিয়েই আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করব।’
আটকের পর ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘মুফতি ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ ছিল। তিনি ফেসবুক, ইউটিউব ও ওয়াজে উল্টাপাল্টা কথা বলেন। তাঁর এসব কথার জন্য মানুষের কাছে ভুল মেসেজ যায়। ওই সব অভিযোগ যাচাই করতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি।’
আটকের পর দুটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই দুটি মামলার একটি করেছেন জেড এম রানা নামের এক ব্যক্তি। তিনি মুফতি ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘উগ্র’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন জানান, উগ্রবাদী ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারের আগে কৌশল হিসেবে ফেসবুকে এসে তিনি লাইভ ভিডিও প্রচার করেন এবং নানারকম বিভ্রান্তিকর তথ্য দিতে থাকেন। মুফতি কাজী ইব্রাহিমের ওই লাইভ ভিডিওতে করা দাবিগুলোর একটিও প্রমাণিত নয়।
বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের নানা অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ভারত ও অন্যান্য দেশের হস্তক্ষেপের বিষয়ে এর আগেও মুফতি ইব্রাহিমকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই তিনি কথাগুলো বলতেন। করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সিদ্ধান্ত
আটক মুফতি ইব্রাহিমের বিতর্কিত ও বিভ্রান্তিকর ভিডিওর দাবিকে কেন্দ্র করে নতুন আরেকটি ভিডিও নির্মাণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। দেশের সরকারি চাকরির উচ্চপর্যায়ে ভারতীয় নাগরিক চাকরি করছে—এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ ওই ভিডিওতে দেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করে ক্যাপশনে লেখা হচ্ছে, ‘মাওলানা ইব্রাহিমের ওপর ভারতের হামলা, ইলিয়াস হোসেন।’
গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত ইসলামিক বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহিমকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে দাবি করেন, ভারতের ‘গুন্ডা’রা তাঁর লালমাটিয়ার বাসায় হানা দিয়েছে। ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা এই লাইভে তিনি বলেন, ‘র’-এর রাজাকার, সন্ত্রাসীরা তাঁর বাসা ঘেরাও করেছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মূলত ওই লাইভ ভিডিওকে কেন্দ্র করেই তৈরি করা। ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ ও আইডিতে অসংখ্যবার শেয়ার হয়েছে ভিডিওটি। এসব পোস্টের মন্তব্য পড়ে দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষই তথ্যগুলো বিশ্বাস করছেন। তাঁরা ভিডিওতে দেওয়া তথ্যগুলো সঠিক বলে মনে করছেন।
কী আছে ভাইরাল ভিডিওতে
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শুরুতে ইলিয়াস হোসেন নামের বিতর্কিত এক ব্যক্তি উপস্থাপকের ঢং-এ বলছেন, ‘আমার সমস্যা একটা জায়গায়, আর সেই জায়গাটা হচ্ছে ভারত।’ এই বাক্যটির পরই আরেকজন ব্যক্তিকে উপস্থাপকের ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়।
ওই উপস্থাপক বলেন, ‘সুপ্রিয় দর্শক, আমাদের বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক চাকরি করে। এ বিষয়টা কেমনে হয়? আমাদের বাংলাদেশের মানুষ দু-বেলা দু-মুঠো খাবারের জন্য চাকরি পায় না। তারপরও আমাদের বাংলাদেশে ওপরের লেভেলে ভারতের নাগরিক কীভাবে চাকরি করে?’
১৫ মিনিট ৯ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের এই ভিডিওর বাকি অংশে গত ২৮ সেপ্টেম্বর মুফতি কাজী ইব্রাহিম নামের পেজে প্রচারিত লাইভ ভিডিওটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় জনৈক উপস্থাপককেও ভিডিওর আরেক পাশে দেখা যায়।
ভিডিওর শেষ দিকে ওই উপস্থাপক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এভাবে ভারতীয় নাগরিক ঢুকে গেছে। তাই নিজে সতর্ক থাকবেন, অন্যকেও সতর্ক রাখবেন। বাংলাদেশের পুলিশ, প্রশাসন—সর্বত্র চাকরি করে ভারতীয় নাগরিক।’
ভাইরাল ভিডিওর উৎস ও বিভ্রান্তি
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মূলত জি টিভি ওয়ান নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। এর পর ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও আইডিতে ছড়িয়ে পড়ে। বেশির ভাগ পোস্টে দেখা যায়, মন্তব্যের ঘরে অ্যাডমিনের পক্ষ থেকে ভিডিওটি অন্তত ২০টি গ্রুপে পোস্ট করতে বলা হচ্ছে।
ভাইরাল ভিডিওর উৎস মুফতি কাজী ইব্রাহিমের লাইভ ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী নানা উসকানিমূলক বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সদুত্তর দিতে না পারলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘মুফতি ইব্রাহিম প্রায়শই বলেন, এ দেশ হিন্দুস্তানি দালাল, ‘র’-এর এজেন্টে ভরে গেছে। সেগুলো নিয়েই আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করব।’
আটকের পর ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘মুফতি ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ ছিল। তিনি ফেসবুক, ইউটিউব ও ওয়াজে উল্টাপাল্টা কথা বলেন। তাঁর এসব কথার জন্য মানুষের কাছে ভুল মেসেজ যায়। ওই সব অভিযোগ যাচাই করতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি।’
আটকের পর দুটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই দুটি মামলার একটি করেছেন জেড এম রানা নামের এক ব্যক্তি। তিনি মুফতি ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘উগ্র’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন জানান, উগ্রবাদী ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারের আগে কৌশল হিসেবে ফেসবুকে এসে তিনি লাইভ ভিডিও প্রচার করেন এবং নানারকম বিভ্রান্তিকর তথ্য দিতে থাকেন। মুফতি কাজী ইব্রাহিমের ওই লাইভ ভিডিওতে করা দাবিগুলোর একটিও প্রমাণিত নয়।
বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের নানা অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ভারত ও অন্যান্য দেশের হস্তক্ষেপের বিষয়ে এর আগেও মুফতি ইব্রাহিমকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই তিনি কথাগুলো বলতেন। করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সিদ্ধান্ত
আটক মুফতি ইব্রাহিমের বিতর্কিত ও বিভ্রান্তিকর ভিডিওর দাবিকে কেন্দ্র করে নতুন আরেকটি ভিডিও নির্মাণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। দেশের সরকারি চাকরির উচ্চপর্যায়ে ভারতীয় নাগরিক চাকরি করছে—এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ ওই ভিডিওতে দেওয়া হয়নি।
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি দৈনিক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা।
১৬ ঘণ্টা আগেভোলার বোরহানউদ্দিনে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি চলাকালে অর্ধশত স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এ শিক্ষার্থীদের দেওয়া টিকাগুলো ‘বিষাক্ত’ ছিল। এর প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
২০ ঘণ্টা আগেদাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভয়েস অব আমেরিকার ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ‘ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দল বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
২ দিন আগেসোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি মন্তব্যে দাবি করা হচ্ছে, সেনাপ্রধান ওয়াকার–উজ–জামান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা জনগণের লাশের বন্যা ও মৃত্যু চাননি। তাই তিনি পদত্যাগ না করেই ভারতে চলে যান।
৪ দিন আগে