ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
টম অ্যান্ড জেরি কার্টুন দেখেননি বা এখনো দেখেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই কার্টুনের বহুল প্রচলিত দৃশ্যে টম কখনো দুধের বোতল থেকে, কখনোবা পেয়ালাতে মুখ ডুবিয়ে দুধ পান করছে। আবার যাঁরা বাসাবাড়িতে বিড়াল পালেন, তাঁরাও তাঁদের প্রিয় পোষা বিড়ালটির খাবারের তালিকায় দুধ রাখেন। কিন্তু দুধ কি বিড়ালের জন্য নিরাপদ?
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্স যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় পশুচিকিৎসাবিষয়ক দাতব্য সংস্থা পিপলস ডিসপেনসারি ফর সিক অ্যানিমেলসের বরাত দিয়ে জানায়, বিড়ালকে দুধ পান করতে দেওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বিড়ালের মায়ের দুধ ছাড়া অন্য দুধ হজম করার ক্ষমতা হারিয়ে যায়।
যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব ফেলাইন মেডিসিনের প্রধান নাথালি ডাওগ্রে লাইভ সায়েন্সকে বলেন, মায়ের দুধ ছাড়ার পর বেশির ভাগ বিড়ালের ল্যাকটোজ হজম করার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে বিড়ালের দুধ হজমে সমস্যা হতে পারে এবং ডায়রিয়া বা বমির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
পিপলস ডিসপেনসারি ফর সিক অ্যানিমেলসে ওয়েবসাইটে জানা যায়, জনপ্রিয় প্রচলিত ধারণা থেকে বিড়ালকে দুধ খাওয়ানো হয়। কিন্তু এতে ক্ষতি হয়। পশু চিকিৎসকেরা সব সময় বিড়ালকে দুধ দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। প্রকৃতপক্ষে মায়ের দুধ ছাড়া বিড়ালের সুস্বাস্থ্যের জন্য অন্য দুধের প্রয়োজন নেই; বিশেষ করে গরুর দুধ বেশি ক্ষতিকর।
বিড়াল কেন দুধ পছন্দ করে, এমন প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের শার্লটসভিল ক্যাট কেয়ার ক্লিনিক জানায়, চর্বি ও প্রোটিন থাকায় দুধসহ দুগ্ধজাত খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয় বিড়াল।
বিড়ালের দুধ পান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পোষা প্রাণীদের হাসপাতাল আরবর পেট হাসপাতাল জানায়, বিড়ালকে দুধ দিতে হবে, এটি প্রচলিত ভুল ধারণা। বিড়াল বাচ্চা অবস্থায় তাদের মায়ের দুধ পান করে বেড়ে ওঠে। বিড়াল ৮ সপ্তাহ বয়স থেকে শক্ত খাবার খেতে শুরু করে। দুধ ছাড়ার পর অধিকাংশ বিড়াল ল্যাকটোজ বা দুধজাতীয় খাবার হজম করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে দুধ পানের পর তারা গ্যাস্ট্রিক, ডায়ারিয়া ও বমির মতো সমস্যায় ভোগে।
বিড়াল মাংসাশী প্রাণী বলে এদের খাদ্যতালিকায় সাধারণত মাংসজাতীয় খাবার থাকে। সাধারণভাবে বিড়ালের বেশি প্রোটিন, কম কার্বোহাইড্রেট ও মাঝারি চর্বিযুক্ত খাবারের প্রয়োজন হয়। সর্বোপরি বিড়ালের দুধ পান করার বাস্তব প্রয়োজন নেই; বরং এটি তাদের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার বেউ সাউথ অ্যানিমেল হাসপাতাল বলছে, কুকুরের মতো বিড়ালও মাংসাশী প্রাণী। অর্থাৎ তারা শুধু মাংসজাতীয় খাদ্যের ওপরই নির্ভরশীল। কোনো উদ্ভিজ্জ, শস্য বা দুগ্ধজাত খাবারের তাদের প্রয়োজন হয় না। বিড়ালের জন্য গরুর দুধপানের সুপারিশ করা হয় না। কারণ, গরুর দুধে ল্যাকটোজ থাকে এবং বেশির ভাগ বিড়াল ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু হওয়ায় এটি সঠিকভাবে হজম করতে পারে না। ফলে বিড়াল ডায়রিয়া ও বমির মতো সমস্যায় ভুগতে পারে।
বিড়ালের স্বাস্থ্যের জন্য দুধ উপকারী কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে পোষা প্রাণিবিষয়ক ওয়েবসাইট পেটমেড জানায়, বিড়ালের জন্য গরুর দুধ উপযোগী নয়। কারণ, অধিকাংশ বিড়াল দুধে থাকা ল্যাকটোজ হজম করতে পারে না। আবার কিছু বিড়াল হজম করতে পারলেও তাদের জন্য দুধ স্বাস্থ্যকর না। কারণ, গরুর দুধে অতিরিক্ত চর্বি থাকে, যা বিড়ালের প্রাত্যহিক খাদ্যতালিকায় থাকলে তা বিড়ালের স্থূলতাসহ দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে এ ধরনের বিড়ালকে সপ্তাহে এক থেকে দুই টেবিল চামচ দুধ পান করানো যেতে পারে।
সিদ্ধান্ত
বিড়ালের দুধ পান করা কার্টুন, ছবি, বিজ্ঞাপনের পরিচিত দৃশ্য হলেও প্রাণিবিশেষজ্ঞরা বলেন, বিড়ালের দুধ পান করার ব্যাপারটি প্রচলিত ধারণা। প্রকৃতপক্ষে বিড়াল মাংসাশী প্রাণী এবং অধিকাংশ বিড়াল দুধে থাকা ল্যাকটোজ হজম করতে পারে না। ফলে বিড়ালকে দুধ দেওয়া হলে দেহে নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সর্বোপরি, বিড়ালের খাবারে দুধের প্রয়োজন নেই।
টম অ্যান্ড জেরি কার্টুন দেখেননি বা এখনো দেখেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই কার্টুনের বহুল প্রচলিত দৃশ্যে টম কখনো দুধের বোতল থেকে, কখনোবা পেয়ালাতে মুখ ডুবিয়ে দুধ পান করছে। আবার যাঁরা বাসাবাড়িতে বিড়াল পালেন, তাঁরাও তাঁদের প্রিয় পোষা বিড়ালটির খাবারের তালিকায় দুধ রাখেন। কিন্তু দুধ কি বিড়ালের জন্য নিরাপদ?
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্স যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় পশুচিকিৎসাবিষয়ক দাতব্য সংস্থা পিপলস ডিসপেনসারি ফর সিক অ্যানিমেলসের বরাত দিয়ে জানায়, বিড়ালকে দুধ পান করতে দেওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বিড়ালের মায়ের দুধ ছাড়া অন্য দুধ হজম করার ক্ষমতা হারিয়ে যায়।
যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব ফেলাইন মেডিসিনের প্রধান নাথালি ডাওগ্রে লাইভ সায়েন্সকে বলেন, মায়ের দুধ ছাড়ার পর বেশির ভাগ বিড়ালের ল্যাকটোজ হজম করার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে বিড়ালের দুধ হজমে সমস্যা হতে পারে এবং ডায়রিয়া বা বমির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
পিপলস ডিসপেনসারি ফর সিক অ্যানিমেলসে ওয়েবসাইটে জানা যায়, জনপ্রিয় প্রচলিত ধারণা থেকে বিড়ালকে দুধ খাওয়ানো হয়। কিন্তু এতে ক্ষতি হয়। পশু চিকিৎসকেরা সব সময় বিড়ালকে দুধ দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। প্রকৃতপক্ষে মায়ের দুধ ছাড়া বিড়ালের সুস্বাস্থ্যের জন্য অন্য দুধের প্রয়োজন নেই; বিশেষ করে গরুর দুধ বেশি ক্ষতিকর।
বিড়াল কেন দুধ পছন্দ করে, এমন প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের শার্লটসভিল ক্যাট কেয়ার ক্লিনিক জানায়, চর্বি ও প্রোটিন থাকায় দুধসহ দুগ্ধজাত খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয় বিড়াল।
বিড়ালের দুধ পান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পোষা প্রাণীদের হাসপাতাল আরবর পেট হাসপাতাল জানায়, বিড়ালকে দুধ দিতে হবে, এটি প্রচলিত ভুল ধারণা। বিড়াল বাচ্চা অবস্থায় তাদের মায়ের দুধ পান করে বেড়ে ওঠে। বিড়াল ৮ সপ্তাহ বয়স থেকে শক্ত খাবার খেতে শুরু করে। দুধ ছাড়ার পর অধিকাংশ বিড়াল ল্যাকটোজ বা দুধজাতীয় খাবার হজম করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে দুধ পানের পর তারা গ্যাস্ট্রিক, ডায়ারিয়া ও বমির মতো সমস্যায় ভোগে।
বিড়াল মাংসাশী প্রাণী বলে এদের খাদ্যতালিকায় সাধারণত মাংসজাতীয় খাবার থাকে। সাধারণভাবে বিড়ালের বেশি প্রোটিন, কম কার্বোহাইড্রেট ও মাঝারি চর্বিযুক্ত খাবারের প্রয়োজন হয়। সর্বোপরি বিড়ালের দুধ পান করার বাস্তব প্রয়োজন নেই; বরং এটি তাদের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার বেউ সাউথ অ্যানিমেল হাসপাতাল বলছে, কুকুরের মতো বিড়ালও মাংসাশী প্রাণী। অর্থাৎ তারা শুধু মাংসজাতীয় খাদ্যের ওপরই নির্ভরশীল। কোনো উদ্ভিজ্জ, শস্য বা দুগ্ধজাত খাবারের তাদের প্রয়োজন হয় না। বিড়ালের জন্য গরুর দুধপানের সুপারিশ করা হয় না। কারণ, গরুর দুধে ল্যাকটোজ থাকে এবং বেশির ভাগ বিড়াল ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু হওয়ায় এটি সঠিকভাবে হজম করতে পারে না। ফলে বিড়াল ডায়রিয়া ও বমির মতো সমস্যায় ভুগতে পারে।
বিড়ালের স্বাস্থ্যের জন্য দুধ উপকারী কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে পোষা প্রাণিবিষয়ক ওয়েবসাইট পেটমেড জানায়, বিড়ালের জন্য গরুর দুধ উপযোগী নয়। কারণ, অধিকাংশ বিড়াল দুধে থাকা ল্যাকটোজ হজম করতে পারে না। আবার কিছু বিড়াল হজম করতে পারলেও তাদের জন্য দুধ স্বাস্থ্যকর না। কারণ, গরুর দুধে অতিরিক্ত চর্বি থাকে, যা বিড়ালের প্রাত্যহিক খাদ্যতালিকায় থাকলে তা বিড়ালের স্থূলতাসহ দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে এ ধরনের বিড়ালকে সপ্তাহে এক থেকে দুই টেবিল চামচ দুধ পান করানো যেতে পারে।
সিদ্ধান্ত
বিড়ালের দুধ পান করা কার্টুন, ছবি, বিজ্ঞাপনের পরিচিত দৃশ্য হলেও প্রাণিবিশেষজ্ঞরা বলেন, বিড়ালের দুধ পান করার ব্যাপারটি প্রচলিত ধারণা। প্রকৃতপক্ষে বিড়াল মাংসাশী প্রাণী এবং অধিকাংশ বিড়াল দুধে থাকা ল্যাকটোজ হজম করতে পারে না। ফলে বিড়ালকে দুধ দেওয়া হলে দেহে নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সর্বোপরি, বিড়ালের খাবারে দুধের প্রয়োজন নেই।
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি দৈনিক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা।
১৮ ঘণ্টা আগেভোলার বোরহানউদ্দিনে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি চলাকালে অর্ধশত স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এ শিক্ষার্থীদের দেওয়া টিকাগুলো ‘বিষাক্ত’ ছিল। এর প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
১ দিন আগেদাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভয়েস অব আমেরিকার ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ‘ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দল বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
২ দিন আগেসোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি মন্তব্যে দাবি করা হচ্ছে, সেনাপ্রধান ওয়াকার–উজ–জামান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা জনগণের লাশের বন্যা ও মৃত্যু চাননি। তাই তিনি পদত্যাগ না করেই ভারতে চলে যান।
৪ দিন আগে