ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ষাঁড় লাল রং দেখলে খেপে যায়, তাড়া করে লাল রংধারী ব্যক্তিকে—এই ভয়ে অনেকেই ছোটবেলায় লাল কাপড় পরে ষাঁড়ের সামনে যেতে ভয় পেতেন। বড় হয়ে অনেক সিনেমা-গল্পেও দেখেছেন এমন দৃশ্য। কেউ কেউ দেখেছেন, স্পেনের বিখ্যাত বুলফাইটিং বা ষাঁড়ের লড়াইয়ে লাল রঙের কাপড় দেখে তেড়ে-ফুঁড়ে আসছে ম্যাটাডোরের (যিনি ষাঁড় লড়াইয়ের খেলা দেখান) দিকে। ইন্টারনেটের এ যুগে সোশ্যাল মিডিয়াতেও নানা সময় প্রচার হয়, ষাঁড় লাল রং দেখলে রেগে যায়। কিন্তু আসলেই কি ষাঁড় লাল রং দেখে রেগে যায়? এই ধারণার পেছনের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কি?
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত অরল্যান্ডো সায়েন্স সেন্টার দাবিটিকে জনপ্রিয় মিথ বা প্রচলিত ধারণা হিসেবে উল্লেখ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বুলফাইটিং বা ষাঁড়ের লড়াইয়ের ঐতিহ্য থেকে এ ধারণার জন্ম। বুলফাইটিংয়ে ম্যাটাডোর ষাঁড়ের সামনে লাল রঙের একপ্রস্থ কাপড় নাড়াচাড়া করেন। আর তা দেখে ষাঁড় ক্ষিপ্র গতিতে তেড়ে আসে। প্রকৃত ব্যাপার হলো, ষাঁড় কাপড়ের রং দেখে তেড়ে আসে না। এখানে কাপড়ের নড়াচড়া ষাঁড়কে তেড়ে আসতে উত্তেজিত করে। ষাঁড় আসলে লাল-সবুজ বর্ণান্ধ এবং সবুজ, কমলা ও বাদামি থেকে লাল রং তারা আলাদা করতে পারে না।
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্সও ২০১২ সালে এ-সম্পর্কিত প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, অন্য গবাদিপশুর মতো ষাঁড়ও লাল রঙের প্রতি বর্ণান্ধ। তাই ষাঁড় কাপড়ের লাল রঙের কারণে খেপে যায় না। ষাঁড় মূলত খেপে তার সামনে ম্যাটাডোরের কাপড় নড়ানো-চড়ানোর কারণে। এ দাবির সমর্থনে ওয়েবসাইটটি ২০০৭ সালে ডিসকভারি চ্যানেলের ‘মিথবাস্টার্স’ অনুষ্ঠানের ষাঁড়ের ওপর চালানো তিনটি পৃথক পরীক্ষার ফলাফল উল্লেখ করে।
প্রথম পরীক্ষায় ষাঁড়ের সামনে লাল, নীল ও সাদা রঙের তিনটি পতাকা রাখা হয়। ষাঁড় রং নির্বিশেষে তিনটি পতাকাতেই আক্রমণ করে। দ্বিতীয় পরীক্ষায় তিনটি পুতুলকে লাল, নীল ও সাদা রঙের জামা পরিয়ে একটি বলয়ের মধ্যে রাখা হয়। ষাঁড় কোনো বাছবিচার ছাড়াই তিনটি পুতুলকে আক্রমণ করে; এর মধ্যে সবার শেষে আক্রমণ করে লাল পুতুলটিকে। তৃতীয় ও সর্বশেষ পরীক্ষায় তিনজন ম্যাটাডোরকে তিন রঙের জামা পরিয়ে ষাঁড়ের সামনে দাঁড় করানো হয়। যাঁদের মধ্যে লাল জামা পরা ব্যক্তিটি দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং অন্য দুজন এদিক-সেদিক নড়াচড়া করছিলেন। দেখা যায়, এ দুজন ম্যাটাডোরের দিকে ষাঁড় তেড়ে গেলেও লাল জামা পরা ম্যাটাডোরের দিকে ঘুরেও তাকায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ক্রিস্টোফার এস বেয়ার্ড বলেন, লাল রং ষাঁড়কে রাগান্বিত করে না। ষাঁড় সুস্থ মানুষের তুলনায় আংশিকভাবে বর্ণান্ধ হওয়ায় তারা লাল রং দেখতে পায় না। তিনি আমেরিকান শিক্ষাবিদ ও পশু আচরণ বিশেষজ্ঞ টেম্পল গ্র্যান্ডিনের লেখা ‘ইম্প্রুভিং অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার’ বইয়ের বরাত দিয়ে লেখেন, গবাদিপশুদের চোখের রেটিনায় লাল রং গ্রহণ করার মতো রিসেপ্টর নেই। ফলে তারা কেবল হলুদ, সবুজ, নীল ও বেগুনি রং দেখতে পারে। অর্থাৎ ষাঁড়ের চোখে লাল কোণ কোষ নেই। ষাঁড়ের ক্ষেত্রে লাল রং শনাক্তের কোণ কোষ না থাকায় এরা লাল রং দেখতে পায় না—যাকে প্রোটানোপিয়া বলে। ফলে ষাঁড় লাল রঙের কাপড়কে হলুদাভ ধূসর রঙের দেখে।
ষাঁড়কে কোনো কোনো বিষয়গুলো রাগায়—এ প্রশ্নের উত্তরে প্রাণীবিষয়ক ওয়েবসাইট এ টু জেড অ্যানিমেলস জানায়, ষাঁড় সাধারণত হিংস্র বা রাগান্বিত হয় না যদি না তাদের প্ররোচিত করা হয়। প্ররোচিত করা হলে একটি শান্ত ষাঁড়ও দ্রুত উত্তেজিত হয়ে উঠতে পারে। যেসব বিষয় একটি ষাঁড়ের মধ্যে রাগ সৃষ্টি করতে পারে। তার মধ্যে আছে:
অপরিচিত বস্তু: অদ্ভুত সাজসজ্জা বা চেহারার কোনো কিছু ষাঁড়ের সামনে এলে ষাঁড় রেগে যেতে পারে।
গন্ধ: রক্ত, ভিনেগার এবং রসুনজাতীয় গন্ধ যেকোনো শান্ত ষাঁড়কে ভয়ংকর করে তুলতে পারে।
আকস্মিক নড়াচড়া: ষাঁড়ের সামনে কোনো ব্যক্তির হাত নাড়ানো, খুব দ্রুত নড়াচড়া করা বা সরাসরি ষাঁড়ের দিকে আসা তার মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
হট্টগোল: ষাঁড়ের আশপাশে চিৎকার, চেঁচামেচি বা কোনো উচ্চ শব্দ ষাঁড়কে বিরক্ত বা রাগিয়ে দিতে পারে।
বিজ্ঞানবিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট সায়েন্স এবিসি লাল রঙের সঙ্গে ষাঁড়ের সম্পর্কে এক প্রতিবেদনে জানায়, ষাঁড় লড়াইয়ের মতো প্রতিযোগিতায় ষাঁড়কে খ্যাপাতে লাল কাপড়ের ব্যবহার মূলত ঐতিহ্যগত অংশ। তবে এ লাল রঙের জন্য ষাঁড় খেপে না। বরং ষাঁড় খেপে তার সামনে ম্যাটাডোরের ওই কাপড়টি নড়ানোর ফলে। প্রকৃতপক্ষে ষাঁড় লড়াইয়ে তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয় এবং কেবল শেষ পর্যায়েই শুধু লাল রঙের কাপড় ব্যবহার করা হয়।
প্রাণীবিষয়ক ওয়েবসাইট পেটকিন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। এখান থেকে আরও জানা যায়, ষাঁড় লড়াইয়ের তৃতীয় ধাপে ম্যাটাডোর ষাঁড়কে পাল্টা আক্রমণ করতে ব্যবহৃত তলোয়ার লুকানোর জন্য এই লাল কাপড় ব্যবহার করে। এ ছাড়া ম্যাটাডোর-ষাঁড়ের লড়াইয়ে সৃষ্ট রক্ত ঢাকতেও এ লাল রঙের কাপড় ব্যবহৃত হয়।
সিদ্ধান্ত
ষাঁড় অন্য গবাদিপশুর মতোই বর্ণান্ধ। মানুষের মতো তাদের চোখে লাল রং শনাক্ত করার কোণ কোষ নেই। ফলে তারা লাল রং শনাক্ত করতে পারে না। যেহেতু ষাঁড় লাল রং শনাক্ত করতে পারে না, তাই এ রঙের কোনো কিছুর প্রতি তারা উত্তেজিতও হয় না, যতক্ষণ না লাল রঙের বস্তুটি তার সামনে নড়াচড়া করা না হচ্ছে। মূলত, বুলফাইটিং বা ষাঁড়ের লড়াইয়ে লাল রঙের কাপড়ের ব্যবহার ঐতিহ্যগত। এই রঙের সঙ্গে ষাঁড় খেপে যাওয়ার কোনো যুক্তিযুক্ত সম্পর্ক নেই।
ষাঁড় লাল রং দেখলে খেপে যায়, তাড়া করে লাল রংধারী ব্যক্তিকে—এই ভয়ে অনেকেই ছোটবেলায় লাল কাপড় পরে ষাঁড়ের সামনে যেতে ভয় পেতেন। বড় হয়ে অনেক সিনেমা-গল্পেও দেখেছেন এমন দৃশ্য। কেউ কেউ দেখেছেন, স্পেনের বিখ্যাত বুলফাইটিং বা ষাঁড়ের লড়াইয়ে লাল রঙের কাপড় দেখে তেড়ে-ফুঁড়ে আসছে ম্যাটাডোরের (যিনি ষাঁড় লড়াইয়ের খেলা দেখান) দিকে। ইন্টারনেটের এ যুগে সোশ্যাল মিডিয়াতেও নানা সময় প্রচার হয়, ষাঁড় লাল রং দেখলে রেগে যায়। কিন্তু আসলেই কি ষাঁড় লাল রং দেখে রেগে যায়? এই ধারণার পেছনের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কি?
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত অরল্যান্ডো সায়েন্স সেন্টার দাবিটিকে জনপ্রিয় মিথ বা প্রচলিত ধারণা হিসেবে উল্লেখ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বুলফাইটিং বা ষাঁড়ের লড়াইয়ের ঐতিহ্য থেকে এ ধারণার জন্ম। বুলফাইটিংয়ে ম্যাটাডোর ষাঁড়ের সামনে লাল রঙের একপ্রস্থ কাপড় নাড়াচাড়া করেন। আর তা দেখে ষাঁড় ক্ষিপ্র গতিতে তেড়ে আসে। প্রকৃত ব্যাপার হলো, ষাঁড় কাপড়ের রং দেখে তেড়ে আসে না। এখানে কাপড়ের নড়াচড়া ষাঁড়কে তেড়ে আসতে উত্তেজিত করে। ষাঁড় আসলে লাল-সবুজ বর্ণান্ধ এবং সবুজ, কমলা ও বাদামি থেকে লাল রং তারা আলাদা করতে পারে না।
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্সও ২০১২ সালে এ-সম্পর্কিত প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, অন্য গবাদিপশুর মতো ষাঁড়ও লাল রঙের প্রতি বর্ণান্ধ। তাই ষাঁড় কাপড়ের লাল রঙের কারণে খেপে যায় না। ষাঁড় মূলত খেপে তার সামনে ম্যাটাডোরের কাপড় নড়ানো-চড়ানোর কারণে। এ দাবির সমর্থনে ওয়েবসাইটটি ২০০৭ সালে ডিসকভারি চ্যানেলের ‘মিথবাস্টার্স’ অনুষ্ঠানের ষাঁড়ের ওপর চালানো তিনটি পৃথক পরীক্ষার ফলাফল উল্লেখ করে।
প্রথম পরীক্ষায় ষাঁড়ের সামনে লাল, নীল ও সাদা রঙের তিনটি পতাকা রাখা হয়। ষাঁড় রং নির্বিশেষে তিনটি পতাকাতেই আক্রমণ করে। দ্বিতীয় পরীক্ষায় তিনটি পুতুলকে লাল, নীল ও সাদা রঙের জামা পরিয়ে একটি বলয়ের মধ্যে রাখা হয়। ষাঁড় কোনো বাছবিচার ছাড়াই তিনটি পুতুলকে আক্রমণ করে; এর মধ্যে সবার শেষে আক্রমণ করে লাল পুতুলটিকে। তৃতীয় ও সর্বশেষ পরীক্ষায় তিনজন ম্যাটাডোরকে তিন রঙের জামা পরিয়ে ষাঁড়ের সামনে দাঁড় করানো হয়। যাঁদের মধ্যে লাল জামা পরা ব্যক্তিটি দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং অন্য দুজন এদিক-সেদিক নড়াচড়া করছিলেন। দেখা যায়, এ দুজন ম্যাটাডোরের দিকে ষাঁড় তেড়ে গেলেও লাল জামা পরা ম্যাটাডোরের দিকে ঘুরেও তাকায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ক্রিস্টোফার এস বেয়ার্ড বলেন, লাল রং ষাঁড়কে রাগান্বিত করে না। ষাঁড় সুস্থ মানুষের তুলনায় আংশিকভাবে বর্ণান্ধ হওয়ায় তারা লাল রং দেখতে পায় না। তিনি আমেরিকান শিক্ষাবিদ ও পশু আচরণ বিশেষজ্ঞ টেম্পল গ্র্যান্ডিনের লেখা ‘ইম্প্রুভিং অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার’ বইয়ের বরাত দিয়ে লেখেন, গবাদিপশুদের চোখের রেটিনায় লাল রং গ্রহণ করার মতো রিসেপ্টর নেই। ফলে তারা কেবল হলুদ, সবুজ, নীল ও বেগুনি রং দেখতে পারে। অর্থাৎ ষাঁড়ের চোখে লাল কোণ কোষ নেই। ষাঁড়ের ক্ষেত্রে লাল রং শনাক্তের কোণ কোষ না থাকায় এরা লাল রং দেখতে পায় না—যাকে প্রোটানোপিয়া বলে। ফলে ষাঁড় লাল রঙের কাপড়কে হলুদাভ ধূসর রঙের দেখে।
ষাঁড়কে কোনো কোনো বিষয়গুলো রাগায়—এ প্রশ্নের উত্তরে প্রাণীবিষয়ক ওয়েবসাইট এ টু জেড অ্যানিমেলস জানায়, ষাঁড় সাধারণত হিংস্র বা রাগান্বিত হয় না যদি না তাদের প্ররোচিত করা হয়। প্ররোচিত করা হলে একটি শান্ত ষাঁড়ও দ্রুত উত্তেজিত হয়ে উঠতে পারে। যেসব বিষয় একটি ষাঁড়ের মধ্যে রাগ সৃষ্টি করতে পারে। তার মধ্যে আছে:
অপরিচিত বস্তু: অদ্ভুত সাজসজ্জা বা চেহারার কোনো কিছু ষাঁড়ের সামনে এলে ষাঁড় রেগে যেতে পারে।
গন্ধ: রক্ত, ভিনেগার এবং রসুনজাতীয় গন্ধ যেকোনো শান্ত ষাঁড়কে ভয়ংকর করে তুলতে পারে।
আকস্মিক নড়াচড়া: ষাঁড়ের সামনে কোনো ব্যক্তির হাত নাড়ানো, খুব দ্রুত নড়াচড়া করা বা সরাসরি ষাঁড়ের দিকে আসা তার মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
হট্টগোল: ষাঁড়ের আশপাশে চিৎকার, চেঁচামেচি বা কোনো উচ্চ শব্দ ষাঁড়কে বিরক্ত বা রাগিয়ে দিতে পারে।
বিজ্ঞানবিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট সায়েন্স এবিসি লাল রঙের সঙ্গে ষাঁড়ের সম্পর্কে এক প্রতিবেদনে জানায়, ষাঁড় লড়াইয়ের মতো প্রতিযোগিতায় ষাঁড়কে খ্যাপাতে লাল কাপড়ের ব্যবহার মূলত ঐতিহ্যগত অংশ। তবে এ লাল রঙের জন্য ষাঁড় খেপে না। বরং ষাঁড় খেপে তার সামনে ম্যাটাডোরের ওই কাপড়টি নড়ানোর ফলে। প্রকৃতপক্ষে ষাঁড় লড়াইয়ে তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয় এবং কেবল শেষ পর্যায়েই শুধু লাল রঙের কাপড় ব্যবহার করা হয়।
প্রাণীবিষয়ক ওয়েবসাইট পেটকিন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। এখান থেকে আরও জানা যায়, ষাঁড় লড়াইয়ের তৃতীয় ধাপে ম্যাটাডোর ষাঁড়কে পাল্টা আক্রমণ করতে ব্যবহৃত তলোয়ার লুকানোর জন্য এই লাল কাপড় ব্যবহার করে। এ ছাড়া ম্যাটাডোর-ষাঁড়ের লড়াইয়ে সৃষ্ট রক্ত ঢাকতেও এ লাল রঙের কাপড় ব্যবহৃত হয়।
সিদ্ধান্ত
ষাঁড় অন্য গবাদিপশুর মতোই বর্ণান্ধ। মানুষের মতো তাদের চোখে লাল রং শনাক্ত করার কোণ কোষ নেই। ফলে তারা লাল রং শনাক্ত করতে পারে না। যেহেতু ষাঁড় লাল রং শনাক্ত করতে পারে না, তাই এ রঙের কোনো কিছুর প্রতি তারা উত্তেজিতও হয় না, যতক্ষণ না লাল রঙের বস্তুটি তার সামনে নড়াচড়া করা না হচ্ছে। মূলত, বুলফাইটিং বা ষাঁড়ের লড়াইয়ে লাল রঙের কাপড়ের ব্যবহার ঐতিহ্যগত। এই রঙের সঙ্গে ষাঁড় খেপে যাওয়ার কোনো যুক্তিযুক্ত সম্পর্ক নেই।
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি দৈনিক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা।
১৬ ঘণ্টা আগেভোলার বোরহানউদ্দিনে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি চলাকালে অর্ধশত স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এ শিক্ষার্থীদের দেওয়া টিকাগুলো ‘বিষাক্ত’ ছিল। এর প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
২০ ঘণ্টা আগেদাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভয়েস অব আমেরিকার ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ‘ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দল বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
২ দিন আগেসোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি মন্তব্যে দাবি করা হচ্ছে, সেনাপ্রধান ওয়াকার–উজ–জামান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা জনগণের লাশের বন্যা ও মৃত্যু চাননি। তাই তিনি পদত্যাগ না করেই ভারতে চলে যান।
৪ দিন আগে