ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
‘২য় বিয়ে না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে’- এমন শিরোনামে সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ভাইরাল প্রতিবেদনটির ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিটি শেয়ার করে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা দ্বিতীয় বিয়ের পক্ষে-বিপক্ষে এবং এর সঙ্গে ক্যানসারের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আলোচনা করছেন।
আসলেই কী দ্বিতীয় বিয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়? কি আছে ভাইরাল প্রতিবেদনের ছবিতে? এসব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে ভাইরাল প্রতিবেদনটি পড়ে দেখে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এতে দাবি করা হয়েছে, ‘ইনভেস্টিগেটিভ জার্নাল’ নামে গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার ফলাফল নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ৩ হাজার গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে এই গবেষণা চালান একদল চীনা গবেষক।
‘ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালে’র বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যারা অবিবাহিত বা যাদের জীবনসঙ্গী নেই, তাদের ক্ষেত্রে পাকস্থলীর ক্যানসারে মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিয়ে ক্যানসার রোগীদের দীর্ঘায়ু পেতে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী রোগীদের প্রত্যেকেই ছিলেন ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত। চীনা বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ৭২ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ও মহিলার গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার ধরা পড়ার পর অবিবাহিতদের তুলনায় পাঁচ বছর বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’
গবেষকদের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘জীবনসঙ্গী পাশে থাকলে তিনি আপনার খেয়াল রাখতে পারেন। অসুখ হলে ওষুধ খাওয়ানো এবং অন্যান্য সেবা তার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। ফলে রোগীর জন্য স্বাস্থ্যকর আচরণ মেনে চলা সহজ হয়। দীর্ঘায়ু হওয়ার জন্য এসব অভ্যাস জরুরি। আর শরীরে কোনো রকম সমস্যা হলে যারা অবিবাহিত বা একা থাকেন তারা ততটাও গুরুত্ব দেন না। আর তাতেই রোগে কাবু হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। যারা বিবাহিত তাদের ক্ষেত্রে রোগ আগেই ধরা পড়েছে। তাই চিকিৎসা পদ্ধতিও দ্রুত চালু করা সম্ভব হয়েছে। তাই বিবাহিতদের সুস্থতার হারও বেশি। বিবাহিতরা আর্থিক ও মানসিক দুই ক্ষেত্রেই রোগের সঙ্গে লড়াই করার বেশি সামর্থ্য রাখেন। যাদের স্বামী কিংবা স্ত্রী মারা গিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকির হার অনেকটাই বেশি।’
মজার ব্যাপার হলো- পুরো প্রতিবেদন পড়ে কোথাও দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাহলে দ্বিতীয় বিয়ের দাবিটি এল কীভাবে? এ নিয়ে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘২য় বিয়ে না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে’- এমন শিরোনামে প্রতিবেদনের ছবিটি অন্তত ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট থেকে ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে। তবে একই বছরের ১৯ আগস্ট মুহাম্মদ আল আমিন নামের এক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে লেখা হয়, ‘নিউজটি ছিল বিয়ে না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, সেখানে এডিট করে দ্বিতীয় বিয়ে লেখার দরকার কি ছিল।’
এই পোস্টের সূত্রে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ১৪ আগস্টের আগে প্রতিবেদনের ছবিযুক্ত একাধিক পোস্ট পাওয়া যায়, যেখানে শিরোনাম ছিল— বিয়ে না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। ভাইরাল হওয়া প্রতিবেদনের ছবিতে সংবাদপত্রের নাম পাওয়া যায়নি।
তবে অনুসন্ধানে পাওয়া ফলাফল থেকে অনুমান করা যায়, বিয়ে না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে-শীর্ষক প্রতিবেদনের ছবি এডিট করে আলাদাভাবে ‘দ্বিতীয়’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে।
বিয়ে না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে! কি ছিল গবেষণা প্রতিবেদনটিতে?
কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের সঙ্গে বৈবাহিক অবস্থার সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশিত গবেষণাটি নিয়ে আলোচনা পাওয়া যায়। বিএমজে সূত্রে জানা যায়, গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছিল পিয়ার-রিভিউড মেডিকেল জার্নাল দ্য জার্নাল অবইনভেস্টিগেটিভ মেডিসিনে (জিআইএম)। চীনের হেফেই শহরে অবস্থিত আনহুই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হাসপাতালের একদল গবেষক গবেষণাটি করেন।
গবেষণাটিতে বলা হয়, প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে বৈবাহিক অবস্থারও প্রভাব আছে। এই ক্ষেত্রে বিবাহিতদের মধ্যে বেশিদিন বেঁচে থাকার ভালো সম্ভাবনা মিলেছে গবেষণায়।
তাই কারও গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার শনাক্ত হলে ওই ব্যক্তির বেঁচে থাকার মেয়াদ হিসাবের সময় চিকিৎসা সংক্রান্ত এবং ব্যক্তিগত অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে বৈবাহিক অবস্থাকে বিবেচনায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। ওই গবেষণার আগে যকৃৎ ও ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাঁচার ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থার গুরুত্ব স্বীকৃত হলেও গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের ক্ষেত্রে তা অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
গবেষকেরা তাই খুঁজে বের করতে চেয়েছিলেন, বৈবাহিক অবস্থা প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দীর্ঘায়ু লাভের কোনো কারণ হতে পারে কি না। গবেষণায় দেখা যায়, বৈবাহিক অবস্থা গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে। এ ক্ষেত্রে অবিবাহিতদের চেয়ে বিবাহিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সম্ভাবনা বেশি দেখা গেছে। এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বলা হয়, বিবাহিতরা আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকেন এবং সঙ্গীদের কাছ থেকে মানসিক সহযোগিতা ও উৎসাহ পাওয়ার সম্ভাবনা তাঁদের বেশি থাকে।
গবেষণাটি ছিল প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থা কোনো কারণ হতে পারে কি না সেটা খুঁজে বের করা। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি, যা বিবাহিতদের ক্ষেত্রে ৭২ শতাংশ এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ।
সর্বোপরি, বিয়ে না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হওয়ার ব্যাপারে গবেষণায় কোনো তথ্য ছিল না এবং এ গবেষণা বিয়েকে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের দীর্ঘায়ু লাভের কারণ হিসাবেও দেখায়নি।
সুতরাং দ্বিতীয় বিয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয়।
‘২য় বিয়ে না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে’- এমন শিরোনামে সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ভাইরাল প্রতিবেদনটির ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিটি শেয়ার করে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা দ্বিতীয় বিয়ের পক্ষে-বিপক্ষে এবং এর সঙ্গে ক্যানসারের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আলোচনা করছেন।
আসলেই কী দ্বিতীয় বিয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়? কি আছে ভাইরাল প্রতিবেদনের ছবিতে? এসব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে ভাইরাল প্রতিবেদনটি পড়ে দেখে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এতে দাবি করা হয়েছে, ‘ইনভেস্টিগেটিভ জার্নাল’ নামে গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার ফলাফল নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ৩ হাজার গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে এই গবেষণা চালান একদল চীনা গবেষক।
‘ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালে’র বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যারা অবিবাহিত বা যাদের জীবনসঙ্গী নেই, তাদের ক্ষেত্রে পাকস্থলীর ক্যানসারে মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিয়ে ক্যানসার রোগীদের দীর্ঘায়ু পেতে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী রোগীদের প্রত্যেকেই ছিলেন ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত। চীনা বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ৭২ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ও মহিলার গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার ধরা পড়ার পর অবিবাহিতদের তুলনায় পাঁচ বছর বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’
গবেষকদের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘জীবনসঙ্গী পাশে থাকলে তিনি আপনার খেয়াল রাখতে পারেন। অসুখ হলে ওষুধ খাওয়ানো এবং অন্যান্য সেবা তার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। ফলে রোগীর জন্য স্বাস্থ্যকর আচরণ মেনে চলা সহজ হয়। দীর্ঘায়ু হওয়ার জন্য এসব অভ্যাস জরুরি। আর শরীরে কোনো রকম সমস্যা হলে যারা অবিবাহিত বা একা থাকেন তারা ততটাও গুরুত্ব দেন না। আর তাতেই রোগে কাবু হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। যারা বিবাহিত তাদের ক্ষেত্রে রোগ আগেই ধরা পড়েছে। তাই চিকিৎসা পদ্ধতিও দ্রুত চালু করা সম্ভব হয়েছে। তাই বিবাহিতদের সুস্থতার হারও বেশি। বিবাহিতরা আর্থিক ও মানসিক দুই ক্ষেত্রেই রোগের সঙ্গে লড়াই করার বেশি সামর্থ্য রাখেন। যাদের স্বামী কিংবা স্ত্রী মারা গিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকির হার অনেকটাই বেশি।’
মজার ব্যাপার হলো- পুরো প্রতিবেদন পড়ে কোথাও দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাহলে দ্বিতীয় বিয়ের দাবিটি এল কীভাবে? এ নিয়ে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘২য় বিয়ে না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে’- এমন শিরোনামে প্রতিবেদনের ছবিটি অন্তত ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট থেকে ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে। তবে একই বছরের ১৯ আগস্ট মুহাম্মদ আল আমিন নামের এক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে লেখা হয়, ‘নিউজটি ছিল বিয়ে না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, সেখানে এডিট করে দ্বিতীয় বিয়ে লেখার দরকার কি ছিল।’
এই পোস্টের সূত্রে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ১৪ আগস্টের আগে প্রতিবেদনের ছবিযুক্ত একাধিক পোস্ট পাওয়া যায়, যেখানে শিরোনাম ছিল— বিয়ে না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। ভাইরাল হওয়া প্রতিবেদনের ছবিতে সংবাদপত্রের নাম পাওয়া যায়নি।
তবে অনুসন্ধানে পাওয়া ফলাফল থেকে অনুমান করা যায়, বিয়ে না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে-শীর্ষক প্রতিবেদনের ছবি এডিট করে আলাদাভাবে ‘দ্বিতীয়’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে।
বিয়ে না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে! কি ছিল গবেষণা প্রতিবেদনটিতে?
কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের সঙ্গে বৈবাহিক অবস্থার সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশিত গবেষণাটি নিয়ে আলোচনা পাওয়া যায়। বিএমজে সূত্রে জানা যায়, গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছিল পিয়ার-রিভিউড মেডিকেল জার্নাল দ্য জার্নাল অবইনভেস্টিগেটিভ মেডিসিনে (জিআইএম)। চীনের হেফেই শহরে অবস্থিত আনহুই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হাসপাতালের একদল গবেষক গবেষণাটি করেন।
গবেষণাটিতে বলা হয়, প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে বৈবাহিক অবস্থারও প্রভাব আছে। এই ক্ষেত্রে বিবাহিতদের মধ্যে বেশিদিন বেঁচে থাকার ভালো সম্ভাবনা মিলেছে গবেষণায়।
তাই কারও গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার শনাক্ত হলে ওই ব্যক্তির বেঁচে থাকার মেয়াদ হিসাবের সময় চিকিৎসা সংক্রান্ত এবং ব্যক্তিগত অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে বৈবাহিক অবস্থাকে বিবেচনায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। ওই গবেষণার আগে যকৃৎ ও ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাঁচার ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থার গুরুত্ব স্বীকৃত হলেও গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের ক্ষেত্রে তা অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
গবেষকেরা তাই খুঁজে বের করতে চেয়েছিলেন, বৈবাহিক অবস্থা প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দীর্ঘায়ু লাভের কোনো কারণ হতে পারে কি না। গবেষণায় দেখা যায়, বৈবাহিক অবস্থা গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে। এ ক্ষেত্রে অবিবাহিতদের চেয়ে বিবাহিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সম্ভাবনা বেশি দেখা গেছে। এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বলা হয়, বিবাহিতরা আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকেন এবং সঙ্গীদের কাছ থেকে মানসিক সহযোগিতা ও উৎসাহ পাওয়ার সম্ভাবনা তাঁদের বেশি থাকে।
গবেষণাটি ছিল প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থা কোনো কারণ হতে পারে কি না সেটা খুঁজে বের করা। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি, যা বিবাহিতদের ক্ষেত্রে ৭২ শতাংশ এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ।
সর্বোপরি, বিয়ে না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হওয়ার ব্যাপারে গবেষণায় কোনো তথ্য ছিল না এবং এ গবেষণা বিয়েকে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের দীর্ঘায়ু লাভের কারণ হিসাবেও দেখায়নি।
সুতরাং দ্বিতীয় বিয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয়।
প্রযুক্তি জগতে নানা উদ্ভাবন দিয়ে সব সময়ই আলোচনায় থাকেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তিনি আলোচনায় এসেছেন এক্সে ডিজনির এলজিবিটিকিউ সম্পর্কিত কনটেন্ট ব্লক করে দিয়েছেন এমন দাবিতে। গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফেসবুকে ‘মহিদুল আলম...
১৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়ে।
২১ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
২ দিন আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
২ দিন আগে