ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ ক্রিকেট বিশ্বে একসময় জৌলুশ ছড়াতো। সেই জৌলুশ কিছুটা হলেও এখন উজ্জ্বলতা হারিয়েছে। সেখানে ক্রমেই যেন জায়গা করে নিচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত। সাম্প্রতিক সময়ে এই দুপক্ষের ক্রিকেটীয় উত্তেজনা মাঠ ছেড়ে গড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও, যার রেশ ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্যও ছড়িয়েছে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেস বোলার শোয়েব আখতার বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আচরণ নিয়ে মন্তব্য করেছেন দাবিতে তাঁর ছবিযুক্ত একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ফটোকার্ডে দাবি করা হচ্ছে, শোয়েব আখতার বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৯ ছেলেদের খেলা দেখে মনে হয়, বাড়িতে বাবা মা শিক্ষা দেয়নি।’
এই দাবিতে সবচেয়ে ভাইরাল পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায় ‘ভি কে প্রসেনজিৎ’ নামের ফেসবুক পেজে। ওই পেজ থেকে পোস্টটি শেয়ার হয়েছে সাড়ে পাঁচশো বার, মন্তব্য পড়েছে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি। এসব মন্তব্যে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিভিন্ন ভারতীয় অ্যাকাউন্ট থেকে শোয়েব আখতারের কথিত এই মন্তব্যের সমর্থন করে কমেন্ট করতে দেখা গেছে। বাংলাদেশিরা এর বিরোধিতা করেছেন।
জুমা সাহা নামে একজন বাংলাদেশি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের খেলা, আর মাথা ঘামায় পাকিস্তানি। ওরা এখনও বাংলার পেছনে লেগে আছে।’ মেহেদি হাসান নামে একজন শোয়েব আখতারের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘এর বয়স যতই বারতাছে ততই তার পাগলামির পরিমাণ বারতাছে।’ মুহাম্মদ হিরণ নামে একজন লিখেছেন, ‘আপনারা তো মদ খেয়ে নিষিদ্ধ হন। পাকিস্তানের বেশ কিছু ক্রিকেটাররা মাদকের সঙ্গে সংযুক্ত।’ আবার শুভংকর দে নামে একজন ভারতীয় লিখেছেন, ‘সারা জীবন পাকিস্তান ভাই পাকিস্তান ভাই করে শেষে তারাই এমন কথা বললো। হায়রে বাংলাদেশী!’ সুকুমার রায় নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ পাকিস্তানকে সবসময় ভাই ভাই ভাবে। কিন্তু পাক ভাবে সৎ ভাই।’ (মন্তব্যের বানান ও শব্দচয়ন অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে)।
কিন্তু শোয়েব আখতার কি আসলেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন?
মন্তব্যটির সত্যতা যাচাইয়ে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ প্রথমেই শোয়েব আখতারের ভেরিফায়েড ফেসবুক, এক্স অ্যাকাউন্ট ও ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে তাঁর এমন কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো ঘুরে দেখা যায়, তিনি আরব আমিরাতে চলমান ইন্টারন্যাশনাল লীগ টি-টোয়েন্টি নিয়ে তাঁর অ্যাকাউন্টগুলোতে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে কোনো পোস্ট বা মন্তব্য সেখানে পাওয়া যায়নি। প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি—ওয়ার্ড অনুসন্ধানেও ইন্টারনেটে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আচরণ নিয়ে শোয়েব আখতারের এমন কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া শোয়েব আখতারের মন্তব্যটির সূত্রপাত খুঁজে দেখা হয়। এতে ‘রক্তে আমার ক্রিকেট ২.0’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ২১ জানুয়ারি বেলা ১টা ৩৩ মিনিটে দেওয়া ফটোকার্ডটিসহ সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটিতে শোয়েব আখতার কোথায়, কখন এই মন্তব্য করেছেন সেটির কোনো তথ্যসূত্র দেওয়া হয়নি। বরং কমেন্টবক্স ঘুরে দেখা যায় সেখানে লেখা রয়েছে, ‘বাংলাদেশের উগ্র সমর্থকদের সাইজ করার জন্য আমাদের এই পেজ রক্তে আমার ক্রিকেট 2.1 ফলো দেও।’ পেজটিতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে ট্রল করে একাধিক পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।
এছাড়া ফটোকার্ডটি সবচেয়ে বেশি ভাইরাল হওয়া পেজটিতেও শোয়েব আখতারের কথিত মন্তব্যটির কোনো তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়নি। বরং পেজটিতেও বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ট্রল করে একাধিক পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।
ওপরের এসব বিশ্লেষণ থেকে স্পষ্ট যে, পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেস বোলার শোয়েব আখতার বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আচরণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। বিভিন্ন ভারতীয় পেজ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ট্রল করে মন্তব্যটি প্রচার করা হলেও নেটিজেনরা এটিকে সত্য হিসেবে বিশ্বাস করছেন।
ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ ক্রিকেট বিশ্বে একসময় জৌলুশ ছড়াতো। সেই জৌলুশ কিছুটা হলেও এখন উজ্জ্বলতা হারিয়েছে। সেখানে ক্রমেই যেন জায়গা করে নিচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত। সাম্প্রতিক সময়ে এই দুপক্ষের ক্রিকেটীয় উত্তেজনা মাঠ ছেড়ে গড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও, যার রেশ ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্যও ছড়িয়েছে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেস বোলার শোয়েব আখতার বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আচরণ নিয়ে মন্তব্য করেছেন দাবিতে তাঁর ছবিযুক্ত একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ফটোকার্ডে দাবি করা হচ্ছে, শোয়েব আখতার বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৯ ছেলেদের খেলা দেখে মনে হয়, বাড়িতে বাবা মা শিক্ষা দেয়নি।’
এই দাবিতে সবচেয়ে ভাইরাল পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায় ‘ভি কে প্রসেনজিৎ’ নামের ফেসবুক পেজে। ওই পেজ থেকে পোস্টটি শেয়ার হয়েছে সাড়ে পাঁচশো বার, মন্তব্য পড়েছে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি। এসব মন্তব্যে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিভিন্ন ভারতীয় অ্যাকাউন্ট থেকে শোয়েব আখতারের কথিত এই মন্তব্যের সমর্থন করে কমেন্ট করতে দেখা গেছে। বাংলাদেশিরা এর বিরোধিতা করেছেন।
জুমা সাহা নামে একজন বাংলাদেশি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের খেলা, আর মাথা ঘামায় পাকিস্তানি। ওরা এখনও বাংলার পেছনে লেগে আছে।’ মেহেদি হাসান নামে একজন শোয়েব আখতারের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘এর বয়স যতই বারতাছে ততই তার পাগলামির পরিমাণ বারতাছে।’ মুহাম্মদ হিরণ নামে একজন লিখেছেন, ‘আপনারা তো মদ খেয়ে নিষিদ্ধ হন। পাকিস্তানের বেশ কিছু ক্রিকেটাররা মাদকের সঙ্গে সংযুক্ত।’ আবার শুভংকর দে নামে একজন ভারতীয় লিখেছেন, ‘সারা জীবন পাকিস্তান ভাই পাকিস্তান ভাই করে শেষে তারাই এমন কথা বললো। হায়রে বাংলাদেশী!’ সুকুমার রায় নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ পাকিস্তানকে সবসময় ভাই ভাই ভাবে। কিন্তু পাক ভাবে সৎ ভাই।’ (মন্তব্যের বানান ও শব্দচয়ন অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে)।
কিন্তু শোয়েব আখতার কি আসলেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন?
মন্তব্যটির সত্যতা যাচাইয়ে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ প্রথমেই শোয়েব আখতারের ভেরিফায়েড ফেসবুক, এক্স অ্যাকাউন্ট ও ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে তাঁর এমন কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো ঘুরে দেখা যায়, তিনি আরব আমিরাতে চলমান ইন্টারন্যাশনাল লীগ টি-টোয়েন্টি নিয়ে তাঁর অ্যাকাউন্টগুলোতে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে কোনো পোস্ট বা মন্তব্য সেখানে পাওয়া যায়নি। প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি—ওয়ার্ড অনুসন্ধানেও ইন্টারনেটে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আচরণ নিয়ে শোয়েব আখতারের এমন কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া শোয়েব আখতারের মন্তব্যটির সূত্রপাত খুঁজে দেখা হয়। এতে ‘রক্তে আমার ক্রিকেট ২.0’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ২১ জানুয়ারি বেলা ১টা ৩৩ মিনিটে দেওয়া ফটোকার্ডটিসহ সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটিতে শোয়েব আখতার কোথায়, কখন এই মন্তব্য করেছেন সেটির কোনো তথ্যসূত্র দেওয়া হয়নি। বরং কমেন্টবক্স ঘুরে দেখা যায় সেখানে লেখা রয়েছে, ‘বাংলাদেশের উগ্র সমর্থকদের সাইজ করার জন্য আমাদের এই পেজ রক্তে আমার ক্রিকেট 2.1 ফলো দেও।’ পেজটিতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে ট্রল করে একাধিক পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।
এছাড়া ফটোকার্ডটি সবচেয়ে বেশি ভাইরাল হওয়া পেজটিতেও শোয়েব আখতারের কথিত মন্তব্যটির কোনো তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়নি। বরং পেজটিতেও বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ট্রল করে একাধিক পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।
ওপরের এসব বিশ্লেষণ থেকে স্পষ্ট যে, পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেস বোলার শোয়েব আখতার বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আচরণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। বিভিন্ন ভারতীয় পেজ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ট্রল করে মন্তব্যটি প্রচার করা হলেও নেটিজেনরা এটিকে সত্য হিসেবে বিশ্বাস করছেন।
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি দৈনিক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা।
১০ ঘণ্টা আগেভোলার বোরহানউদ্দিনে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি চলাকালে অর্ধশত স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এ শিক্ষার্থীদের দেওয়া টিকাগুলো ‘বিষাক্ত’ ছিল। এর প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
১৫ ঘণ্টা আগেদাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভয়েস অব আমেরিকার ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ‘ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দল বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
২ দিন আগেসোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি মন্তব্যে দাবি করা হচ্ছে, সেনাপ্রধান ওয়াকার–উজ–জামান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা জনগণের লাশের বন্যা ও মৃত্যু চাননি। তাই তিনি পদত্যাগ না করেই ভারতে চলে যান।
৩ দিন আগে